Thursday, December 2, 2010

বাংলার ঢেঁকি, আফ্রিকায় তুলেছে উত্পাদনের ছন্দ

বাংলার ঢেঁকি, আফ্রিকায় তুলেছে উত্পাদনের ছন্দ

কাজী জহিরুল ইসলাম
২০০৮-এর জুন মাস। মান শহরের অতি সন্নিকটে অবস্থিত দুটি গ্রাম পেতি জিবপ্লু এবং কাসাপ্লুতে শোনা যায় কু-উ-উ ঢেক, কু-উ-উ ঢেক, শব্দের সঙ্গীত। মানের মেয়েরা এখন ঢেঁকিতে কাসাবা কিংবা ধান ভানছে। কী অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। তবে অবাক হয়ে লাভ নেই, ঢেঁকি যখন স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, মানে গেলেতো ভানবেই। এখন কথা হলো বাংলার ঢেঁকি ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরে, পশ্চিম আফ্রিকার এক গহিন গ্রামে এলো কী করে? সেই গল্পটাই শুনুন।
শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করতে এসে বাংলাদেশের সেনাসদস্যরা বঙ্গদেশীয় প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতিও পৃথিবীর নানান বর্ণ ও ভূগোলে ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তখন সন্ধ্যা হয় হয়। গোধূলিলগ্নের লাল আভা অতলান্তিকের জলে লেপ্টে আছে। গোধূলিলগ্নের মহাসমুদ্র ওর সব সৌন্দর্য নিয়ে এসে আছড়ে পড়ছে আমাদের পায়ের কাছে। সমুদ্রকে আরও কতটা কাছে থেকে দেখা যায়, মাঝে মাঝে আমরা এই প্রতিযোগিতায় নামি। প্লাস্টিকের চেয়ারগুলোকে বিচের এতো গভীরে নিয়ে গিয়ে বসি যে, এক সময় ঢেউ এসে আমাদের উল্টে ফেলে দেয়, আমরা ঢেউয়ের নিচে তলিয়ে যাই। আমাদের সারা গায়ে লবণের ফেনা লেগে থাকে। ভেসে যাওয়া চেয়ারগুলোকে আমরা টেনে তুলি। ঢেউ ফিরে গেলে আবার চেয়ার পেতে ভেজা বালুর ওপর বসে পড়ি। এই খেলা চলে অনেক রাত অব্দি।
সেদিন সন্ধ্যায় আমরা হাঁটছিলাম সায়েদাবীচের সৈকতে। হঠাত্ এক ষোল বছরের কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ কোত্থেকে ছুটে এসে কর্নেল খালেকের দিকে আঙুল তুলে কথ্য বাংলায় বলে, তুই সেব্রোকো থাকস না? কর্নেল খালেক ঘটনার আকস্মিকতায় লাফ দিয়ে দুই ফুট উঁচুতে উঠে যেন সৈকতের নরম বালুর ওপর আছড়ে পড়েন। ছেলেটির নাম মুসা। দরিদ্র কিশোর। পরনে ছেঁড়া জিন্স, স্লিভলেস ময়লা গেঞ্জি। পোক্ত গড়ন। অন্ধকার মুখে ফর্সা একগুচ্ছ দাঁতের উজ্জ্বল হাসি। এরপর সে আমাদের সঙ্গে সৈকতে হেঁটে বেড়ালো অনেকক্ষণ। অনর্গল কথা বলে চলল বাংলা ভাষায়। মুসা বলে, আমি বাংলাদেশে যেতে চাই, আমাকে নিবি? আমি বললাম, নেব, যদি বাংলায় একটা গান শোনাতে পারিস। আমাদের যুগপত্ অবাক করে দিয়ে ও গান ধরল, বুকটা ফাইট্টা যায়, আমার বুকটা ফাইট্টা যায়/ বন্ধু যখন বৌ লৈয়া আমার বাড়ির সামনে দিয়া/ রঙ্গ কৈরা হাইট্টা যায়, বুকটা ফাইট্টা যায়। শুধু যে গাইলো তা-ই নয়, মমতাজের মতো শরীর দুলিয়ে তালি দিয়ে দিয়ে নাচলো পর্যন্ত।
এমন ঘটনা এখন সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়া, আইভরিকোস্ট, সুদানের আনাচে-কানাচে দেখা যায়। পেতি জিবপ্লু বা কাসাপ্লুতে বাংলার ঢেঁকি এরই ধারাবাহিকতা মাত্র। মেজর তারেক ভাওয়ালী আমাদের মান ব্যাটালিয়নের একজন ক্যাম্প কমান্ডার। তার কর্ম এলাকার গ্রামগুলো পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেন, অতি প্রাচীন পদ্ধতিতে হাতের যাঁতায় অথবা কাহিল-ছিয়া দিয়ে আইভরিকোস্টের মেয়েরা তাদের প্রধান খাবার কাসাবা গুঁড়ো করছে কিংবা ধান ভেনে চাল বের করছে। এই পদ্ধতিতে সময় এবং পরিশ্রমের তুলনায় উত্পাদন অতি সামান্য। তিনি গ্রামের নেতাদের ডেকে বললেন, আমি তোমাদের এমন একটি প্রযুক্তি শেখাতে পারি যা দিয়ে অনেক কম সময়ে এবং কম পরিশ্রমে তোমাদের মেয়েরা অনেক বেশি ধান ভানতে পারবে এবং কাসাবা গুঁড়ো করতে পারবে। দিন-রাত খেটে, ছুতারকে ছবি এঁকে বুঝিয়ে অবশেষে তারেক ভাওয়ালী তৈরি করলেন বাংলার ঢেঁকি, শেখালেন আইভরিকোস্টের কালো নারীদের, কীভাবে এটা ব্যবহার করতে হয়।
ঘটা করে এর আকিকাও হলো। বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনা নিয়ে সেদিন পেতি জিবপ্লু গ্রামে জড়ো হয় বাংলার দামাল ছেলেরা, বীর সৈনিকরা। এ যেন অন্যরকম এক যুদ্ধজয়। পাকাপাকিভাবেই এর নাম রাখা হলো বাংলার ঢেঁকি। বাংলার ঢেঁকি এখন আইভরিকোস্টের উত্তরাঞ্চলে এক জনপ্রিয় প্রযুক্তি, ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের গ্রামে, গ্রাম থেকে জেলায়। সম্প্রতি শুনতে পাচ্ছি, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরালিয়নসহ পশ্চিম আফ্রিকার আরও অনেক দেশেই নাকি এই প্রযুক্তির রিপ্লিকেশন শুরু হয়ে গেছে।
ঢেঁকির মতো অনেক প্রথাগত দেশীয় প্রযুক্তি বাংলাদেশ থেকে ক্রমেই হারিয়ে গেলেও হয়ত ঠিক এমনি করেই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও এর ব্যবহার থেকে যাবে। কথাটা ভাবতে গিয়ে বিস্ময়বোধের পাশাপাশি হয়ত নিজেকে খানিকটা ঔপনিবেশিক প্রভুর ভূমিকায়ও কল্পনা করে ফেললাম।
লেখক : কবি, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা

