Tuesday, December 14, 2010

ছোট রাজ্যের বড় গবেষণা: বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু

ছোট রাজ্যের বড় গবেষণাবাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণু
বাড়ছে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জীবাণুঅ্যান্টিবায়োটিক, জৈব কীটনাশক থেকে শুরু করে এইচআইভি ও ক্যান্সার নিয়ে অনবদ্য সব গবেষণা করেছেন অনুজীববিজ্ঞানী ড. মো. আনোয়ার হোসেন। অনুজীবের মাধ্যমে পানি থেকে আর্সেনিক দূর করার গবেষণাও এগিয়েছে অনেকদূর। অসামান্য এ বিজ্ঞানীর গবেষণার আদ্যপান্ত জানাচ্ছেন তৌহিদ এলাহী ছবি_মোহাম্মদ আসাদ চিকিৎসা, মৎস্য, কৃষি, পশুপালন এসব ক্ষেত্রে অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়েটিক ব্যবহারের ফলে দেশের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ছে অ্যান্টিবায়েটিক প্রতিরোধী অনেক জীবাণু। প্রচলিত সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক যেগুলো নির্মূল করতে পারে না। দীর্ঘদিনের গবেষণায় দেশে ক্ষতিকর এই সকল জীবাণুর উপস্থিতি ও প্রতিরোধের উপায় দেখালেন বিজ্ঞানী ড. মো. আনোয়ার হোসেন ও তাঁর সহযোগীরা অ্যান্টিবায়োটিকের বেশির ভাগই জীবদেহে কাজে না লেগে বের হয়ে যায় এবং পয়ঃনিষ্কাশন প্রণালীর মাধ্যমে পরিবেশ ও নদীনালায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় জীবদেহে অবস্থিত সব জীবাণুই অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে ধ্বংস হয় না। অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জিনগত পরিবর্তনের ফলে জীবাণুগুলো ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে। পরে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিকেও সেগুলো ধ্বংস হয় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিহাদ আদনান অমিত জানান, 'ক্ষতিকর অনুজীবরা খুবই চালাক। এরা জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে যায়। এদের মধ্যে থাকে ক্ষুদ্রাকৃতির গোলাকার ডিএনএ কণিকা, যার আরেক নাম প্লাজমিড। এরা নিজেদের প্লাজমিডগুলোকে অন্য অনুজীবের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী প্লাজমিড যদি একই প্রক্রিয়ায় নিরীহ অনুজীবের মধ্যেও ঢুকে পড়ে, তবেই তারা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ক্ষমতা পেয়ে যায়।'
আরেক সহকারী গবেষক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম জানালেন, 'অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী অনুজীবগুলো দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। আবার একই জীবাণুর মধ্যে অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী প্লাজমিড ঢুকে গেলেই বাধে বিপত্তি। তখন এই ক্ষতিকর অনুজীবগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চমাত্রার বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হলেও তারা ধ্বংস হয় না। এদের বলা হয় মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট অনুজীব। এই মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট অনুজীবগুলোই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য জৈব-আতঙ্ক হয়ে দেখা দিতে পারে। দেশে এখন যে হারে নির্বিচারে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হচ্ছে, তাতে এ দেশের পরিবেশ ও নদীনালাগুলো হাজারো ধরনের মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট অনুজীবে ভর্তি হয়ে যাবে।'
কোন পরিবেশ কোন অনুজীবগুলো কী কী ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্যভাণ্ডার নেই। গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, পিএইচডি গবেষক এবং এ গবেষণা দলের সদস্য শওকত মাহমুদ জানান, তাদের গবেষণালব্ধ উপাত্ত ভাণ্ডার এক অশনিসংকেতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। দেশীয় পরিবেশ থেকে সংগৃহীত অনুজীবগুলোতে সিপ্রোফ্লোঙ্াসিন, পেনিসিলিন, অ্যাম্পিসিলিন, ব্যাসিট্রাসিন, স্টেপটোমাইসিন, টেট্রাসাইক্লিন, ইরাইথ্রোমাইসিন, জেন্টামাইসিন, সেফালোঙ্নি, সালফামিথাঙ্ল, নোভোবায়োসিন, অ্যামোঙ্িিসলিন, নাইট্রোফিউরাটয়ন ইত্যাদি বহুল ব্যবহৃত শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ৪০-১০০ শতাংশ প্রতিরোধ ক্ষমতা পাওয়া গেছে।
গবেষণায় ব্যবহৃত নমুনা অনুজীবগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং সাভারের বিভিন্ন খামার থেকে। ডায়রিয়া, টাইফয়েডের জীবাণু এমনকি নিরীহ ব্যাকটেরিয়ার মাঝেও দেখা গেছে অনেক বেশি ক্ষমতা। গবেষক রুহুল আমিন জানান, আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সিপ্রোফ্লোঙ্াসিন অ্যান্টিবায়োটিক বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অকার্যকর হয়ে গেছে। প্রতি মিলিমিটারে ০.০১৬ মাইক্রোগ্রাম ঘনমাত্রার সিপ্রোফ্লোঙ্াসিন নির্দিষ্ট পরিমাণে জীবাণু ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবায়োটিকটির সর্বোচ্চ দ্রবণীয় ঘনমাত্রা প্রতি মিলিমিটারে ৫০০-৬০০ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত ব্যবহার করেও জীবাণু মারা যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতি লিটার তরল নিষ্কাশনে শুধু সিপ্রোফ্লোঙ্াসিন অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ১২.৫ মাইক্রোগ্রাম করে। তবে গবেষণায় এও দেখা গেছে ইমিপেনিন, পলিমিঙ্নি নামের দুটি অ্যান্টিবায়োটিক জীবাণুর বিরুদ্ধে ৯০-১০০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর।
এ গবেষণা প্রাথমিক পর্যায়ের। সূক্ষ্ম ফল জানতে আরো বড় গবেষণা করতে হবে। আরো পুরো দেশের সামগ্রিক চিত্র পেতে এই গবেষণাকর্মকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে তথ্যভাণ্ডার হালনাগাদ রাখার বিকল্প নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের যৌথ সহায়তায় এ গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছে থার্ডওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার ও ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন (ইউজিসি)।

