প্র জ ন্ম মু খ: দেশীয় ব্র্যান্ড নিয়ে এক নতুন প্রজন্ম:
তানজীম হক ও আসমা সুলতানা
০০ তামান্না শারমীন ০০
০০ তামান্না শারমীন ০০
শৈশব থেকেই ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের বৈচিত্র্যময় ফ্যাশন ওয়্যার হাউসগুলো কাছে টানতো তাকে। কিন্তু টেনিস খেলার সুবাধে ট্রেন্ডি বিদেশি ব্র্যান্ডের স্পোর্টস পোশাকগুলো বেশি পরা হতো তার। বিদেশি নানাবিধ ব্র্যান্ডের পোশাকের লেবেলে যখন 'মেইড ইন বাংলাদেশ' দেখতেন, তখন থেকেই দেশীয় ব্র্যান্ড ডেভলপের প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠেন তিনি। শুধু তাই নয় নিজের ব্র্যান্ড ছড়িয়ে দিতে স্বপ্ন দেখতেন বিশ্বজুড়ে। তবে সেই স্বপ্ন সফল হবে কিনা তা কিন্তু কখনো নিশ্চিতভাবে ভাবেননি। ভাবনার সেই হয়ে ওঠা অনেকটাই সফল হয়েছে আরেকটি মানুষের প্রচেষ্টায়। তার ভালো লাগা আর পাশে থেকে সাহস এবং কর্মপরিকল্পনা যোগানো যেন এই মানুষটিকে আজকের এই প্রজন্মের অন্যতম অধিনায়ক করে তুলেছে। হঁ্যা, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সাফল্যের ব্যাকরণে সত্যিই যেন ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অধিনায়ক হয়ে উঠেছেন তানজীম হক। চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলে বড় চিকিৎসক হবে। আর পারিবারিক আবহ ছিল তাই। কিন্তু নিজের স্বপ্ন আর জীবনের হাতছানি তাকে করে দিল অন্য একটি সফল মুখ। হয়ে গেলেন দেশীয় জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ডের কর্ণধার ও ফ্যাশন ডিজাইনার।
স্বপ্ন বুননের শুরুটা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন সময়ে। ঝোঁকের মাথায় তখনকার প্রেয়সীকে (বর্তমানে সহধর্মিনী আসমা সুলতানা) নিয়ে শুরু করেন চমৎকার কিছু টিশার্টের লাইনআপ। তখনই তানজীম হকের ক্রিয়েটিভিটিকে স্বাগত জানান সবাই। উৎসাহের ডানা পাখা মেলে আকাশে। পাশাপাশি আসমা সুলতানা শুধু তার জন্য অনুপ্রেরণা নয় বরং এক সত্যিকার সহযোগী ও সহকর্মী হয়ে উঠেন। এখনো এই সাফল্যের পুরোটা জুড়ে নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করে আছেন এই প্রজন্মেরই আলোচিত মুখ আসমা সুলতানা। পরিচিতির আলোয়ে তানজিম হক নিজেকে যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি আসমা সুলতানা আড়ালে থেকে সেই তুলে ধরাকে শক্তিশালী করেছেন। আর এই দু'জনের উদ্যোগেই নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ১৯৯৭ সালের দিকে খুবই স্বল্প পরিসরে ধানমন্ডিতে পর্দা তোলেন স্বপ্নের প্রথম পাঠের। গল্পের নাম 'ইস্ট্যাসি'! 'ইস্ট্যাসি' শুরু থেকেই ছিল একটি এমবিও (মাল্টি ব্র্যান্ড আউটলেট)। ফ্যাশনের চলতি ধারা, পোশাকের গুণগত মান রক্ষা এবং মূল্যসীমা ক্রয়সীমার মধ্যে রাখাই ছিল ইস্ট্যাসির তখনকার মূলমন্ত্র।
