Sunday, March 30, 2014

আমির হোসেনের জ্বালানিবিহীন গাড়ি

আমির হোসেনের জ্বালানিবিহীন গাড়ি

তেল-গ্যাস ছাড়াই চলে, আধুনিক সুবিধাসহ এমন গাড়ি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বগুড়ার যন্ত্রকেৌশলী আমির হোসেন। পরিবেশবান্ধব এই গাড়ির কয়েকটি মডেল এখন চলছে বগুড়া ও সিলেট শহরে।
রানি ভিক্টোরিয়া, রানি এলিজাবেথ, হিটলারের মতো ঐতিহাসিক ব্যক্তির নামে গাড়ি তৈরি করে অনেক আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন আমির হোসেন। আবার তিনি আলোচনায়। এবার উদ্ভাবন করেছেন জ্বালানিবিহীন গাড়ি। নাম দিয়েছেন রফ-রফ তাহিয়া’, অর্থ হলো সুন্দর ও দ্রুততম যান’। দেশে জ্বালানিসাশ্রয় ও বায়ুদূষণ রোধে যানটি তৈরির পরিকল্পনা মাথায় আসে তঁার। মাত্র এক বছরের চষ্টোয় ২০১২ সালে পুরোপুরি সফল হন তিনি। পঁাচ আসনের ২৫০ কেজি ওজনের গাড়িটি চলতে তেল-মবিল লাগে না। প্রয়োজন নেই সিএনজিরও। পরিবেশবান্ধব গাড়িটি আরোহীদের নিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে।

২৫ টাকায় ৮ ঘণ্টা

গাড়িটির গতিশক্তির উত্স ৬০ ভোল্টের একটি ইলেকট্রিক টারবাইন মোটর। মোটরটি চলে একটি দেড় বাই দুই ইঞ্চির কার্বন দিয়ে। টানা আট ঘণ্টা চলার পর এই কার্বন ক্ষয় হয়ে যায়। তখন এটি পরিবর্তন করে নতুন আরেকটি লাগিয়ে নিলেই হলো। পরিবর্তন করতে সময়ও লাগে খুব কম, মাত্র দুই মিনিট। কার্বনটির দাম মাত্র ২৫ টাকা। ধঁোয়াবিহীন হওয়ায় গাড়িটিকে বলা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব।

গাড়ির অটোপুশে চাপ দিলেই ঘুরতে থাকে গিয়ার হুইল। গতি পায় এর সঙ্গে লাগানো চাকাগুলো। এরপর এক্সিলারেটর ও ব্রেক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় গতি। চালকের সামনে রয়েছে একটি মনিটর। এই মনিটরে গাড়ির গতি ও অন্যান্য বিষয় দেখা যায়।
গাড়ির বিভিন্ন ইলেকট্রনিক লাইনে বিদু্যত্ সরবরাহ করার জন্য আছে ডায়নামো নিয়নি্ত্রত একটি ব্যাটারি। হেডলাইট, ব্যাকলাইট ও ব্রেকলাইটও শক্তি পায় এ ব্যাটারি থেকেই। প্রচলিত মোটরযানের মতো রফ-রফ তাহিয়ায় জটিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফাংশন নেই বলে এটা ঝুঁকিমুক্ত। যানি্ত্রক কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
এই গাড়ির মডেল বানানো হয়েছে তিনটি। এগুলোর মধ্যে দুটি কার ও একটি বাস। এখন বগুড়া ও সিলেটে চলছে ছয়টি রফ-রফ তাহিয়া। প্রচলিত পঁাচ আসনের বিদেশি গাড়ির দাম যেখানে কমপক্ষে ১০ লাখ, সেখানে রফ-রফ তাহিয়া কিনতে খরচ হবে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।

একজন আমির হোসেন

স্কুল-কলেজে পড়ালেখার ফঁাকে আমির হোসেন কারিগরি শিক্ষা নিয়েছেন তঁার বাবার ওয়ার্কশপে। বাবা ধলু মেকারকে এক নামেই চিনত বগুড়াসহ উত্তরবঙ্গের মানুষ। ১৯৮৮ সালের নভেম্বর মাসে ধলু মেকার মারা যাওয়ার পর রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের দায়িত্ব পড়ে আমিরের কঁাধে। এর পর থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের কৃষিজ যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করে আলোচনায় আসেন আমির হোসেন। পরে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ প্রকেৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যন্ত্রকেৌশল বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন। গাড়ি তৈরির স্বপ্ন দেখতেন তখন থেকেই। সে সময় প্রথম তৈরি করেন ব্রিটিশ রানি ভিক্টোরিয়ার নামে একটি গাড়ি। সেটি বগুড়ার একাধিক কৃষিপ্রযুক্তি মেলায় উপস্থাপনের পর দেশ-বিদেশের অনেকে এর প্রশংসা করেন।