আসতে পারে সুপার বাগ! ড. মো. আনোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান, অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের দুরবস্থা খালি চোখেই দেখা যায়। অনেক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই দেশের মানুষ নাজেনে, সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বর হলেও অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে, যেটি আদতে কোনো কাজেই আসে না। আজকাল আমাদের মুদির দোকানেও অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়। অত্যুৎসাহী ডাক্তারও অনেক সময় বিনা প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়েটিক প্রেসক্রাইব করেন। আবার কেউ কেউ অ্যান্টিবায়োটিক সেবন শুরু করে রোগ ভালো হয়েছে মনে করে মাঝপথেই থেমে যান।
মানুষ হাসপাতালে যায় রোগ সারাতে। কিন্তু বাংলাদেশের হাসপাতালগুলো রোগবিস্তারেও ভূমিকা রাখছে। বর্জ্য রিসাইক্লিং না করে ফেলে দিলে দেহের অব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের সংস্পর্শে তৈরি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট জীবাণু। এমনকি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও নেই উপযুক্ত রিসাইক্লিং সিস্টেম।
উন্নত বিশ্বে এখন অ্যান্টিবায়োটিকের ষষ্ঠ প্রজন্ম চলছে। আমাদের দেশে পাওয়া যায় চতুর্থ প্রজন্ম পর্যন্ত। ষষ্ঠ প্রজন্মের ওষুধগুলো এতই দামি যে বাইরের দেশের অভিজাত শ্রেণী ও সামরিক বাহিনীর লোকজন ছাড়া অন্য কেউ এর নাগাল পান না। আমাদের দেশে এখন প্রথম দিককার অ্যান্টিবায়োটিকগুলো কাজও করে না। অন্যদিকে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিকগুলোর কাঁচামাল কিংবা সরাসরি আমদানিতেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। ডাক্তাররাও তাই অনেক সময় বাধ্য হয়ে অ্যান্টিবায়োটিকের ওভারডোজ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। আর এর ফলেই দিনে দিনে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিভিন্ন জীবাণু।
যে হারে জীবাণুর মধ্যে বহু-অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হচ্ছে, তাতে খুব শিগগিরই চলে আসতে পারে 'সুপার বাগ'। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষ, জীবজন্তু ও পরিবেশের জন্য ভাল অনুজীবগুলোর। নষ্ট হবে পরিবেশের ভারসাম্য। দামী ওষুধ কেনার সামর্থ্য যাদের নেই, তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। দেশজুড়ে মহামারি লেগে যাওয়াটাও বিচিত্র নয়।
বসে না থেকে এখন যত দ্রুত সম্ভব অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও জীবাণু ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রথমেই নজর দিতে হবে দেশের হাসপাতাল, মুরগীর খামার, গবাদিপশু, মৎস্য খামার ও ওষুধ শিল্পগুলোতে; অ্যান্টিবায়োটিক বর্জ্যের মূল উৎস এগুলোই। ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ছাড়া কোনো বর্জ্যই যাতে খোলা পরিবেশে না আসতে পারে সেদিকে রাখতে হবে কড়া নজর। স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক পর্যায়ে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যত্রতত্র প্রেসক্রিপশন ছাড়া সাধারণ মানুষের হাতে যেন অ্যান্টিবায়েটিক না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। পয়ঃনিষ্কাশনের বর্জ্যও যাতে যথাযথ পরিশোধন প্রক্রিয়ায় পরিবেশে যায় তা মাথায় রাখতে হবে।
অনেক সময় বিদেশ থেকে নিম্নমানের ও সময়সীমা পার হওয়া অ্যান্টিবায়োটিক আমদানি করা হয়। আবার উন্নত দেশগুলো তাদের ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে অনেক সময় বাংলাদেশের মতো গরিব দেশগুলোতে ছেড়ে দেয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এসব প্রতিহত করতেই হবে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে, দেশে ব্যবহৃত কোন অ্যান্টিবায়েটিক ড্রাগ কী পরিমাণ ব্যবহৃত হচ্ছে, কোন ক্ষতিকর জীবাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে, কোন অ্যান্টিবায়োটিক এখনো কার্যকর_দেশব্যাপী এসব নিয়ে বড় মাপের গবেষণার মাধ্যমে সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত হাতে রাখতে হবে। একই সঙ্গে ওই তথ্য ভাণ্ডার ডাক্তার ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারকারীদের জন্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করাও প্রয়োজন। প্রচলিত কোনো অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে গেলেই তা দ্রুত বাজার থেকে সরিয়ে নিতে হবে। অবশ্য একটি নির্দিষ্ট সময় বিরতি দিয়ে যেগুলো আবার ব্যবহার করা যাবে। অ্যান্টিবায়োটিকের পরিবর্তে প্রোবায়োটিক বা বন্ধু অনুজীবের ব্যবহার বাড়ানোটাও জরুরি। উপরোক্ত ব্যবস্থা অনুযায়ী দ্রুত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়নে একদিকে বাঁচবে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ। অন্যদিকে সাশ্রয় হবে মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রা

