Tuesday, September 28, 2010

আপনিও শুরু করুন ই-কমার্স

আপনিও শুরু করুন ই-কমার্স রিপন রায়হান গত জুন থেকে আমাদের দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইন পণ্য কেনাকাটা সুবিধা বা ই-কমার্স চালু হয়েছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গেটওয়ের মাধ্যমে বর্তমানে ক্রেতারা অনলাইনে পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন যেকোনো পণ্য। পণ্য কেনার পাশাপাশি যে কেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রিও করতে পারেন। আইনগতভাবে বৈধ হওয়ার পরও জনসচেতনতা আর উদ্যোগ না থাকায় এটি তেমন জনপ্রিয় হচ্ছে না। তবে এ ব্যবসা যে আমাদের দেশে শিগগিরই জনপ্রিয় হবে এমনটি স্বীকার করেন সবাই। ই-কমার্স ব্যবসার শুরুতেই তাই যোগ দিতে পারেন ই-কমার্স ব্যবসায়ীর দলে।ই-কমার্সে পণ্য বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন-নির্ভর, তাই এটি শুরুর প্রথম পদক্ষেপই হলো নজরকাড়া এবং নিরাপদ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা। ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছোট এবং সহজে মনে রাখা যায় এমন নাম নির্বাচন করা উচিত। 'ওয়েবসাইট যেন দ্রুত খোলা যায় এ জন্য উন্নতমানের হোস্টিং বেছে নেওয়া উচিত। উন্নতমানের হোস্টিংয়ে সাইট দ্রুত খোলে। হোস্টিং নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডেডিকেটেড বা ভিপিএস সার্ভার নির্বাচন করতে হবে। কারণ শেয়ারড হোস্টিং ই-কমার্সের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়। আর সাইটটি থেকে যাতে খুব সহজেই ব্যবহারকারীরা পণ্য কিনতে পারেন এমনভাবে ডিজাইন করা উচিত।' জানান বিডিওয়েবমল্যুশনসের প্রধান নির্বাহী এস এম মেহেদী হাসান। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন স্ক্রিপ্টে ই-কমার্স সাইট তৈরি করা যায়। ই-কমার্স সাইট ডেভেলপ করতে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। তবে এসএসএল সার্টিফিকেট ও ভেরিসাইন কমোডো সাইটের নিরাপত্তা প্রত্যয়নপত্র কিনতে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হয়। যাঁরা কম টাকার মধ্যে ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে চান তাঁরা বিনা মূল্যে ম্যাজেন্টা কমার্স স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করতে পারেন। এটি একটি ডিফল্ট ওয়েব স্ক্রিপ্ট, যেটি থেকে বিনা মূল্যে কোড নিয়ে সার্ভারে আপলোড করে দিলেই ই-কমার্স সাইট তৈরি হয়ে যায়। ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে এটি অনেক জনপ্রিয় একটি স্ক্রিপ্ট আর এর নিরাপত্তায়ও তেমন কোনো ত্রুটি নেই। জনপ্রিয় পেমেন্ট সিস্টেমগুলো এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই (ডিফল্ট) দেওয়া থাকে। গুগল চেকআউট, পেপাল, মাস্টার কার্ডসহ অন্যান্য পেমেন্ট ব্যবস্থা রয়েছে এতে।
সাইট ডেভেলপের কাজ শেষ হওয়ার পর অনলাইনে ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার জন্য ব্যাংকের সঙ্গে অনলাইন পেমেন্ট চুক্তি সম্পাদন করতে হয় বলে জানালেন আঁকা টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী সোহেল ইকবাল। বাংলাদেশে একমাত্র ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা দিচ্ছে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মার্চেন্ট হওয়ার পর ব্যাংকের সরবরাহ করা এপিআই সাইটে বসাতে হবে। 'এপিআই বসানোর কাজ সাইটটির ডেভেলপাররাই সাধারণত করে দেন'_বলেন সোহেল ইকবাল। এ ছাড়া ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করেও অনলাইনে পেমেন্ট গ্রহণ করা যায়। সে ক্ষেত্রে যে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করতে চান সে ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কিছু কাগজপত্র ও পাসপোর্ট জমা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করা যায়। অনলাইন অর্থ লেনদেন প্রতিষ্ঠান পেপালের মাধ্যমেও অনেকেই পণ্য বিক্রি করে থাকেন। আমাদের দেশে পেপালের সমর্থন না থাকায় আপাতত এ সুবিধা ব্যবহার করা যায় না।

No comments:

Post a Comment