এই উদ্ভাবন দেখে ২০০৮ সালের শেষ দিকে ভারতের মোটর কম্পানি টিভিএসের প্রকেৌশলীরা তঁাকে গাড়ি তৈরির প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমির হোসেন দেশীয় প্রযুক্তিতে কম দামে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তঁার উদ্ভাবন পঁেৌছে দিতে ফিরিয়ে দেন সেই প্রস্তাব।

আরো কিছু গাড়ি

আমির হোসেন ১০০ বছর আগের রানি ভিক্টোরিয়ার এবং ১৯৩৭ সালের হিটলারের ব্যবহূত গাড়ির আদলেও গাড়ি বানান। ১৪০০ সিসির এই গাড়ি দুটির গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এতে ব্যবহূত চেসিস, ফরহেন, এক্সেল, চাকার রিং, ড্যাশবোর্ড∏সব কিছুই আন্তর্জাতিক মানের। ৭০০ কেজি ওজনের প্রতিটি গাড়ির দাম প্রাথমিকভাবে তিন লাখ টাকা ধরা হয়। এর দাম আরো কমানো সম্ভব বলে জানান তিনি। তঁার তৈরি অন্যান্য গাড়ির মধ্যে এ-সিক্স ৩৪, এলটি ৬২১৬, এলএম ৩০২১ উলে্লখযোগ্য।


ভবিষ্যত্ পরিকল্পনা

বাংলাদেশের মফস্বল শহরেও যে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন গাড়ি তৈরি সম্ভব, সেটা প্রমাণ করতেই আমির হোসেনের এই চষ্টো। এখন কাজ করছেন চার সিলিন্ডারবিশষ্টি ৪৫০ সিসির সিএনজি মোটরসাইকেল নিয়ে। সরকারি সহযোগিতার অভাব জানিয়ে আমির বলেন, এই উদ্ভাবনের পরও ব্যাংক থেকে তঁাকে সহযোগিতা করা হয় না। সহযোগিতা পেলে দেশের সামনে বগুড়াকে তিনি নতুন করে উপস্থাপন করতে পারবেন।

Source: http://techshohor.com




আমির হোসেনের মোবাইল নম্বর : +8801714422467

Related Link:

Friday, March 7, 2014

বাংলাদেশে বাতাসচালিত দ্রুতগতির সাইকেল উদ্ভাবন!





