কানাইলালের কমলা
আবদুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁওঅন্য ফলের চেয়ে কমলাকে একটু বেশিই ভালোবাসেন কানাইলাল। তাই ভোক্তা থেকে এখন সফল কমলাচাষি। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার কাদিহাট গ্রামের এ চাষি জানান, ১৯৯৬ সালে কমলার কয়েকটি বীজ তিনি বাড়ির উঠানে বপন করেন। এক সময় তা থেকে চারা গজায়। সাড়ে ৫ বছর পর কমলা ধরে। শেষ পর্যন্ত টিকে ছিল ৪টি। স্বাদ ও গন্ধ বেশ ভালো। তিন বছর পর থেকে ৪৩টি গাছের ৩২টিতে নিয়মিত কমলা ধরছে। প্রতিটি গাছে ২০০ থেকে ১ হাজার কমলা ধরে। এ বছর তিনি প্রতিটি কমলা গড়ে ৮ টাকা বিক্রি করে ৩২ হাজার টাকা আয় করেছেন। এলাকায় তার পরিচিতি এখন সফল কমলাচাষি হিসেবে। তার দেখাদেখি অনেকেই কমলার বাগান করেছেন। এ গ্রামের আরও এক সফল কমলাচাষি রুস্তম আলী। সদর উপজেলার আকচা গ্রামের হাসান আলীও কমলা চাষে সাফল্য পেয়েছেন। জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের উপযোগী এবং অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ২০০৩ সালে কৃষি মন্ত্রণালয় দেশে কমলা চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে টাস্কফোর্স গঠন করে। এ টাস্কফোর্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা ১০টি জেলার ৪০টি উপজেলা কমলা চাষের উপযোগী হিসেবে শনাক্ত করে। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুনিষ্কাশিত বেলে দো-আঁশ, দো-আঁশ এবং মাটিতে অম্লত্বের (পিএইচ) পরিমাণ সাড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশ থাকলে কমলা চাষ করা যায়। এ ছাড়া তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে নয় এবং ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপরে নয়। ঠাকুরগাঁও জেলার ২৩ হাজার ৬৫২ হেক্টর জমি কমলা চাষের উপযোগী বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এর ভিত্তিতে ২০০৬ সালে কানাইলালের বাগানটি কমলা চাষ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। উৎপাদন বাড়াতে এখানে সরকারিভাবে ৭৫ হেক্টর জমিতে কমলার চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া ৪ হাজার ১৫০টি বসতভিটায় গড়ে ১২টি করে ৪৯ হাজার ৬৮০টি কমলা গাছ রোপণ করা হয়।
এ ছাড়াও কমলা বাগান রয়েছে ৭৫টি। কমলা চাষির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ১০০ জন। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ জনকে। গত মৌসুমে কমলা উৎপাদন হয় ৩০ হাজার মেট্রিক টন। এবার উৎপাদন আরও বাড়বে বলে মনে করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
Source: Daily Bangladesh Pratidin


এ ছাড়াও কমলা বাগান রয়েছে ৭৫টি। কমলা চাষির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ১০০ জন। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ জনকে। গত মৌসুমে কমলা উৎপাদন হয় ৩০ হাজার মেট্রিক টন। এবার উৎপাদন আরও বাড়বে বলে মনে করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
Source: Daily Bangladesh Pratidin
No comments:
Post a Comment