ধানক্ষেতে হাঁস পালন
দারিদ্র বিমোচনে ইরি ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে ধানক্ষেতে হাঁস পালনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। প্রযুক্তিটি সারাদেশে সমপ্রসারণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কাজ করছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশে ধানক্ষেতে হাঁস পালন করা হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রযুক্তিটি পরিবেশসম্মত, কৃষকদের জন্য লাভজনক।
সুবিধা:ধান ক্ষেতে পোকা দমনের জন্য পরিবেশ দূষণকারী রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না; হাঁস পোকা খেয়ে ধান ক্ষেত রক্ষা করে; একই জমি থেকে ধান, হাঁস ও ডিম পাওয়া যায়। কোনো কারণে ধান নষ্ট হলেও হাঁস থেকে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যায়। ধানক্ষেতে হাঁস চড়ার সময় কচি আগাছা খায় এবং ঠোঁট ও পা দিয়ে বাকি আগাছা নষ্ট করে। ফলে আগাছা দমনের জন্য আলাদা শ্রমের প্রয়োজন হয় না। হাঁসের বিষ্ঠা জমিতে পড়ে জমি উর্বর হয়। এজন্য জমি আলাদাভাবে ইউরিয়া দিতে হয় না। হাঁস ঠোঁট ও পা দিয়ে মাটি নাড়াচাড়া করায় মাটিতে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের অনুপাত ঠিক থাকে এবং বিষাক্ত গ্যাস জমি থেকে দূর হয়। ধান গাছের শিকড়ের দৈর্ঘ্য ও সংখ্যা বেশি হয়। হাঁসকে আলাদাভাবে খাদ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কারণ ধানক্ষেতের কচি আগাছা ও পোকামাকড়, শামুক, ঝিনুক, ক্ষুদেপানা হাঁসের জন্য পুষ্ঠিকর খাবার।
পালন পদ্ধতি: সাধারণত রোপা আউশ, রোপা আমন ও বোরো ধান ক্ষতে হাঁস পালন করা যায়। প্রতিশতক জমিতে ২টি করে হিসেবে প্রতি বিঘায় (৩০ শতক) ৫০ থেকে ৬০টি এবং হেক্টরে ৩৫০ থেকে ৪০০টি হাঁস পালন করা যায়। ধান ক্ষেতে হাঁসের বাচ্চা ছাড়ার বয়স হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ দিন। বোরোতে ৩০ থেকে ৪০ দিন। ধানের স্বাভাবিক চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তবে ধানক্ষেতে সব সময় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। উপযোগী হাঁসের জাত হচ্ছে- খাঁকি ক্যাম্বেল, জিং ডিং, সাদা পিকিং ও শংকরজাত। ধানের চারা রোপণের ১০ দিন পর ২০ থেকে ৩০ দিন বয়সের হাঁসের বাচ্চা ধান ক্ষেতে ছাড়তে হবে। ধানক্ষেতে হাঁসের খাদ্য কমে গেলে বাড়িতে হাঁসকে খাওয়াতে হবে। ধানক্ষেতে হাঁস ছাড়ার আগে কিছুদিন বাড়ির আশেপাশে চড়িয়ে অভ্যাস করতে হবে। হঠাৎ করে ধান ক্ষেতে হাঁস ছাড়া যাবে না। অভ্যাস হলে এমনিতে ধান ক্ষেতে হাঁস যাবে। হাঁসের ঘর ক্ষেতের পাশে হলে ভাল হয়। ফুল আসা পর্যন্ত ধান ক্ষেতে হাঁস চড়ানো যাবে। এরপর ক্ষেতে হাঁস চড়ালে ধান খেয়ে ফেলবে। হাঁস ছাড়া থেকে ধানে ফুল আসা পর্যন্ত প্রায় চার মাস সময়ে হাঁস বিক্রির উপযোগী হবে। তবে বেশি উপকার পেতে হলে ধান ক্ষেতে ৫০ দিন হাঁস চড়াতে হবে। বাড়িতে পালন করা হাঁসগুলোকে প্রথমে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দু'ঘণ্টা করে চার ঘণ্টা ধান ক্ষেতে রাখতে হবে। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে সারাদিন ধান ক্ষেতে হাঁস রাখা যাবে। হাওর এলাকার ধান ক্ষেতে হাঁস পালন করতে হলে ধান ক্ষেতের কাছে শুকনো স্থানে হাঁসের ঘর করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন হাঁস কোনো প্রকার বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত না হয়।
ধান ক্ষেতে হাঁস পালন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে করা না গেলেও স্বল্প পরিসরে গ্রামীণ মানুষের কিছু পরিমাণে পুষ্টির চাহিদা ও দারিদ্রতা দূরীকরণে সহায়ক হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাঁস, মুরগি থেকে বেশি পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে বলে বাণিজ্যিকভাবে পালন করা ব্যয়বহুল। কিন্তু প্রাকৃকিত খাদ্যের উৎস থাকলে তা সম্ভব। ধান ক্ষেতে হাঁস পালন বাণিজ্যিকভাবে সম্ভব না হলেও স্বল্প পরিসরে ৩০ থেকে ৪০টি হাঁস পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