Sunday, December 22, 2013

বিস্ময়কর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্ভাবন

বিস্ময়কর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্ভাবন

 মহাজাগতিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের এক বিস্ময়কর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ এফ কামাল। এই অত্যাশ্চর্য আবিষ্কারে অভিভূত হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাশ্রয়ের কথা চিন্তা করে আবিষ্কারকের কাছে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ী শিল্পপতি-উদ্যোক্তারা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজসহ (সিসিসিআই) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তার উদ্ভাবিত বিশেষ বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছে। প্রকল্পটির মধ্য দিয়ে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং জ্বালানি সংকট নিরসনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইঞ্জিনিয়ার ড. আহমেদ এফ কামালের এই বিশেষ বিদ্যুৎ প্রকল্পের অন্যতম বিশেষত্বগুলো হলো- এটি পরিবেশবান্ধব, এতে ধোঁয়া, শব্দ, ক্ষতিকারক বর্জ্য বা তেজষ্ক্রিয়তা নির্গমন হয় না, এ থেকে সারা বছর একই হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, এটিকে সহজে এবং নামমাত্র খরচে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় এবং স্থাপনের জন্য অত্যন্ত স্বল্প স্থানই যথেষ্ট। তবে প্রকল্পটির সবচেয়ে চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এটি নিয়মিত কোনো জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা বা তেজষ্ক্রিয়তা পদার্থ) অথবা প্রাকৃতিক শক্তি (পানি, বাতাস বা সৌররশ্মি) ছাড়াই কেবলমাত্র চৌম্বকক্ষেত্রে তরঙ্গের পর্যায়ক্রমিক বিবর্তনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সুতরাং উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের পুরোটাই বাংলাদেশ সরকারের তহবিলে মুনাফা হিসেবে জমা হবে।
সদ্য মার্কিন মুলুক থেকে ফেরা পারড়ু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবচেয়ে কম সময়ে ব্যাচেলরস ড. আহমেদ এফ কামাল জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনে তার এই প্রকল্পের মাধ্যমে অভাবনীয় ব্যয় হ্রাসের সুযোগটি পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে দেশে নিকট ভবিষ্যতেই বিদ্যুতের দাম কমবে, চাহিদাও মিটবে সহসাই। উপরন্তু বিদ্যুতের বহুমুখী ব্যবহার ও জাতীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে আয় হবে হাজার হাজার কোটি টাকা। সিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম বন্দর আসনের এমপি এম এ লতিফ বলেন, ড. আহমেদ এফ কামাল উদ্ভাবিত প্রকল্পটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণের জন্য সিসিসিআই প্রস্তাব দিয়েছে। দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে এটি সম্ভব হলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে নতুন যুগের সূচনা ঘটবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিশিষ্ট গবেষক নাসিমুল কামালের ছেলে আহমেদ এফ কামাল। ছেলের এই উদ্ভাবনের বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি জানান, ড. আহমেদ তার আবিষ্কারের ওপর পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতনামা বৈজ্ঞানিক সাময়িকী 'নেচার'-এর জন্য একটি প্রবন্ধ রচনা করছেন। উল্লেখ্য, নেচার সম্পাদক এবং লেখকরা সবাই পরবর্তীকালে পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানে নোবেল কিংবা সমকক্ষ পুরস্কার পেয়েছেন। ড. আহমেদ সেই সফল বিজ্ঞানীদের একজন যারা তাত্তি্বক এবং ব্যবহারিক দুই ধরনের গবেষণাই করেছেন। তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গসহ পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং প্রকৌশলবিদ্যার বহু শাখায় তার মৌলিক গবেষণা রয়েছে। তার অন্যান্য আবিষ্কারের বিবরণ ইন্টারনেটে নাসা এবং বেল ল্যাবরেটরিসহ বহু বিশ্বখ্যাত সাইটে পাওয়া যায়। প্রচারবিমুখ ড. আহমেদ থ্রিডি ইমেজ প্রসেসিংয়ের অন্যতম আবিষ্কারক (যা চিকিৎসা জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনকারী এবং বহু জীবন রক্ষাকারী এমআরআই, সিটিস্ক্যান, ত্রিমাত্রিক সার্জারি জাতীয় প্রযুক্তিসমূহের এবং থ্রিডি টেলিভিশনের সূচনা করেছে) এবং থ্রিজি-ফোরজি টেলিকমিউনিকেশন্সের অন্যতম প্রবক্তা (যা পৃথিবীকে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের বর্তমান থ্রিজি-ফোরজি সংস্করণগুলোর দ্বারপ্রান্তে এনে দিয়েছে)। কিংবদন্তি আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফেনীর গভর্নর মরহুম খাজা আহমেদ এমপির নাতি ড. আহমেদ । অধ্যয়ন করেছেন আমেরিকায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তিনি পারড়ু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বকালের সবচেয়ে কম সময়ে ব্যাচেলরস, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে আরেকটি মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার, ফলিত গণিত এবং আইসিটিতে বিশেষজ্ঞতা লাভ করেন। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই তিনি গবেষক, অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান পদে আমেরিকায় এবং বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন।