দেশীয় ফ্যাশন সংস্কৃতিতে ট্রেন্ডি পোশাকে জীবনধারার পরিবর্তন আনতে ইস্ট্যাসি ছিল কেবলমাত্র একটি পদক্ষেপ। তানজীম হক জানান, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফ্যাশন সচেতনতাকে উন্নীত করা এবং বিদেশে দেশীয় ব্র্যান্ড ডেভলপের উদ্দেশ্যেই আমার এই এগিয়ে চলা। ক্যালভিন কেলিইন বা রাল্প রাউরেন-এর মতো বিশ্বসেরা ব্র্যান্ড দেশে ডেভেলপ করার প্রয়াসে ২০০৬ সালে তানজীম নামে নিজস্ব লেবেল অবমুক্ত করেন ডিজাইনার তানজীম হক। তানজীম শুরু থেকেই ফ্যাশন সচেতন শ্রেণীকে লক্ষ্য করে ওয়্যারেবল পোশাক তৈরি করেছেন। তিনি মনে করেন, উচ্চবিত্ত শ্রেণী বিদেশে ভ্রমণকালীন অভিজ্ঞতার কারণে ধারণা পাচ্ছেন কনজামশন প্যাটার্ন-কাটিংয়ের পরিবর্তন সম্পর্কে। জানতে পারছেন আধুনিক লাইফ স্টাইলের নানাবিধ ফ্যাশন অনুষঙ্গ নিয়েও। ফলে, তাদের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে 'তানজীম' তার গুণগত মান নিয়ে এগিয়ে এসেছে। বর্তমানে 'তানজীম' ব্র্যান্ডের অধীনে সম্পূর্ণ ফ্যাশন ওয়্যারের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে চমৎকার সব জুতোর আর্ট লাইন। তানজীম হক মনে করেন, দেশীয় ফ্যাশন লাইফস্টাইলে বেড়ে যাবে গেস্নাবাল আউটফিটের চাহিদা। করপোরেট লাইফস্টাইলে ভিন্নতা আসবে। এবং তখন এসব ক্যাজুয়াল, ফরমাল ও পার্টি ওয়্যার শূন্যতা পূরণ করবে আরো বেশি। নিত্যনতুন ধ্যানধারণা আর ডিজাইনের সঙ্গে মেলবন্ধন ও পরিচিতি করানোটাই এখন তার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে কাজ পাগল এই মানুষটি সহযোগী আরো ৩ জন ডিজাইনার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দৈনিক ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে।
ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে সফলতার মূলমন্ত্র বলতে তিনি মনে করেন, একজন ফ্যাশন ডিজাইনার বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারেন না। তার কর্মের সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ একজন ক্রেতার চাহিদাকে পূরণ করতে পারছে কি না, তা তাকে দেখতে হবে। এজন্য তার প্রয়োজন হবে তার সামগ্রীর বিক্রেতা, ডিজাইন স্বাতন্ত্র্য, কাপড়ের গুণাগুণ, আলোকচিত্রী, সেলসম্যান, ফ্যাশন সাংবাদিকসহ সকলের অকুণ্ঠ সমর্থন। তানজীম জানান, শিগগিরই ১৮-৪০ বছরের বয়সসীমা যাদের, তাদের জন্য জারজেইন (দুই কন্যা জারা ও জেইনা'র নামে) নামে লেডিস ব্র্যান্ড ও শিশুদের জন্য ক্র্যাশ নামে কিডজ ব্র্যান্ড আসছে তানজীমের আউট লাইনে। এছাড়াও, শিগগিরই ভারতের কয়েকটি প্রদেশেও ইস্ট্যাসি-এর বেশকটি আউটলেট যাত্রা শুরু করবে।
স্বপ্ন বুননের শুরুটা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন সময়ে। ঝোঁকের মাথায় তখনকার প্রেয়সীকে (বর্তমানে সহধর্মিনী আসমা সুলতানা) নিয়ে শুরু করেন চমৎকার কিছু টিশার্টের লাইনআপ। তখনই তানজীম হকের ক্রিয়েটিভিটিকে স্বাগত জানান সবাই। উৎসাহের ডানা পাখা মেলে আকাশে। পাশাপাশি আসমা সুলতানা শুধু তার জন্য অনুপ্রেরণা নয় বরং এক সত্যিকার সহযোগী ও সহকর্মী হয়ে উঠেন। এখনো এই সাফল্যের পুরোটা জুড়ে নিজের অস্তিত্ব ঘোষণা করে আছেন এই প্রজন্মেরই আলোচিত মুখ আসমা সুলতানা। পরিচিতির আলোয়ে তানজিম হক নিজেকে যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি আসমা সুলতানা আড়ালে থেকে সেই তুলে ধরাকে শক্তিশালী করেছেন। আর এই দু'জনের উদ্যোগেই নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে ১৯৯৭ সালের দিকে খুবই স্বল্প পরিসরে ধানমন্ডিতে পর্দা তোলেন স্বপ্নের প্রথম পাঠের। গল্পের নাম 'ইস্ট্যাসি'! 'ইস্ট্যাসি' শুরু থেকেই ছিল একটি এমবিও (মাল্টি ব্র্যান্ড আউটলেট)। ফ্যাশনের চলতি ধারা, পোশাকের গুণগত মান রক্ষা এবং মূল্যসীমা ক্রয়সীমার মধ্যে রাখাই ছিল ইস্ট্যাসির তখনকার মূলমন্ত্র।