সুবিধা:ধান ক্ষেতে পোকা দমনের জন্য পরিবেশ দূষণকারী রাসায়নিক কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না; হাঁস পোকা খেয়ে ধান ক্ষেত রক্ষা করে; একই জমি থেকে ধান, হাঁস ও ডিম পাওয়া যায়। কোনো কারণে ধান নষ্ট হলেও হাঁস থেকে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যায়। ধানক্ষেতে হাঁস চড়ার সময় কচি আগাছা খায় এবং ঠোঁট ও পা দিয়ে বাকি আগাছা নষ্ট করে। ফলে আগাছা দমনের জন্য আলাদা শ্রমের প্রয়োজন হয় না। হাঁসের বিষ্ঠা জমিতে পড়ে জমি উর্বর হয়। এজন্য জমি আলাদাভাবে ইউরিয়া দিতে হয় না। হাঁস ঠোঁট ও পা দিয়ে মাটি নাড়াচাড়া করায় মাটিতে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের অনুপাত ঠিক থাকে এবং বিষাক্ত গ্যাস জমি থেকে দূর হয়। ধান গাছের শিকড়ের দৈর্ঘ্য ও সংখ্যা বেশি হয়। হাঁসকে আলাদাভাবে খাদ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কারণ ধানক্ষেতের কচি আগাছা ও পোকামাকড়, শামুক, ঝিনুক, ক্ষুদেপানা হাঁসের জন্য পুষ্ঠিকর খাবার।
পালন পদ্ধতি: সাধারণত রোপা আউশ, রোপা আমন ও বোরো ধান ক্ষতে হাঁস পালন করা যায়। প্রতিশতক জমিতে ২টি করে হিসেবে প্রতি বিঘায় (৩০ শতক) ৫০ থেকে ৬০টি এবং হেক্টরে ৩৫০ থেকে ৪০০টি হাঁস পালন করা যায়। ধান ক্ষেতে হাঁসের বাচ্চা ছাড়ার বয়স হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ দিন। বোরোতে ৩০ থেকে ৪০ দিন। ধানের স্বাভাবিক চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তবে ধানক্ষেতে সব সময় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি রাখতে হবে। উপযোগী হাঁসের জাত হচ্ছে- খাঁকি ক্যাম্বেল, জিং ডিং, সাদা পিকিং ও শংকরজাত। ধানের চারা রোপণের ১০ দিন পর ২০ থেকে ৩০ দিন বয়সের হাঁসের বাচ্চা ধান ক্ষেতে ছাড়তে হবে। ধানক্ষেতে হাঁসের খাদ্য কমে গেলে বাড়িতে হাঁসকে খাওয়াতে হবে। ধানক্ষেতে হাঁস ছাড়ার আগে কিছুদিন বাড়ির আশেপাশে চড়িয়ে অভ্যাস করতে হবে। হঠাৎ করে ধান ক্ষেতে হাঁস ছাড়া যাবে না। অভ্যাস হলে এমনিতে ধান ক্ষেতে হাঁস যাবে। হাঁসের ঘর ক্ষেতের পাশে হলে ভাল হয়। ফুল আসা পর্যন্ত ধান ক্ষেতে হাঁস চড়ানো যাবে। এরপর ক্ষেতে হাঁস চড়ালে ধান খেয়ে ফেলবে। হাঁস ছাড়া থেকে ধানে ফুল আসা পর্যন্ত প্রায় চার মাস সময়ে হাঁস বিক্রির উপযোগী হবে। তবে বেশি উপকার পেতে হলে ধান ক্ষেতে ৫০ দিন হাঁস চড়াতে হবে। বাড়িতে পালন করা হাঁসগুলোকে প্রথমে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দু'ঘণ্টা করে চার ঘণ্টা ধান ক্ষেতে রাখতে হবে। পরে অভ্যাস হয়ে গেলে সারাদিন ধান ক্ষেতে হাঁস রাখা যাবে। হাওর এলাকার ধান ক্ষেতে হাঁস পালন করতে হলে ধান ক্ষেতের কাছে শুকনো স্থানে হাঁসের ঘর করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন হাঁস কোনো প্রকার বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত না হয়।
ধান ক্ষেতে হাঁস পালন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে করা না গেলেও স্বল্প পরিসরে গ্রামীণ মানুষের কিছু পরিমাণে পুষ্টির চাহিদা ও দারিদ্রতা দূরীকরণে সহায়ক হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাঁস, মুরগি থেকে বেশি পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে বলে বাণিজ্যিকভাবে পালন করা ব্যয়বহুল। কিন্তু প্রাকৃকিত খাদ্যের উৎস থাকলে তা সম্ভব। ধান ক্ষেতে হাঁস পালন বাণিজ্যিকভাবে সম্ভব না হলেও স্বল্প পরিসরে ৩০ থেকে ৪০টি হাঁস পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
আব্দুস সালাম সাগর, ছাত্র, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
No comments:
Post a Comment