Tuesday, January 1, 2013

জাপানে বাংলাদেশী ছাত্রের কৃতিত্ব: মাছের সেক্স পরিবর্তনের অজানা রহস্য উঘাটিত

জাপানে বাংলাদেশী ছাত্রের কৃতিত্ব:
মাছের সেক্স পরিবর্তনের অজানা রহস্য উঘাটিত
মশিউর রহমান : সমুদ্রে এমন কিছু মাছ বসবাস করে যারা জীবনের একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে সেক্স পরিবর্তন করে পুরুষ মাছ স্ত্রীতে অথবা স্ত্রী মাছ পুরুষ মাছে রূপান্তরিত হয়। ঠিক কী কারণে এসব মাছ সেক্স পরিবর্তন করে তা এতদিন বিজ্ঞানীদের অজানা ছিল। সম্প্রতি জাপানের ওকিনাওয়ার রিউকিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে গবেষণারত বাংলাদেশী ছাত্র ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম এ অজানা রহস্য উঘাটন করতে সমর্থ হয়েছেন। উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবে গত ১১ সেপ্টেম্বর তাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান প্রেসিডেন্ট পদকে ভূষিত করা হয়।
ড. আলম জানান, সেক্স পরিবর্তনকারী মাছের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোরাল রীফে (প্রবালের খাঁজ) বসবাসকারী গ্রুপার (Grouper) মাছ। এ গ্রুপার মাছ প্রথমে স্ত্রী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে ও পরিপক্কতা লাভ করে এবং এক বা একাধিকবার প্রজননে অংশ নেয়। এসব স্ত্রী মাছ পরবর্তীতে সেক্স পরিবর্তন করে পুরুষ মাছে রূপান্তরিত হয় এবং সক্রিয় পুরুষ মাছ হিসেবে প্রজননে অংশগ্রহণ করে। গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান প্রেসিডেন্ট পদকে ভূষিত হন।
মজার ব্যাপার হলো এসব মাছ আর কখনই পূর্বের সেক্সে ফিরে আসে না। কিন্তু কিভাবে এই গ্রুপার (Grouper) মাছ সেক্স পরিবর্তন করে সক্রিয় পুরুষ মাছে রূপান্তরিত হয় তাই ছিল ডঃ মোহাম্মদ আশরাফুল আলমের গবেষণার বিষয়বস্তু। তিনি প্রথমবারের মতো তার গবেষণায় দেখিয়েছেন যে, স্ত্রী মাছের গোনাডের (প্রজনন অঙ্গ) মধ্যে এক ধরনের বিশেষ কোষ আছে যারা পুরুষ হরমোন (এন্ড্রোজেন) তৈরি করে। সাধারণত এসব মাছ যখন তার মূল দৈর্ঘ্যের দুই-তৃতীয়াংশ বড় হয় তখনই এই বিশেষ কোষগুলো এন্ড্রোজেন তৈরি শুরু করে এবং স্ত্রী মাছ ধীরে ধীরে পুরুষ মাছে রূপান্তরিত হয়। আর এ অনবদ্য গবেষণার জন্য ড. আলম জাপান সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান প্রেসিডেন্ট পদকে ভূষিত হন।
