
উপজেলার খাজুর এলাকার কৃষক শফিউল্লা, হাসান আলী, তোয়াব হোসেন, ফজলু মণ্ডল, বিল মোহাম্মদপুরের সেকেন্দার আলী, ময়েন উদ্দিন, তাজুল ইসলাম, ফাজিলপুর এলাকার আজমত আলী, নূর আলম, সিদ্দিকুর রহমান, সাজ্জাদ প্রামাণিক, এনায়েতপুর এলাকার দছির উদ্দিন, আবদুল বাতেনসহ অনেক কৃষক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তারা তাদের ফসলি জমির আইলে বাঁশ ও কঞ্চির উঁচু বেড়া দিয়ে শিমের চাষ করছেন। জমির আইলের শিম বাগান থেকে তারা প্রতি সপ্তাহে মণে মণে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন।
অনেকে আবার শিম বিক্রির অর্থে রীতিমত সচ্ছল হয়ে উঠেছেন। এ এলাকার প্রায় ফসলি জমির আইলে আইলে এখন শোভা পাচ্ছে শিম গাছ। গাছগুলোতে থোকায় থোকায় শিম ধরেছে। শুধু তাই নয়, শীতকালীন অন্যান্য সবজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষের মাধ্যমেও অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছলতা অর্জন করেছে এ এলাকার অনেক কৃষক পরিবার। যেসব কৃষি পরিবারে এ সময়টাতে অভাব-অনটন থাকত শিম, বাঁধাকপি ও ফুলকপির আবাদ সেই সব পরিবারে এবার বাড়তি সচ্ছলতা এনে দিয়েছে। এখানকার প্রায় সব মাঠেই অন্যান্য তরিতরকারির পাশাপাশি এখন শিম চাষ হচ্ছে। এবার এ উপজেলায় শিমের চাষও হয়েছে উল্লেখযোগ্য।
শিম চাষী মতিউর রহমান, আশরাফ আলী, ছমির উদ্দিন, এবাদুর রহমান, আবেদ আলী প্রমুখ বলেন, অনুকূল আবহাওয়ায় এবার শিমের চাষ দারুন হয়েছে। এসব শিম বিক্রি করে তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। কোনো ঋণ ছাড়াই তারা শিমের টাকায় বোরো চাষের খরচ মেটাতে পারবেন বলে আশা করছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এসএপিপিও আবু তাহের মণ্ডল, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবদুল মোমিন এবং বিভিন্ন ব্লকের দায়িত্বে নিয়োজিত কৃষি কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ উপজেলায় এবার প্রায় ১১ হাজার হেক্টর ফসলি জমির আইলে শিমের চাষ হয়েছে। কৃষকরা তাদের জমির আইলে শিম চাষের পাশাপাশি বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, পালংশাক, লালশাক, টমেটোসহ অন্যান্য তরকারির চাষ করেছেন। শিম চাষ করে এবার কৃষকরা যেভাবে সচ্ছলতার দেখা পেয়েছেন তাতে ধারণা করা হচ্ছে আগামীতে শিম চাষে কৃষকরা ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়বেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠে এবার শিম ও কপির অবাদ ভালো হয়েছে এবং ফলনও হচ্ছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি।
বাবুল আখতার, নওগাঁ
No comments:
Post a Comment