একনজরে ড. মো. আনোয়ার হোসেন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন এবং অনুপ্রাণ বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জাপানের মনোবুশো বৃত্তি নিয়ে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টঙ্েিকালজি বিষয়ে পিএইচডি ও জাপানের সান্তোরি বায়ো-অর্গানিক রিসার্চ ল্যাব এবং ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টিস্ট্রি অব নিউজার্সি ইউএস থেকে দুটি পোস্ট ডক্টরাল সম্পন্ন করেন। তিনি কোশি বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তাঁর ৩৪টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে এবং বেশ কিছু প্রকাশের অপেক্ষায়। ২২টি আন্তর্জাতিক কনফারেন্স গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন তিনি।
ড. মো. আনোয়ার হোসেন একাধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল মেম্বার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার, বিসিএসআইআর-এর বোর্ড মেম্বার, ন্যাশনাল টাস্কফোর্স অন ন্যাশনাল বায়োটেকনোলজি ফর বাংলাদেশের এঙ্পার্ট মেম্বার।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্ট আয়োজিত ২২তম ও ২৫তম বাৎসরিক সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেছেন তিনি। তাঁর সভাপতিত্বেই বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৫ম 'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন মাইক্রোবায়োলজি, ফুড, হাইজিন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট'।

Source: Dailykalerkantho

No comments:

Post a Comment