Friday, January 28, 2011

রাজ্জাকের সেচযন্ত্রটি হতে পারে মডেল

রাজ্জাকের সেচযন্ত্রটি হতে পারে মডেল

ফরিদপুর (পাবনা) প্রতিনিধি
ফরিদপুর উপজেলার হাদল গ্রামের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশের মেকানিক্স মোঃ আবদুর রাজ্জাকের (৪০) উদ্ভাবিত নতুন সেচ যন্ত্র পানি সেচ ব্যবস্থাপনায় গত বছর ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। গত বছর বোরো মৌসুমে উদ্ভাবিত নতুন সেচযন্ত্রের মাধ্যমে দুটি স্কীমে যথাক্রমে ৪৫ বিঘা ও ৩৫ বিঘা জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহ করে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করেছে বলে জানা গেছে। তিনি তার উদ্ভাবিত পাম্পযন্ত্রের নাম দিয়েছেন ও.ঝ.উ.অ.জ.(ইরিগ্রেশন সিস্টেম ডিসকভার আবদুর রাজ্জাক)। তার এই সেচযন্ত্রের সাহায্যে রবি মৌসুমে নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি পাওয়া সম্ভব। সাধারণত সেচপাম্প ২৪-২৬ ফুট নিচ থেকে পানি উত্তোলন করতে পারে। কিন্তু এই সেচযন্ত্রটি দ্বারা ৪৫-৫০ ফুট নিচ থেকে পানি উত্তোলন করা সম্ভব। মোটর থেকে পাম্পযন্ত্রটি পৃথক করে ১০ ফুট মাটির নিচে নামানো হয়। এতে অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয় গিয়ার, সেপ, বিয়ারিং বুস, পাইপসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ। এতে কৃষকের অতিরিক্ত ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি সেচ মৌসুমে পানির সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়। আগের তুলনায় জ্বালানি খরচ হয় অর্ধেক। এই যন্ত্রটি গ্যাস, ডিজেল ও বিদ্যুতে চালানো যায়। প্রতি বছর এই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বোরো ধান চাষসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করা হয়ে থাকে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে নিরবছিন্ন পানির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ সময় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নিরবচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সম্ভব হয় না। এছাড়া অতিরিক্ত চাপে মোটর পুড়ে গিয়েও পানি সরবরাহ ব্যববস্থার বিঘ্ন ঘটে। ফলে সঠিক সময়ে ফসল চাষ করা সম্ভাব হয় না। আবদুর রাজ্জাক ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপাড়া করেছেন। তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ সেচযন্ত্রটি দেখার জন্য ভিড় করছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর ফেল করার কারণে পানি নিয়ে দুর্ভাবনা দূর করার জন্য এই যন্ত্রের আবিষ্কারক আবদুর রাজ্জাকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সরকার শফিউল আলম জানান, যেসব অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যায় এবং সেচ ব্যবস্থাপনার সমস্যা হয়, সেসব অঞ্চলে তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি ব্যবহৃত হলে কৃষকরা উপকৃত হবেন। অর্থ-সম্পদহীন আবদুর রাজ্জাক বলেন, সাহায্য-সহযোগিতা পেলে কৃষি উপযোগী নতুন নুতন যন্ত্র তিনি উপহার দিতে পারবেন, যা কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখতে পারবে। আবদুর রাজ্জাক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছেন।
Source: Daily Amardesh,
6th Feb-2010

No comments:

Post a Comment