দেশীয় ফ্যাশন সংস্কৃতিতে ট্রেন্ডি পোশাকে জীবনধারার পরিবর্তন আনতে ইস্ট্যাসি ছিল কেবলমাত্র একটি পদক্ষেপ। তানজীম হক জানান, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফ্যাশন সচেতনতাকে উন্নীত করা এবং বিদেশে দেশীয় ব্র্যান্ড ডেভলপের উদ্দেশ্যেই আমার এই এগিয়ে চলা। ক্যালভিন কেলিইন বা রাল্প রাউরেন-এর মতো বিশ্বসেরা ব্র্যান্ড দেশে ডেভেলপ করার প্রয়াসে ২০০৬ সালে তানজীম নামে নিজস্ব লেবেল অবমুক্ত করেন ডিজাইনার তানজীম হক। তানজীম শুরু থেকেই ফ্যাশন সচেতন শ্রেণীকে লক্ষ্য করে ওয়্যারেবল পোশাক তৈরি করেছেন। তিনি মনে করেন, উচ্চবিত্ত শ্রেণী বিদেশে ভ্রমণকালীন অভিজ্ঞতার কারণে ধারণা পাচ্ছেন কনজামশন প্যাটার্ন-কাটিংয়ের পরিবর্তন সম্পর্কে। জানতে পারছেন আধুনিক লাইফ স্টাইলের নানাবিধ ফ্যাশন অনুষঙ্গ নিয়েও। ফলে, তাদের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে 'তানজীম' তার গুণগত মান নিয়ে এগিয়ে এসেছে। বর্তমানে 'তানজীম' ব্র্যান্ডের অধীনে সম্পূর্ণ ফ্যাশন ওয়্যারের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে চমৎকার সব জুতোর আর্ট লাইন। তানজীম হক মনে করেন, দেশীয় ফ্যাশন লাইফস্টাইলে বেড়ে যাবে গেস্নাবাল আউটফিটের চাহিদা। করপোরেট লাইফস্টাইলে ভিন্নতা আসবে। এবং তখন এসব ক্যাজুয়াল, ফরমাল ও পার্টি ওয়্যার শূন্যতা পূরণ করবে আরো বেশি। নিত্যনতুন ধ্যানধারণা আর ডিজাইনের সঙ্গে মেলবন্ধন ও পরিচিতি করানোটাই এখন তার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে কাজ পাগল এই মানুষটি সহযোগী আরো ৩ জন ডিজাইনার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দৈনিক ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে।
ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে সফলতার মূলমন্ত্র বলতে তিনি মনে করেন, একজন ফ্যাশন ডিজাইনার বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে পারেন না। তার কর্মের সৃষ্টিশীলতার বহিঃপ্রকাশ একজন ক্রেতার চাহিদাকে পূরণ করতে পারছে কি না, তা তাকে দেখতে হবে। এজন্য তার প্রয়োজন হবে তার সামগ্রীর বিক্রেতা, ডিজাইন স্বাতন্ত্র্য, কাপড়ের গুণাগুণ, আলোকচিত্রী, সেলসম্যান, ফ্যাশন সাংবাদিকসহ সকলের অকুণ্ঠ সমর্থন। তানজীম জানান, শিগগিরই ১৮-৪০ বছরের বয়সসীমা যাদের, তাদের জন্য জারজেইন (দুই কন্যা জারা ও জেইনা'র নামে) নামে লেডিস ব্র্যান্ড ও শিশুদের জন্য ক্র্যাশ নামে কিডজ ব্র্যান্ড আসছে তানজীমের আউট লাইনে। এছাড়াও, শিগগিরই ভারতের কয়েকটি প্রদেশেও ইস্ট্যাসি-এর বেশকটি আউটলেট যাত্রা শুরু করবে।
No comments:
Post a Comment