রাঙ্গামাটিতে মাশরুম দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখছে
মাশরুম পুষ্টি ও ঔষধিগুণে ভরা একটি সবজি। মাশরুম উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও জণ্ডিসসহ বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। মাশরুমকে আগে অনেকে 'ব্যাঙের ছাতা' বলে জানতো। কিন্ত ব্যাঙের ছাতা আর মাশরুম এক জিনিস নয়। মাশরুম তৈরি হয় আধুনিক টিসু্যকালচার পদ্ধতিতে। স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি ল্যাবরেটরিতে যে কোনো মাশরুমের একটি থেকে এক টুকরো মাশরুম সংগ্রহ করে, টেস্টটিউবে ভরে টিসু্যকালচারের মাধ্যমে মাশরুমের বীজ উৎপন্ন করা হয়। কাঠের গুঁড়ো, আখের ছোবা, খড় কিংবা ফেলনা কৃষি বর্জ্য দিয়ে মিকচার মেশিনে এর সঙ্গে চুন ও গমের ভুসি মিশিয়ে তৈরি করা হয় বীজ বা স্পন প্যাকেট। এরপর বীজ প্যাকেটগুলোকে জীবাণুমুক্ত করতে অটোক্লেভ মেশিনে ১২০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রায় একঘণ্টা রাখা হয়। ল্যাবরেটরিতে উৎপাদিত বীজ ক্লিনবেঞ্চের মাধ্যমে এই স্পন প্যাকেটে দেয়া হয়।
রাঙ্গামাটিতে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ শুরু হয়েছে। মাশরুম চাষ করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় অনেক উপজাতীয় নারী-পুরুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। স্বল্প খরচে মাশরুম চাষ ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় মাশরুম চাষ রাঙ্গামাটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খাদ্য হিসেবে মাশরুমের উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ লোকজনের মাঝে ধারণা হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে। পাহাড়ে বসবাসরত উপজাতি জনগোষ্ঠীদের আগে থেকেই মাশরুম একটি জনপ্রিয় খাদ্য। এ কারণে উপজাতিরা মাশরুম চাষে অধিক আগ্রহী। রাঙ্গামাটি জেলার আসাম বস্তি এলাকা, মনোঘর এলাকা, তবলছড়িসহ অসংখ্য এলাকায় উপজাতি বাঙালিরা বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেছেন। তবে মাশরুম চাষে উপজাতিরা বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। আগের পাহাড়িরা সবজি হিসেবে পরিবারের জন্য চাষ করলেও স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় বর্তমানে মাশরুম বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছে। পাহাড়ি অনেক পরিবার জুম চাষের পরিবর্তে ঘরের মধ্যেই মাশরুম চাষ শুরু করেছে। মাশরুম দিয়ে নানা ধরনের নাশতা তৈরি, তরকারি হিসেবে ও বিভিন্নভাবে এটি খাওয়া যায়।
মাশরুম চাষে বেশি পরিশ্রম করা লাগে না। মাশরুম চাষ স্বল্প খরচে অতি দ্রুত অধিক লাভবান হওয়া যায়। একটি স্পন (বীজ) থেকে ২৫০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত মাশরুম উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি কেজি মাশরুম বিক্রি হয় ১২০-১৪০ টাকায়। তাই বাজারে এর চাহিদাও বেশি। দারিদ্র্য বিমোচনে মাশরুম রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলছে। মাশরুম বিক্রি করে মাসে তিন থেকে বারো হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। সঁ্যাতসেঁতে পরিবেশে ঘরের বাড়তি স্থানে ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করা কঠিন কিছু নয়। স্পন বা বীজ কিনে প্যাকেটের গায়ে ধারালো বেস্নড বা চাকু দিয়ে 'ডি' আকৃতিতে কেটে আদর্্রতা ভেদে ৩-৪ বার পানি দিয়ে পরিচর্যা করলেই মাশরুম পাওয়া সম্ভব। মাশরুম চাষে বড় জায়গার প্রয়োজন হয় না। মাশরুম চাষকে আরো সমপ্রসারণ করে মানুষের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেয়া গেলে দারিদ্র্য বিমোচনের একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
মো. শফিকুর রহমান, বনরূপা, রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।রাঙ্গামাটিতে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ শুরু হয়েছে। মাশরুম চাষ করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় অনেক উপজাতীয় নারী-পুরুষ স্বাবলম্বী হয়েছে। স্বল্প খরচে মাশরুম চাষ ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় মাশরুম চাষ রাঙ্গামাটিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খাদ্য হিসেবে মাশরুমের উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ লোকজনের মাঝে ধারণা হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদাও বাড়ছে। পাহাড়ে বসবাসরত উপজাতি জনগোষ্ঠীদের আগে থেকেই মাশরুম একটি জনপ্রিয় খাদ্য। এ কারণে উপজাতিরা মাশরুম চাষে অধিক আগ্রহী। রাঙ্গামাটি জেলার আসাম বস্তি এলাকা, মনোঘর এলাকা, তবলছড়িসহ অসংখ্য এলাকায় উপজাতি বাঙালিরা বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেছেন। তবে মাশরুম চাষে উপজাতিরা বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে। আগের পাহাড়িরা সবজি হিসেবে পরিবারের জন্য চাষ করলেও স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় বর্তমানে মাশরুম বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছে। পাহাড়ি অনেক পরিবার জুম চাষের পরিবর্তে ঘরের মধ্যেই মাশরুম চাষ শুরু করেছে। মাশরুম দিয়ে নানা ধরনের নাশতা তৈরি, তরকারি হিসেবে ও বিভিন্নভাবে এটি খাওয়া যায়।
মাশরুম চাষে বেশি পরিশ্রম করা লাগে না। মাশরুম চাষ স্বল্প খরচে অতি দ্রুত অধিক লাভবান হওয়া যায়। একটি স্পন (বীজ) থেকে ২৫০-৩০০ গ্রাম পর্যন্ত মাশরুম উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি কেজি মাশরুম বিক্রি হয় ১২০-১৪০ টাকায়। তাই বাজারে এর চাহিদাও বেশি। দারিদ্র্য বিমোচনে মাশরুম রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলছে। মাশরুম বিক্রি করে মাসে তিন থেকে বারো হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। সঁ্যাতসেঁতে পরিবেশে ঘরের বাড়তি স্থানে ওয়েস্টার মাশরুম চাষ করা কঠিন কিছু নয়। স্পন বা বীজ কিনে প্যাকেটের গায়ে ধারালো বেস্নড বা চাকু দিয়ে 'ডি' আকৃতিতে কেটে আদর্্রতা ভেদে ৩-৪ বার পানি দিয়ে পরিচর্যা করলেই মাশরুম পাওয়া সম্ভব। মাশরুম চাষে বড় জায়গার প্রয়োজন হয় না। মাশরুম চাষকে আরো সমপ্রসারণ করে মানুষের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দেয়া গেলে দারিদ্র্য বিমোচনের একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
No comments:
Post a Comment