বিলুপ্তির পথে বাংলার ঢেঁকি

নাজমুল ইসলাম মকবুল
বর্তমান যান্ত্রিক যুগ। প্রগতি ও আধুনিকতার যুগ। কর্মব্যস্ত মানুষের ব্যস্ততা যেমন বেড়েছে, তেমনি যে কোনো কাজ স্বল্প সময়ে স্বল্প শ্রমে দ্রুত সম্পন্ন করতে পারলেই মানুষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। আধুনিক ও নতুন নতুন প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ অতীতের ঐতিহ্যবাহী অনেক জিনিসপত্রের ব্যবহার বা কর্মকাণ্ড যা তাদের জীবনাচারের সঙ্গে ছিল অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত, তা পরিত্যাগ করেছে কিংবা পরিত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। এ জন্য কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই, বরং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং সময় বাঁচাতে অতীতের অনেক কিছুই পরিত্যাগ করতে হয়। নিত্যনতুন অনেক জায়গা পূরণ করে নেয়ায় অতীত হয়ে যায় ইতিহাসের অংশ। কিন্তু আমাদের অতীত ঐতিহ্য ভুলে গেলে চলবে না।
আগেকার যুগে প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই ধান ভানার জন্য ঢেঁকি থাকত এবং গাইল ছিয়া থাকত। বর্তমানে নিতান্ত অজোপাড়াগায়ের কোথাও কোথাও হয়ত ঢেঁকি থাকতেও পারে এবং গাইল ছিয়া এখনও প্রায় ঘরে থাকলেও এসবের ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। ঢেঁকিছাঁটা চালের কদর এখনও কমেনি। কারণ, এ চালের ভাতের মজাই আলাদা। ঢেঁকিছাঁটা চালের ওপরের আবরণ বা খোসা অক্ষুণ্ন থাকে যাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে। তাই ঢাকার ও বিভিন্ন শহরের অভিজাত দোকানগুলোয় এখনও ঢেঁকিছাঁটা চাল পাওয়া যায় এবং এর দামও অন্যান্য চালের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি।
ঢেঁকি শিল্প গ্রাম বাংলার প্রাচীন গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এক সময় গ্রামগঞ্জসহ সর্বত্র ধান ভাঙা, চাল তৈরি, গুঁড়ি কোটা, চিঁড়া তৈরি, মসলাপাতি ভাঙানোসহ বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো চিরচেনা ঢেঁকি। তখন এটা গ্রামীণ জীবন ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ছিল ওতপ্রোতভাবে। অনেকে কুটির শিল্প তথা পেশা হিসেবেও ঢেঁকিতে ধান ভানতেন। ঢেঁকি চালাতে সাধারণত দুজন লোকের প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে সাধারণত মহিলারাই চালাতেন তাদের সাধের ঢেঁকি। একজন ছিয়া সংযুক্ত যা বড় কাঠের সঙ্গে লাগানো থাকে, তার এক প্রান্তে উঠে (যার পাশে হাত দিয়ে ধরার নির্দিষ্ট খুঁটি ও লটকন থাকে) সর্বশক্তি প্রয়োগ করে পা দিয়ে চাপ দেয় আবার ছাড়ে। অন্যজন নির্দিষ্ট গর্তে যেখানে ছিয়ার আঘাতে চাল থেকে ধান বের হয়, সেখানে সতর্কতার সঙ্গে ধান দেয় আবার প্রতি আঘাতের পরপর ধান নড়াচড়া করে উল্টে-পাল্টে দেয়, যাতে সব ধানে আঘাত লাগে। শেষ হলে বা গর্ত পরিপূর্ণ হয়ে গেলে এগুলো তুলে আবার নতুন ধান দিতে হয়। মহিলারা ধান ভানার ফাঁকে ফাঁকে আঞ্চলিক গীত পরিবেশন করতেন মনের আনন্দে একক বা যৌথ কণ্ঠে। যেমন—‘ও ধান বানরে... ঢেঁকিতে পাড় দিয়া, পিংকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া দুলিয়া ও ধান বা...নরে, ধান বেচিয়া কিনমু শাড়ি পিন্দিয়া যাইমু বাপের বাড়ি, স্বামী যাইয়া লইয়া আইব গরুর গাড়ি দিয়া ও ধান বা...নরে।’ আবার ধান ভাঙা ও চিঁড়াকোটার বিভিন্ন প্রবচনও বিভিন্ন জায়গায় শোনা যেত। যেমন—‘চিঁড়া কুটি, বারা বানি, হতিনে করইন কানাকানি, জামাই আইলে ধরইন বেশ, হড়ির জ্বালায় পরান শেষ।’