তিনি আরও দেখিয়েছেন যে, এ পরিবর্তনের সময় স্ত্রী মাছের (ফিমেল স্পেসেফিক) জিনগুলো ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে এবং তাদের প্রকাশ (expression) কমে যায়। অন্যদিকে এ সময় পুরুষ মাছের (মেইল স্পেসেফিক) জিনগুলো সক্রিয় হয় এবং এদের প্রকাশ (expression)-এর পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এভাবেই স্ত্রী মাছটি পুরুষ মাছে রূপান্তরিত হয়। ড. আলমের এ গবেষণা সম্পর্কিত ১০টি নিবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ড. আলমের জাপানের পিএইচডি তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক মাশারু নাকামুরা জানান, এটি একটি অনবদ্য ও যুগান্তকারী উদ্ভাবন। এর ফলে কৌলিতত্ত্ব গবেষণায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা হলো।
ড. আলমের বাংলাদেশের এমএস তত্ত্বাবধায়ক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ বায়োলজি এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সামছুল আলম বলেন, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা সুযোগ পেলে মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ড. আলম। তিনি কৌলিতত্ত্ব গবেষণায় পদক লাভ করে দেশের সুনাম বাড়িয়েছেন। ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রে প্রবালের খাঁজে ভেটকি বা কোরাল মাছও ওইভাবে সেক্স পরিবর্তন করে। তিনি তার গবেষণালব্ধ জ্ঞান দেশ ও জাতির সেবায় কাজে লাগাতে চান।
মাছের সেক্স পরিবর্তনের সময় ব্রেন (মস্তিষ্ক) কি ভূমিকা পালন করে বর্তমানে এর ওপর তিনি তার গবেষণা কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। মাছের সেক্স পরিবর্তনের বর্তমান জ্ঞানের বাইরে কারো কোন প্রস্তাবনা থাকলে তার ল্যাবে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ১৯৭৭ সালে টাঙ্গাইল জেলার মগড়া ইউনিয়নের ভিতর শিমুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। টাঙ্গাইলে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৯৩-১৯৯৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে ভর্তি হন এবং ১৯৯৭ সালের (২০০০ সনে অনুষ্ঠিত) বিএসসি ফিসারিজ অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন। ২০০২ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে মাস্টার্সে এ প্লাস (A+) প্রাপ্ত হন। ২০০২ সালে তিনি ডেনমার্কের Aarhus বিশ্ববিদ্যালয় হতে জেনেটিক্স ডাটা এনালাইসিস-এর সফটওয়ারের ওপর প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। অতঃপর ২০০৩ সালে জাপান সরকার প্রদত্ত মনোবুকাগাকুশো বৃত্তি নিয়ে জাপানের ওকিনাওয়ার রিউকিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এস শুরু করেন এবং এ ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাছের সেক্স পরিবর্তনের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পিএইচডিতে অনন্য গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান প্রেসিডেন্ট পদকে ভূষিত হন।

