Saturday, January 1, 2011

পার্বত্যাঞ্চলে বাঁশভিত্তিক শিল্প এনে দিতে পারে কর্মসংস্থানের সুযোগ

পার্বত্যাঞ্চলে বাঁশভিত্তিক শিল্প এনে দিতে পারে কর্মসংস্থানের সুযোগ

০০ রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা
রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় কোটি কোটি বাঁশ উৎপন্ন হয়। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্যোগের অভাবে এ এলাকায় বাঁশ সম্পদকে কাজে লাগানোর মত কোন শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে না। অথচ সংশিস্নষ্টরা মনে করছেন এই এলাকায় বাঁশভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হলে হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।
পার্বত্য এলাকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার ২৫টি উপজেলায় বাঁশ জন্মে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাঁশ জন্মে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে। রাঙ্গামাটি জেলার বরকল, লংগদু, নানিয়ারচর, কাউখালী, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, রাজস্থলী উপজেলায়, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা, মানিকছড়ি, দীঘিনালা, পানছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি, রামগড় এবং বান্দরবান জেলা সদর, থানচি, নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম, রোয়াংছড়ি উপজেলায় বিপুল পরিমাণে বাঁশ উৎপন্ন হয়।
পার্বত্যাঞ্চলে উৎপাদিত বাঁশ শুধু কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী পেপার মিলে কাগজ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। এলাকাবাসী পার্বত্যাঞ্চলের বিশাল বাঁশ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলে বাঁশভিত্তিক বিভিন্ন শিল্প কারখানা তোলার দাবি জানান।
পার্বত্য এলাকার বাঁশের মধ্যে রয়েছে বাইজ্যা, বড়াক, কাটা বড়াক, ডোল বড়াক, শীল বড়াক, মিতিংগ্যা, রফাই, ঢলু, কালি, মুলি এবং কালিজিরি অন্যতম। একটি বাইজ্যা বাঁশ স্থানীয়ভাবে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়। যা দেশের অন্যান্যস্থানে তিনশ' থেকে পাঁচশ' টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একেকটি মুলিবাঁশ ২৫/৩০ টাকায় স্থানীয় বাজারে বিক্রি হলেও দেশের অন্যান্য জেলায় তা ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। কালিজিরি বাঁশ প্রতিটি ২ থেকে ৪ টাকায় বিক্রি হয়। সমতলে এ বাঁশ ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়।
Source: Daily Ittefaq, 12th January-2011

No comments:

Post a Comment