সিলেটে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাম অয়েল চাষ শুরু
০০ সিলেট অফিস
সিলেটের মাটিতে পাম অয়েল চাষের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে সিলেট, বালাগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বাণিজ্যিকভিত্তিতে পাম অয়েল গাছ লাগানো শুরু হয়েছে। যদিও মালয়েশিয়ায় ব্যাপকহারে পাম অয়েল চাষ করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের মাটি পাম অয়েল ফলন উপযোগী। এখানে ফলন হয়ে থাকে দেড় থেকে দ্বিগুণ। বাংলাদেশে বছরে একটি গাছে ১০-১২টি কাঁদি ধরে। মালয়েশিয়াতে প্রতি কাঁদির ওজন হয় ২০-৪০ কেজি। আর বাংলাদেশে ৪০-৬০ কেজি পর্যন্ত হচ্ছে বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান। একটি পাম গাছের চারার মূল্য ৫-৬শ' টাকা। চারার মূল্য বেশি থাকায় অনেকেই আবার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পাম চাষে এগিয়ে আসতে পারছে না।
ইতিমধ্যে সিলেট নগরীর অদূরে খাদিমনগর এলাকায় ছায়াঘেরা গহীন পাহাড় টিলার গাঁয়ে প্রকৌশলী মোস্তফা শাহরিয়ার পাম অয়েলের চাষ শুরু করেছেন। সেখানে তিনি ৫ হাজার চারা রোপণ করেছেন। চারাগুলোর বর্তমান উচ্চতা দেড় দুই ফুট। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যেই ফলন আসবে। কৃষিবিদরা জানান, প্রতিটি গাছে অন্তত ৫০ লিটার পাম অয়েল উৎপন্ন হবে। যার বাজার মূল্য ৩ হাজার টাকা। শাহরিয়ার জানান, যদি ফলন ভালো হয় তাহলে তিনি সিলেটে পাম অয়েলের একটি মিল করার ইচ্ছা রয়েছে।
সংশিস্নষ্টরা জানান, বাড়ির পাশে অথবা পতিত জমিতে ১০০টি গাছ রোপণ করলে প্রতিবছর ৩ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। এমনকি ২টি পাম গাছ থেকে একটি পরিবারের সারা বছরের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ হয়।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, এক বিঘা জমিতে সাধারণ ফসল ফলিয়ে বছরে যেখানে ৪-৫ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। সেখানে পাম অয়েল গাছ লাগিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। পাম অয়েল গাছ পরিবেশ বান্ধব ও দীর্ঘজীবী।
সূত্র মতে, বাংলাদেশে প্রথম '৭৬-৭৭ সালে হবিগঞ্জের সাতছড়িতে কিছু পাম গাছ লাগানো হয়। পরবর্তীতে '৭৯ সাল থেকে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে পাম চাষ শুরু হয়। ইতিমধ্যে বগুড়া, খাগড়াছাড়ি, যশোর, ঢাকা, সাভার ও কুমিলস্না সেনানিবাসেও ব্যাপকহারে পাম গাছ লাগানো হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা গ্রিন বাংলাদেশের উদ্যোগে সিলেটের বালাগঞ্জ বাণিজ্যিকভাবে কৃষকদের উৎসাহ দান করে যাচ্ছে। তারা ধানী ও ফসলী জমির ক্ষেত ব্যবহার না করে অনাবাদি জমিতে পাম চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছে। সংস্থাটি দেশের ৪০টি জেলার ২১৩টি থানায় পাম গাছ রোপণ করছে। একটি পাম গাছের চারার মূল্য ৫শ' ৯০ টাকা। কিস্তিতে নিলে প্রতিটি গাছের মূল্য ৮শ' ৫০ টাকা।
ইতিমধ্যে সিলেট নগরীর অদূরে খাদিমনগর এলাকায় ছায়াঘেরা গহীন পাহাড় টিলার গাঁয়ে প্রকৌশলী মোস্তফা শাহরিয়ার পাম অয়েলের চাষ শুরু করেছেন। সেখানে তিনি ৫ হাজার চারা রোপণ করেছেন। চারাগুলোর বর্তমান উচ্চতা দেড় দুই ফুট। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যেই ফলন আসবে। কৃষিবিদরা জানান, প্রতিটি গাছে অন্তত ৫০ লিটার পাম অয়েল উৎপন্ন হবে। যার বাজার মূল্য ৩ হাজার টাকা। শাহরিয়ার জানান, যদি ফলন ভালো হয় তাহলে তিনি সিলেটে পাম অয়েলের একটি মিল করার ইচ্ছা রয়েছে।
সংশিস্নষ্টরা জানান, বাড়ির পাশে অথবা পতিত জমিতে ১০০টি গাছ রোপণ করলে প্রতিবছর ৩ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। এমনকি ২টি পাম গাছ থেকে একটি পরিবারের সারা বছরের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ হয়।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, এক বিঘা জমিতে সাধারণ ফসল ফলিয়ে বছরে যেখানে ৪-৫ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। সেখানে পাম অয়েল গাছ লাগিয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। পাম অয়েল গাছ পরিবেশ বান্ধব ও দীর্ঘজীবী।
সূত্র মতে, বাংলাদেশে প্রথম '৭৬-৭৭ সালে হবিগঞ্জের সাতছড়িতে কিছু পাম গাছ লাগানো হয়। পরবর্তীতে '৭৯ সাল থেকে সেখানে বাণিজ্যিকভাবে পাম চাষ শুরু হয়। ইতিমধ্যে বগুড়া, খাগড়াছাড়ি, যশোর, ঢাকা, সাভার ও কুমিলস্না সেনানিবাসেও ব্যাপকহারে পাম গাছ লাগানো হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থা গ্রিন বাংলাদেশের উদ্যোগে সিলেটের বালাগঞ্জ বাণিজ্যিকভাবে কৃষকদের উৎসাহ দান করে যাচ্ছে। তারা ধানী ও ফসলী জমির ক্ষেত ব্যবহার না করে অনাবাদি জমিতে পাম চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছে। সংস্থাটি দেশের ৪০টি জেলার ২১৩টি থানায় পাম গাছ রোপণ করছে। একটি পাম গাছের চারার মূল্য ৫শ' ৯০ টাকা। কিস্তিতে নিলে প্রতিটি গাছের মূল্য ৮শ' ৫০ টাকা।
Source: Daily Ittefaq
No comments:
Post a Comment