প্রযুক্তির আলো ছড়াচ্ছে নারান্দী চীন মৈত্রী কেন্দ্র
বশীর আহমেদ, নরসিংদী থেকে ফিরে

প্রযুক্তির আলো ছড়াচ্ছে নারান্দী চীন মৈত্রী কেন্দ্র। নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে সবুজে ঘেরা নারান্দী গ্রাম। প্রত্যন্ত এ গ্রামেই ২০০৭ সালের ২ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে নারান্দী চীন মৈত্রী কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে কম্পিউটার জ্ঞানে আলোকিত হচ্ছে এলাকার শিশুরা। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দ্য নিউজ টুডে পত্রিকার
সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার চীনা দূতাবাসের সহায়তায় গড়ে তোলেন এ কেন্দ্রটি। ১০টি কম্পিউটার নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ওই কেন্দ্রের। গতকাল তিনটি কম্পিউটার, দুটি প্রিন্টার, দুটি সাউন্ড সিস্টেমসহ আরও কিছু প্রযুক্তির সরঞ্জামযুক্ত হলো ওই কেন্দ্রে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জিয়ানিই গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সরঞ্জাম নারান্দী-চীন মৈত্রী কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের কাছে তুলে দিয়ে তার অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। কেন্দ্রটি সঠিকভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এখানকার শিশুদের কম্পিউটার প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আমরা কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পারছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। আজকের এই শিশুরা কম্পিউটার জ্ঞানের মাধ্যমে শুধু নিজেদেরই গড়ে তুলবে না, জাতির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক ঐতিহাসিক বাংলাদেশকে চীন শ্রেষ্ঠ বন্ধুদের একজন মনে করে। আগামী দিনগুলোতে এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। অনুষ্ঠানে নারান্দী-চীন মৈত্রী কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ চীনকে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, শিশুদের জন্য গড়ে দেয়া কম্পিউটার শিক্ষার এই কেন্দ্রটি বাংলাদেশের প্রতি চীনের অকৃত্রিম ভালোবাসার একটি নিদর্শন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চাই শি নিজেই এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন। কম্পিউটার প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিশুদের গড়ে তুলতে এ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ হূমায়ুন এবং মৈত্রী কেন্দ্রের পরিচালক জয়নুল আবেদীনও বক্তব্য রাখেন।
এই মৈত্রী কেন্দ্রের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে কেন্দ্রের প্রধান প্রশিক্ষক আকরাম হোসেন রুমি আমার দেশকে বলেন, কম্পিউটার সম্পর্কে শিশুদের প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয় এখানে। এখানে রয়েছেন চারজন প্রশিক্ষক। প্রতি মাসে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৪০ শিশুকে কম্পিউটার অপারেট করাসহ এমএসওয়ার্ড এবং পাওয়ার পয়েন্ট সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়। এলাকার চারটি স্কুল থেকে শিশুরা কম্পিউটার শিখতে এখানে আসে। আগামী বছর থেকে এখানে চীনা ভাষা শিক্ষা কোর্স চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এ কেন্দ্রের মাধ্যমে কম্পিউটার শিখতে পেরে দারুণ খুশি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শাহীন। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সে জানায়, আমি এখন কম্পিউটার চালাতে পারি। কম্পিউটারে গেমস খেলতে আমার দারুণ ভালো লাগে। আমি আরও অনেক কিছু শিখতে চাই এখান থেকে।’
গতকালের অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত সঙ্গীত, নৃত্য, কৌতুক মন ছুঁয়েছে সবার। বিশেষ করে চীনা ভাষায় পরিবেশিত সঙ্গীত ছিল সবচেয়ে উপভোগ্য। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে মহাসচিব এমএ আজিজ, দৈনিক যুগান্তরের নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই সিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ, এনটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক খাইরুল আনাম মুকুল প্রমুখ।
সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার চীনা দূতাবাসের সহায়তায় গড়ে তোলেন এ কেন্দ্রটি। ১০টি কম্পিউটার নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ওই কেন্দ্রের। গতকাল তিনটি কম্পিউটার, দুটি প্রিন্টার, দুটি সাউন্ড সিস্টেমসহ আরও কিছু প্রযুক্তির সরঞ্জামযুক্ত হলো ওই কেন্দ্রে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জিয়ানিই গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সরঞ্জাম নারান্দী-চীন মৈত্রী কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের কাছে তুলে দিয়ে তার অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। কেন্দ্রটি সঠিকভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এখানকার শিশুদের কম্পিউটার প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আমরা কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখতে পারছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। আজকের এই শিশুরা কম্পিউটার জ্ঞানের মাধ্যমে শুধু নিজেদেরই গড়ে তুলবে না, জাতির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক ঐতিহাসিক বাংলাদেশকে চীন শ্রেষ্ঠ বন্ধুদের একজন মনে করে। আগামী দিনগুলোতে এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। অনুষ্ঠানে নারান্দী-চীন মৈত্রী কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ চীনকে বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, শিশুদের জন্য গড়ে দেয়া কম্পিউটার শিক্ষার এই কেন্দ্রটি বাংলাদেশের প্রতি চীনের অকৃত্রিম ভালোবাসার একটি নিদর্শন। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের সাবেক রাষ্ট্রদূত চাই শি নিজেই এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন। কম্পিউটার প্রযুক্তির এই যুগে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিশুদের গড়ে তুলতে এ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল মজিদ হূমায়ুন এবং মৈত্রী কেন্দ্রের পরিচালক জয়নুল আবেদীনও বক্তব্য রাখেন।
এই মৈত্রী কেন্দ্রের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে কেন্দ্রের প্রধান প্রশিক্ষক আকরাম হোসেন রুমি আমার দেশকে বলেন, কম্পিউটার সম্পর্কে শিশুদের প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয় এখানে। এখানে রয়েছেন চারজন প্রশিক্ষক। প্রতি মাসে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৪০ শিশুকে কম্পিউটার অপারেট করাসহ এমএসওয়ার্ড এবং পাওয়ার পয়েন্ট সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়। এলাকার চারটি স্কুল থেকে শিশুরা কম্পিউটার শিখতে এখানে আসে। আগামী বছর থেকে এখানে চীনা ভাষা শিক্ষা কোর্স চালুর সম্ভাবনা রয়েছে।
এ কেন্দ্রের মাধ্যমে কম্পিউটার শিখতে পেরে দারুণ খুশি চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শাহীন। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সে জানায়, আমি এখন কম্পিউটার চালাতে পারি। কম্পিউটারে গেমস খেলতে আমার দারুণ ভালো লাগে। আমি আরও অনেক কিছু শিখতে চাই এখান থেকে।’
গতকালের অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশিত সঙ্গীত, নৃত্য, কৌতুক মন ছুঁয়েছে সবার। বিশেষ করে চীনা ভাষায় পরিবেশিত সঙ্গীত ছিল সবচেয়ে উপভোগ্য। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে মহাসচিব এমএ আজিজ, দৈনিক যুগান্তরের নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই সিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমেদ, এনটিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক খাইরুল আনাম মুকুল প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment