Monday, February 15, 2010

রাঙ্গুনিয়ার শিলক খালের রাবার ড্যাম চাষীদের জন্য আশীর্বাদ

রাঙ্গুনিয়ার শিলক খালের রাবার ড্যাম চাষীদের জন্য আশীর্বাদ

মোঃ রেজাউল করিম, কাপ্তাই
রাঙ্গুনিয়ার শিলক খালের রাবার ড্যাম চাষীদের জন্য আশীর্বাদ। উন্মোচন করেছে বোরো আবাদের সম্ভাবনার দুয়ার। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার ২টি ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার হেক্টর জমি এসেছে সেচের আওতায়।
এই ড্যামের সুবাদে এখন সেখানে চলছে বোরো আবাদ। কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি। আবাদি জমির পরিমাণও বাড়ছে। তৈলিয়াভাঙ্গা ও নারিচ্ছা বিলসহ পদুয়া ইউনিয়নের শত শত হেক্টর অনাবাদি জমি এখন আবাদের আওতায় এসেছে এই ড্যামের সুবাদে।
তৈলিয়াভাঙ্গা বিলের কৃষক আবদুল গনি, ইসহাক মিয়া, আশ্রাফ আলী, পরিমল দে, ফণিন্দ্র নাথ বলেন, রাবার ড্যামের পানিতে বোরো আবাদ ভালো হচ্ছে। সেচ সুবিধায় তৈলিয়াভাঙ্গা বিল ছাড়াও আশপাশের শত শত একর জমি বোরো আবাদের আওতায় এসেছে। রবিশস্য আবাদে সেচ দেয়া হয়েছে।
রাবার ড্যাম প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, স্বতঃস্ফূর্ত কৃষকের কর্মতত্পরতায় তৈলিয়াভাঙ্গা বিল এবং আশপাশের বিলগুলো মুখরিত।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শিলক ইউনিয়নের তৈলিয়াভাঙ্গা বিল ও আশপাশের ৯শ’ হেক্টর জমিকে বোরে চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে শিলক খালের মরমমুখ এলাকায় প্রায় ৪ বছর আগে রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়। উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, রাবার ড্যাম প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমি বোরো আবাদের আওতায় এসেছে। পরবর্তীতে আবাদের আওতা বাড়ানো হয়।
রাবার ড্যাম প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম তালুকদার জানিয়েছেন, কমিটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেচের পানি পৌঁছে দিচ্ছে ক্ষেতে। আগে একরপ্রতি সেচ কর ছিল এক হাজার টাকা, সেক্ষেত্রে বর্তমানে ধরা হয়েছে ৫০০ টাকা।
শিলক খালের ওপর বাঁধ দিয়ে পাহাড়ি স্রোতের পানি আটকিয়ে এক সময় উপজেলার শিলক ইউনিয়নের তৈলিয়াভাঙ্গা বিলের কৃষকরা বোরো চাষ করত অনিশ্চয়তার ঝুঁকিতে। পানির চাপ বৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত বালির বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় থাকতেন তারা।