Tuesday, November 2, 2010

ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চিটাগং ক্যারিয়ারনির্ভর পড়াশোনায় মেয়েরাই এগিয়ে

ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চিটাগং ক্যারিয়ারনির্ভর পড়াশোনায় মেয়েরাই এগিয়ে

মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম
এক সময় মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে পরিবারগুলোতে ছিল চরম উদাসীনতা। তবে সময়ের বিবর্তনে এ জাতীয় মানসিকতার অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। মেয়েরাও বাস্তবতার নিরিখে ভাবতে শিখেছে। তাই কোনোমতে একটা পাস জুটিয়ে নামমাত্র শিক্ষিত না হয়ে ছেলেদের পাশাপাশি তারাও এখন এমবিএ-বিবিএ’র মতো বাজার উপযোগী বিষয়ে লেখাপড়া করে স্বাবলম্বী হতে ব্যস্ত। আর এই পরিবেশ তৈরির পেছনে রয়েছে আইআইইউসি ঢাকা ক্যাম্পাসের বিশাল অবদান। এখানে মেয়েরা আত্মনির্ভরশীলতার প্রশ্নে এবং জব মার্কেটে নিজের শক্ত অবস্থান গড়তে এমবিএ করছে।
এ প্রসঙ্গে আইআইইউসি’র চাকরিজীবী প্রাক্তন ছাত্রী আবিদা সুলতানার বলেন— প্রফেশনালদের জন্য মানসিক যে জোর প্রয়োজন তা আমি পেয়েছি আইআইইউসি’র এমবিএ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে। পেশাগত জীবনের ম্যাচুরিটি আনতে এটা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। সাধারণ প্রাতিষ্ঠানিক মাস্টার্স ও এমবিএ-বিবিএ’র পার্থক্য মূলত এখানেই; একটা শুধুই থিওরি, অন্যটা বাস্তব প্রয়োগ।
আরেক চাকরিজীবী সাবেক শিক্ষার্থী সেয়দা নাফিসা শাহনাজ বলেন, মার্কেটিংয়ে মাস্টার্স করার পর আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করি। যা চাকরি জীবনে আমাকে প্রত্যক্ষ সহায়তা করছে। দেশব্যাপী উন্নত উচ্চ শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ১৯৯৫ সালে আত্মপ্রকাশ ঘটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি গুণগত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করার ফলে দ্রুত এর চাহিদা বাড়তে থাকে। চট্টগ্রামে এদের একাধিক ভবনবিশিষ্ট স্থায়ী ক্যাম্পাসটি যেমনি দৃষ্টিনন্দন, তেমনি নির্মল পরিবেশ বেষ্টিত। তাই ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০০ সালের জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় আইআইইউসি ঢাকা ক্যাম্পাস। ধানমন্ডিতে ২০টি ভবনে চলছে তাদের এই ক্যাম্পাসের কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যুগের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন গ্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে এখানে। ঢাকা ক্যাম্পাসে ৪০০০ এরও বেশি ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। তার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ছাত্রী। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় ছাত্রীসংখ্যা বেশি বলে জানা যায়। এখানে মেয়েদের জন্য রয়েছে পৃথক ক্যাম্পাস। ফলে পড়াশোনায়ও এখানে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের সুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজমান। সর্বশেষ ২০০৭ এ আন্তর্জাতিক চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য তৃতীয় সমাবর্তন। আইআইইউসি’র প্রোগ্রামসমূহ: বিবিএ, এমবিএ, ইইই, ইএলএল, এললবি, এএলএল, সিএসই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ ইমরুল করিম বলেন, ঢাকায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা যেমন অনেক, তেমনি এদের মধ্যকার প্রতিযোগিতাও তীব্র। তবে এই প্রতিযোগিতা অধিকাংশই কে কত ছাত্র ভর্তি করাবে কেবল তা নিয়েই। অবশ্য স্বল্প হলেও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যাদের লক্ষ্য ও প্রতিযোগিতা কেবল গুণগত মানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত্ গড়ে তোলা। যে লক্ষ্যে প্রতিনিয়তই তারা নতুন নতুন বিভিন্ন পরিকল্পপনা ও উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অফার করছে সময়োপযোগী বিভিন্ন কোর্স। আইআইইউসি’র লক্ষ্য যেহেতু শিক্ষাবাণিজ্য নয়, সেহেতু এরা পূর্ণকালীন উন্নত শিক্ষা ও অবকাঠামো নিয়ে ভালো পড়াশোনা নিশ্চিত করছে।
ঢাকা ক্যাম্পাসকে ক্রমান্বয়ে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ঢেলে সাজানো হচ্ছে এবং ঢাকায় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা, কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

No comments:

Post a Comment