আমাদের দেশে সত্তরের দশকে সর্বপ্রথম রাইসমিল বা যান্ত্রিক ধান থেকে চাল বের করার কল বা মেশিনের প্রচলন শুরু হয়। তখন থেকেই ঢেঁকির প্রয়োজনীয়তা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে থাকে। একসময় সারা দেশে বারো মাসে তেরো পার্বণ পালিত হতো। গ্রামেগঞ্জে একটার পর একটা উত্সব লেগেই থাকত। হেমন্ত উত্সব, পৌষ পার্বণ, বসন্ত উত্সব, নববর্ষ, বিবাহ উত্সব, কনের বাড়িতে আম-কাঁঠালি প্রদানের সময় হাতের তৈরি রুটি পিঠা তৈরির উত্সব, হিন্দুদের পূজা, মেলাসহ হরেক রকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো বা এখনও হচ্ছে। এসব উত্সবে পিঠা, পায়েস, সন্দেস ইত্যাদি তৈরির ধুম পড়ে যেত। আর এসব তৈরির মূল উপকরণ হচ্ছে চালের গুঁড়ি। চালের গুঁড়ি তৈরির জন্য অতীতে ঢেঁকি বা গাইল ছিয়ার আশ্রয় নেয়া হতো। ঈদ বা উত্সবের সময় হয়ে এলে প্রত্যেক বাড়িতেই ঢেঁকি ও গাইল ছিয়ার ছন্দোময় শব্দ শুনেই আন্দাজ করা যেত ঈদ বা উত্সব এসেছে। গ্রাম বাংলার শৌখিন মহিলারা চালের গুঁড়ি দিয়ে চই পিঠা, চিতল পিঠা, ঢুপি পিঠা, রুটি পিঠা, ঝুরি পিঠা, পানি পিঠা, চুঙ্গা পিঠা, তালের পিঠা, পাড়া পিঠা, পাটি বরা, হান্দেস, নুনগরা, নুনরডোবা, পব, সমছাসহ তৈরি করতেন হরেক রকমের পিঠা।
একটা সময় ছিল বড় গৃহস্থ বা কৃষকের ঘরে অবসর সময়ে বা রাতের অধিকাংশ সময়ই ঢেঁকিতে বা গাইল ছিয়ার মাধ্যমে ধান ভানার কাজ করতে হতো। ধান ভানতে ভানতে অনেক মহিলার হাতে ফোসকা পড়ে যেত। এভাবে ফোসকা পড়তে পড়তে হাতে কড় পড়েও যেত। গরিব মহিলারা বা গৃহপরিচারিকারা এক আধসের চাল বা ধান পারিশ্রমিক হিসেবে পেত; কেউবা শুধু পেটপুরে খাবার বিনিময়ে ধনিদের ঘরে চাল কুটার কাজে নিয়োজিত থাকত। যে গৃহস্থ যত বেশি ধান বা চাল উত্পাদন করে বিক্রয় করতে পারতেন, তিনিই এলাকায় তত বড় ধনী হিসেবেই খ্যাতি অর্জন করতেন। তাই বড় বড় গৃহস্থের বাড়িতে ঢেঁকিতে ধান ভানার আওয়াজ তথা ঢেঁকুর ঢেঁকুর শব্দ শোনা যেত হরদম।
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঢেঁকির ছন্দোময় শব্দ। এখন শুধু চাল নয়, মসলাপাতিও মেশিনের মাধ্যমে কুটানো হয়। পাটা পুতাইলের (শিল-পাটা) ঘষায় যে মরিচ পিষা হতো তাও এখন বিলুপ্তপ্রায়। তাইতো ‘পাটাখান বিছাইয়া, মরিছও পিসাইলিগো সই, যেই পিসানি মোরে পিসাইলি’—এ ধরনের গানও তেমন একটা শোনা যায় না। মহিলাদের আরামের পরিধি বেড়েছে, বেড়েছে আধুনিকতা ও আধুনিক যান্ত্রিক জীবনযাপন। গ্রামের দু-এক বাড়িতে ঢেঁকি ও গাইল ছিয়ার অস্তিত্ব থাকলেও এর ব্যবহার নেই বললেই চলে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে হয়তো জাদুঘরে গিয়ে জানতে হবে ঢেঁকি কী জিনিস এবং এর মাধ্যমে কোন ধরনের কাজ করা হতো।
লেখক : সভাপতি, সিলেট লেখক ফোরাম
nazmulsylhet@gamil.com