Friday, October 5, 2012

বগুড়ার আমির হোসেনের অটোব্রিক্স মেশিন বিদেশে রফতানি হচ্ছে

বগুড়ার আমির হোসেনের অটোব্রিক্স মেশিন বিদেশে রফতানি হচ্ছে

মোস্তফা মোঘল, বগুড়া অফিস : কোন প্রকৌশল বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়েও প্রকৌশলী হয়েছেন তিনি। তার উদ্ভাবিত যন্ত্র এখন দেশের কৃষি বিপ্লবের অন্যতম হাতিয়ার। শুধু তাই নয়; দেশের পাশাপাশি বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। তার উদ্ভাবিত স্বল্পমূল্যের মিনি অটোব্রিক্স মেশিন এখন রফতানি হচ্ছে বিদেশে। আগুন যেমন ছাই চাপা দিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তেমনি হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও প্রতিভার বিকাশ ঠেকানো যায় না। চিরসত্য এই কথার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন স্বশিক্ষিত যন্ত্রবিজ্ঞানী আমির হোসেন।
আমির হোসেন বগুড়া শহরের কাটনারপাড়ায় অবস্থিত রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের মালিক। ইতিপুর্বে তিনি কৃষি কাজে ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করে দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলেন। এবার অটোমেটিক পদ্ধতি ইট তৈরির মেশিন আবিষ্কার করে আবারও সবাইকে তাক লাগিয়েছেন। আমির হোসেন জানান, আধুনিক মডেলের এই মেশিন সহজে স্থানান্তর করা যায়। মেশিনটি রাখতে জায়গা লাগবে ৬ ফুট বাই ২২ ফুট। জনবল লাগবে ১০ জন। এই মেশিন থেকে প্রতি ঘণ্টায় ১২শ' ইট তৈরি করা যাবে। ইলেকট্রিক ও ডিজেল দুই পদ্ধতিতে এই মেশিন চলানো যাবে। ৩৫ হর্সের একটি ডিজেল শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে চলবে প্রতি ঘণ্টায় ১.৫ লিটার ডিজেল লাগবে। ৩টি মেশিন সংযোগ করলে সম্পূর্ণ ইটভাটা চলবে।
কম খরচে স্বল্প জনবলে এ মেশিনে ইট উৎপাদিত হওয়ায় ভাটা মালিকদের কাছে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি এই মিনি অটো ব্রিক্স মেশিন ভারত, নেপাল ও ভুটানে রফতানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে বিশ্বের আরও অনেক দেশে এই মেশিন রফতানি হবে এমন প্রত্যাশা করছেন আমির হোসেন।
আমির হোসেন কোন প্রযুক্তি একবার চোখে দেখেই তা তৈরি করতে সক্ষম। ফলশ্রুতিতে নিত্য নতুন মেশিন আবিস্কার করেই চলেছেন তিনি। দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে রেলগাড়ী, ইটভাঙ্গা মেশিন, সেমাই তৈরি মেশিন, ফিস ফিড, পোলট্রি ফিড, গো-খাদ্য অটো মেশিন, মিকচার মেশিন, ভুট্টা মাড়াই ও ভাঙ্গা মেশিন, শুটকি মাছ, ঝিনুক খৈল ক্রাশার মেশিন, সিলিকান ভাঙ্গা অটো মেশিন, জৈব মিশ্র সার তৈরি সেমি অটো মেশিন ও প্লাসটিক পাইপ তৈরি মেশিন তৈরি করে দেশে ব্যাপক আলোচনায় চলে এসেছেন তিনি। এছাড়াও তার আবিস্কৃত রয়েছে বড়ই, আদা, রশুন, মরিচ ও সস তৈরি অটো ক্রাশার মেশিন, আম, আনারস, টমেটো, কমলা লেবু ক্রাশার মেশিন, ড্রাম সিডার চাষ ছাড়াই বীজ বপন যন্ত্র, শস্য মাড়াই, ধান কাটা মেশিন। এছাড়া বিনোদন পার্কে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তিনি তৈরি করে আলোচিত হয়েছেন।
বগুড়া শহরের ঠিকাদারপাড়া লেনের ধলু মেকার প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ গড়ে তোলেন ১৯৪০ সালে। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় তৎকালিন বগুড়ার ডিসির নির্দেশে ধলু মেকার সতর্কতামুলক ‘সাইরেন মেশিন' তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। এই ধলু মেকার নিজেই হস্ত চালিত লেদ মেশিন তৈরি করে বগুড়াসহ উত্তরবঙ্গে আলোচনায় আসেন। তিনি ১৯৮৮ সালের ১৩ নবেম্বর মাসে মারা যাওয়ার পর রহিম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের দায়িত্ব নেন তার ছেলে আমির হোসেন। ধলু মেকারের ৮ ছেলে- মেয়ের মধ্যে আমির হোসেন চতুর্থ। পিতার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় গবেষণা। শুরু হয় বিভিন্ন মেশিন তৈরির কল্পনা। প্রকৌশলী আমির হোসেন ২০০৩ সালে বুয়েট থেকে বিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী ও জিটিজেড থেকে কৃষি সামগ্রী উদ্ভাবনের উপর প্রশিক্ষণ নেন। এ কাজে আমির হোসেনকে সাহায্য করেন তার দ্বিতীয় মেয়ে আসমা খানম আশা ও তৃতীয় মেয়ে তাহিয়া খানম। তার প্রথম মেয়ে আমনিরা খানম এলএলবিতে লেখাপড়া করলেও মাঝে মাঝে তিনিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। আমিরের মেয়ে আসমা খানম আশা বুয়েট থেকে এই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর পদকও পেয়েছেন। আমির হোসেন পাথর ভাঙা মেশিন উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক আবিস্কার তাকে নিয়ে গেছে অনেক উচ্চাসনে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় নতুন নতুন আবিস্কারের জন্য তাগাদা দেয়া হয়। এতে তিনি আরও উৎসাহিত হয়ে নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কারে সক্ষম হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আমির হোসেন।

