Wednesday, December 1, 2010

মেডিকেল টেকনোলজিতে পড়াশোনা

মেডিকেল টেকনোলজিতে পড়াশোনা

মাহাবুবুর রহমান
পড়াশোনার সঙ্গে জীবিকার সম্পর্ক নিবিড়। কিন্তু এজন্য চাই সময়োপযোগী মানসম্পন্ন শিক্ষা। চিকিত্সাসেবায় পেশা গড়া অন্য যে কোনো পেশার চেয়ে অধিক সম্মানজনক। চিকিত্সাসেবায় মূলত ডাক্তারিকে প্রাধান্য দেয়া হয়, কিন্তু একটি হাসপাতাল বা ক্লিনিক শুধু ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না। প্রতিটি বিভাগে ডাক্তারদের সহকারী প্রয়োজন হয়। সেই সঙ্গে নার্সিং, প্যাথলজি, ফিজিওথেরাফি, রেডিওলজি, ল্যাবরেটরি, ফার্মেসি প্রভৃতি বিভাগে প্রয়োজন হয় বিশেষজ্ঞ কর্মীর। এসব বিশেষজ্ঞ কর্মীই মেডিকেল এসিস্টেন্ট ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট হিসেবে পরিচিত। মেডিকেল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ও বিএসসি পর্যায়ে রয়েছে যথাক্রমে ৫ ও ৪ বছরের উচ্চতর শিক্ষা। এসব কোর্স সম্পন্ন করে সহকারী বা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবেও নিয়োগ পেতে পারেন। ডিপ্লোমা করা থাকলেই চাকরি পেতে পারেন, তবে বিএসসি করলে পদমর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। পড়াশোনা করা অবস্থায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় আপনার বাস্তব কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করে নিতে হবে। একাডেমিক রেজাল্টের পাশাপাশি আপনার কর্মদক্ষতা যত ভালো হবে তত ভালো অবস্থানে, ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে পারেন।
পড়াশোনা : মেডিকেল টেকনোলজি ও এসিস্টেন্ট বিষয়ে পড়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০০৮ সালের আগে মেডিকেল টেকনোলজির কোনো বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে পড়ার সুযোগ ছিল না। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সরকারি পর্যায়ে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি-মহাখালী, নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল) এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্নাতক কোর্স করাচ্ছে, যেমন—সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি, স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্স, পিপলস কলেজ অব হেলথ সায়েন্স, ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি ও মার্কস ইনস্টিটিউট। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অনুমতি নিয়েও কিছু প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-২.৫ এবং সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উত্তীর্ণ হলেও এসব কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। তবে বিএসসি পড়তে চাইলে অবশ্যই এইচএসসি পাস হতে হবে এবং অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞানসহ ন্যূনতম মোট জিপিএ-৬ পেতে হবে। যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন তার অনুমোদন, আগের সাফল্য, ব্যয়, পড়াশোনার পদ্ধতি, পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে সরাসরি ভিজিট করে তারপর ভর্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এ সেক্টরে সাইক ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানটিতে মেডিকেল টেকনোলজির নিম্নস্তর থেকে উচ্চতর পর্যায়ের বিভিন্ন কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। মানসম্পন্ন শিক্ষক, কারিকুলাম, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ, উন্নত ল্যাব, লাইব্রেরি ইত্যাদির সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি স্বয়ংসম্পন্ন আধুনিক ক্যাম্পাস। এরা শুরু থেকেই বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় অভূতপূর্ব ফলাফল করছে। অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী কর্তৃক বাস্তবভিত্তিক পাঠদান এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার প্রেক্ষিতেই এ সাফল্য এসেছে বলে কর্তৃপক্ষের অভিমত। এখানে সিলেবাস অনুযায়ী নিয়মিত পাঠদান, প্রাক্টিক্যাল ক্লাস এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মনোযোগী করে গড়ে তোলাসহ অভািবকদের ছাত্রছাত্রীদের পাঠের অগ্রগতি জানিয়ে সব সময় যোগাযোগ রক্ষা করা হয় এবং পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীদের জবের বিষয়ে সহযোগিতা করা হয় কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে। তাই এখানে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থীরা পেতে পারে ভবিষ্যত্ কর্মময় জীবনের দিকনির্দেশনা। এখানে বর্তমানে বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন ল্যাবরেটরি মেডিসিন (প্যাথলজি) এবং বিএসসি ইন ডেন্টাল বিষয়ে স্বল্পসংখক শূন্য আসনে ভর্তি চলছে। যোগাযোগ : সাইক গ্রুপ অব মেডিকেল ইনস্টিটিউশনস, বাড়ি-৯, রোড-২, ব্লক-বি, সেকশন-৬, মিরপুর, ঢাকা। ফোন : ৮০৩৫০৯৫, ০১৯২৪৯০০৯০৭, ০১৭১৫০৬৭৩৭০।

No comments:

Post a Comment