1 comment:

  1. কবি লেখক, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা কাজী জহিরুল ইসলাম লিখিত “বাংলার ঢেঁকি, আফ্রিকায় তুলেছে উৎপাদনের ছন্দ” পড়ে অত্যন্ত আনন্দিত ও উৎসাহিত হলাম৤ তিনি লিখেছেন,[বাংলাভাষা] এখন সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়া, আইভরিকোস্ট, সুদানের আনাচে-কানাচে দেখা যায়। “আমি বললাম, নেব, যদি বাংলায় একটা গান শোনাতে পারিস। আমাদের যুগপৎ অবাক করে দিয়ে ও গান ধরল... ৤” বিস্ময় আমাদেরও৤ আফ্রিকার এই অঞ্চলে বাংলাভাষার অঙ্কুরোৎগম দেখে মনে হল এর সঠিক পৃষ্ঠপোষণ করা দরকার৤ তাই এসকল অঞ্চলে যখন আবহাওয়া ভালো থাকে তখন সেখান বাংলা কবিতা/কাব্য পাঠ, শ্রুতি নাট্য/গীতিনাট্য, চলচ্চিত্র ইত্যাদি দেখানোর ব্যবস্থা করা উচিত৤ এসকল অঞ্চলে নামী শহরগুলিতে এক-একটি হল নিয়ে সারা বছর বিনামূল্যে বাংলা সিনেমা দেখানো যেতে পারে, এবং নানা আলোচনা ও নানা অনুষ্ঠান করা যেতে পারে৤ এব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে এবং ধনবানদেরও উদ্যোগ নিতে হবে৤ এসকল অঞ্চলে বাংলাভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে সকলকে অকৃপণ সহায়তা করতে হবে৤

    ঢেঁকি নিয়ে আমার করা একটি প্রকল্প আছে তার লিংক:
    (বিজ্ঞান ভাবনা)আধুনিক সবুজ ঢেঁকি : http://banglanakshikatha.blogspot.in/2015/04/blog-post.html

    এছাড়া, বাংলা শিক্ষার, বিশেষ করে অল্প বাংলা জানাদের সুবিধার জন্য একটি বই আছে চারটি খণ্ডে৤ তার লিংক:
    (মোট চার খণ্ড)লেখাপড়া‎‎ -- বাংলা শিক্ষার প্রাথমিক বই৤ প্রথম খণ্ড :
    http://bangla-biswa.blogspot.in/2008/11/blog-post_30.html


    মনোজকুমার দ. গিরিশ
    মণীশ পার্ক
    কোলকাতা
    ২১/০৭/২০১৫

    ReplyDelete