Wednesday, January 26, 2011

সিরাজগঞ্জ ও চলনবিলে সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণ: মৌচাষিরা প্রায় ১০কোটি টাকা আয় করেন ।


সিরাজগঞ্জ ও চলনবিলে সরিষার ফুল থেকে মধু আহরণ: মৌচাষিরা প্রায় ১০কোটি টাকা আয় করেন ।
০০সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা। এ জন্য শীত মৌসুমের শুরু থেকেই জেলার বেলকুচি,উলস্নাপাড়া, শাহজাদপুর,রায়গঞ্জ, তাড়াশ উপজেলারসহ চলনবিলের বিভিন্ন জায়গায় মৌচাষিরা মধু সংগ্রহ করে মৌচাষিরা প্রায় ১০কোটি টাকা আয় করেন ।

চলনবিলের রায়গঞ্জ, তাড়াশ, উলস্নাপাড়া, শাহজাদপুর, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সিংড়া, আত্রাই ও সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, কাজিপুর উপজেলায় পযর্াপ্ত সরিষার ফলন হয়ে থাকে। কৃষি অফিস জানিয়েছে , এবার প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষার ফুলে ছেয়ে গেছে বিস্তৃীর্ণ অঞ্চল।

নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৌচাষিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। ভাড়া করা সরিষার ক্ষেতসংলগ্ন স্থানে মৌমাছির বাক্সগুলো সারি সারিভাবে সাজিয়ে রেখেছে চাষিরা। চলনবিলের দীঘি সগুনা, গোয়ালগ্রাম, ভেটুয়া, কুসুম্বী, মাকড়শোন, কুন্দইল,মাগুড়া, রুহাই, প্রতাপ, নওগাঁ, শ্যামপুর, তেলীপাড়া, চান্দাইকোনা, বেলকুচিরচালা, শেরপুরসহ বিভিন্ন মাঠে মৌচাষিরা মৌ বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করছে।

এ বছর এ অঞ্চল থেকে প্রায় ১০০ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ করা সম্ভব বলে মৌচাষিরা জানিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের জননী মৌ খামারের চাষি আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিটি বাক্সে একটি করে রাণী মৌমাছি রয়েছে। মৌমাছিগুলো সরিষার মধু আহরণ করে রক্ষিত বাক্সে এনে জমা করে। ৫-৭ দিন পর পর বাক্স থেকে চাকগুলো আলাদা করে মধু সংগ্রহ করা হয়। ৫০-৫৫টি বাক্সে গড়ে ৫-৭ মণ করে মধু সংগ্রহ করা যায়। তিনি আরো জানান, সরিষা মৌসুম ছাড়াও তারা লিচু মৌসুম ও সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করে থাকেন। তবে সরিষা মৌসুমে মধু আহরণ করে লাভবান হলেও অন্য সময়ে তাদের লোকসান গুনতে হয়।

সাতক্ষীরার মৌচাষি গোলাম মোস্তফা ও আবুল হোসেন ইত্তেফাককে জানান, প্রতিবছর তারা সরিষার মৌসুমে চলনবিল থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মণ মধু সংগ্রহ করে থাকেন।

মৌচাষিদের অভিযোগ, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি ও বাণিজ্যিকভাবে মধু বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো বেশিরভাগ মধু পাশর্্ববতর্ী দেশ ভারত থেকে আমদানি করে থাকে। যে কারণে তারা প্রকৃত দাম থেকে বঞ্চিত হন। গুটিকয়েক কোম্পানি খামারীদের নিকট থেকে ১২০/১৪০ টাকা কেজি দরে মধু ক্রয় করে এবং ২০০-৩০০ কেজি হিসেবে বাজারজাত করে।
Source: Daily Ittefaq, 27 th january-2011

No comments:

Post a Comment