Source: http://www.dailysangram.com
4th October, 2012 

বাংলাদেশী গবেষকদের আবিষ্কার ডাক্তার ছাড়াই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা

বাংলাদেশী গবেষকদের আবিষ্কার ডাক্তার ছাড়াই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা

প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল নয়, নিকটবর্তী কোন হাসপাতাল বা ডাক্তার নাই। আপনার বাচ্চা অসুস্থ মনে হচ্ছে কিন্তু কি হয়েছে বুঝতে পারছেন না। এদের কথা চিন্তা করেই সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে তৈরি করা হয়েছে ডাক্তার ছাড়াই প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতি।
ড. আতিকুর রহমান এবং বাহারুল ইসলাম গবেষক হিসাবে কাজ করছেন জেমস কুক ইউনিভার্সিটি সিংগাপুর ক্যাম্পাসে। স্বল্প মূল্যের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে আফ্রিকা এবং এশিয়ার অনেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে কিভাবে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া যায় সেই চিন্তা থেকে তারা নিরলস এক বছর গবেষণা করে এমন একটা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন যার মাধ্যমে ডাক্তার ছাড়াই এক থেকে আট বছর বয়সের বাচ্চাদের শ্বাস কষ্টজনিত রোগ যেমন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদির প্রাথমিক অবস্থায় জানা যাবে।
এই কাজ করতে তারা উন্নয়নশীল দেশ যেমন ভারত, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার বাচ্চার শ্বাস কষ্ট জনিত বিভিন্ন রোগের তথ্য-উপাত্ত যেমন বাচ্চার নিঃশ্বাসের শব্দ, রোগের লক্ষণ, ডাক্তারের বক্তব্য, পিতামাতার বক্তব্য ইত্যাদি নিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের ঢাকা (আজিমপুর, মিরপুর), নরসিংদি ও ভোলা জেলার এবং ভারতেরর তামিলনাইডু ও দিল্লী থেকে এই ডাটা গুলো সংগ্রহ করেছেন।
এ প্রসংগে গবেষক ড. আতিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমি মনে করি এই সিস্টেম উন্নয়নশীল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য একটা আশীর্বাদ স্বরূপ। এক থেকে ৮ বছর বয়সের বাচ্চাদের প্রায় ১২০০ ফিচার ও বিভিন্ন রোগের উপাত্ত নিয়ে আমরা এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করেছি।‘‘
সম্প্রতি তারা তাদের উদ্ভাবিত সিস্টেমটি বাংলাদেশের ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন থানার চাপড়ী গ্রামে প্রায় ৫০টি পরিবারের ওপর সফল ভাবে প্রয়োগ করেছেন। প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে  মোবাইল ফোন প্রদান করে তাদের সিস্টেমের ফলাফল পরীক্ষা করছেন। ওই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পিতা-মাতা তাদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে বাচ্চার নিঃশ্বাসের শব্দ রেকর্ড করে মাল্টিমিডিয়া মেসেজ (এমএমএস) করে পাঠালে সাথে সাথে তারা ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারেন তাদের বাচ্চার স্বাস্থ্যের অবস্থা কি। এখন পর্যন্ত এই সিস্টেমের ফলাফল দেখে ৮ জন বাচ্চার পিতা-মাতা তাদের বাচ্চাকে নিয়ে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের ভিতর ৭ জন বাচ্চার রেস্পাইরেটরী বা শ্বাস কষ্ট জনিত রোগ আছে বলে ডাক্তার নিশ্চিত করেছেন। ফলে ঐ শিশুরা এই সিস্টেমের মাধ্যমে জটিল রোগে আক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পেল।
এই সম্পর্কে গবেষক বাহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘উন্নয়নশীল দেশের প্রায় কম বেশি সবাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। সুতরাং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কিভাবে তাদের স্বংক্রিয় ভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া যায় এই চিন্তা থেকে আমাদের এই পদ্ধতি তৈরি করা।’’
এই প্রজেক্টের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ড. ইনসু সং বলেন, "This mobile phone based health technology is for children that will save many children's life in the world."
আপনার বাচ্চার শ্বাস কষ্টজনিত রোগ আছে কিনা বা থাকলে কি পরিমাণ আছে তা এখনি জানতে পারেন। এর জন্য আপনাকে শুধু আপনার মোবাইল থেকে আপনার বাচ্চার নিঃশ্বাসের শব্দ রেকর্ড করে এমএমএস করতে হবে। সাথে সাথে আপনি আপনার বাচ্চার অবস্থার উপর তার একটা ফিরতি ম্যাসেজ পাবেন। ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমেও এই সেবা পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিঃশ্বাস রেকর্ড করে অনলাইনে আপলোড করলে সাথে সাথে জেনে যাবেন আপনার বাচ্চার অবস্থা।  
এই প্রজেক্টের অর্থায়ন করছে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন (মাইক্রোসফট) এবং সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন ড. ইনসু সং, জেমস কুক ইউনিভার্সিটি সিংগাপুর।
ড. আতিকুর রহমান খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করে সেখানেই ৭ বছর অধ্যাপনা করেছেন পরে ন্যানইয়াং টেকনোলোজিক্যাল ইউনিভার্সিটি সিংগাপুর থেকে পিএইচডি করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলায়।
বাহারুল ইসলাম রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারে বিএসসি এবং  ন্যানইয়াং টেকনোলোজিক্যাল ইউনিভার্সিটি সিংগাপুর থেকে মাস্টার্স করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মাদপুর থানার রো-নগর গ্রামে।
বাচ্চার নিঃশ্বাস আপলোড করতে এই লিংক যেতে http://www.infor.kopo.com/breathing-sound-analyser হবে অথবা এমএমএস করতে পারেন + ৬৫ ৯১০৮৮৯৯২ নাম্বারে।            

Source: http://www.dailysangram.com