Monday, January 3, 2011

মুক্তাগাছায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে সাহেবী আলু চাষ

মুক্তাগাছায় বাণিজ্যিকভিত্তিতে সাহেবী আলু চাষ

০০মুক্তাগাছা সংবাদদাতা

বাংলাদেশের বিভিন্ন রকমের বুনো আলু পাওয়া যায়। মানুষের খাদ্য-তালিকায় এর অল্প ক'টি স্থান পেয়েছে। এসবের প্রায়গুলোই বুনো শূকর, সজারু ইত্যাদি প্রাণীর খাবার। তার মধ্যে গচ্চা আলু (নজ আলু), সাহেবী আলু ও গারো আলু খাবার হিসেবে সংগ্রহ এবং চাষ করা হয়। এর মধ্যে গারো আলু শুধুমাত্র মধুপুর, মুক্তাগাছা, রসুলপুরসহ গারো পাহাড় অঞ্চলে আদিবাসীদের পছন্দের খাবার। এটি বনেই জন্মায়, সাধারণত এর চাষ হয় না। অন্য দুই প্রজাতির আলু সার্বজনীনভাবে ব্যবহূত হয়। অর্থাৎ সবার কাছে সমাদৃত। এর মধ্যে বেশী জনপ্রিয় আলুটির নাম সাহেবী আলু।

সাহেবী আলুর লতানো গাছ বড় বড় বৃক্ষ-গুল্মর শাখা-প্রশাখা জড়িয়ে পলস্নবিত হয়। লতানো গাছের কাণ্ডে অসংখ্য গোলআলু ফলে। প্রতিটি আলু ১শ' থেকে ৫শ' গ্রাম পর্যন্ত ওজন হয়। গাছের মূলে মাটির নীচেও বিশাল আকারের আলু হয়। এই আলুর ওজন ৫ কেজি থেকে ১ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বরেন্দ্র ভূমি অঞ্চল মধুপুর-রসুলপুর গড় অঞ্চল এবং চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে এটি বেশি জন্মায়। এছাড়াও সারা বাংলাদেশে এটির কম-বেশি আবাদ হয়। চৈত্র-বৈশাখে সাহেবী আলুর লতা মাটি ভেদ করে গজায়। জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়-শ্রাবণে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। ভাদ্র থেকে একটানা ৪/৫ মাস ফল দেয়। সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর সবজি হিসেবে মাছ, মাংস এমনকি সবজি রান্নাতেও এটির ব্যবহার জনপ্রিয়। অন্যান্য সবজি চাষের সম্ভাবনার চাইতে এটি চাষ নিরাপদ। অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অন্যান্য সবজির মত এটি নষ্ট হয় না। ব্যতিক্রমী কিছু উৎসাহী কৃষককে বাণিজ্যিকভিত্তিতে সাহেবী আলু চাষ করতে দেখা যায়। বাজারে এই আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়ে থাকে। মুক্তাগাছার দুলস্না, কুমারগাতা, বাঁশাটি, মানকোন, খেরুয়াজানী, বড়গ্রাম, তারাটি, ঘোগা, কাশিমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বহু কৃষক সাহেবী আলু চাষ করছেন।
Source: Daily Ittefaq

No comments:

Post a Comment