সাতক্ষীরায় চিংড়ির পাশাপাশি কাঁকড়া চাষ হচ্ছে
০০ সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় চিংড়ি চাষের পাশাপাশি কাঁকড়া চাষও একটি লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে। এলাকার নদ-নদীতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো কাঁকড়া নদীর পানি প্রবাহের মাধ্যমে চিংড়ি ঘেরে ঢুকে মাছের সাথে বেড়ে উঠতো। জেলার বেশ কিছু এলাকায় নদ-নদী থেকে সরাসরি চিংড়ি ঘেরে পানি প্রবাহ না থাকায় সেসব এলাকায় প্রকল্প করে বাণিজ্যিকভিত্তিতে কাঁকড়া চাষ করা হচ্ছে। দেশে উৎপাদিত এসব কাঁকড়ার আনর্্তজাতিক মান বজায় রেখে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরায় বাগদা ও গলদা চিংড়ির পাশাপাশি এখন বাণিজ্যিকভিত্তিতে কাঁকড়াও চাষ করা হচ্ছে। চিংড়ির মত কাঁকড়া চাষও লাভজনক হওয়ায় জেলার অনেক চাষি ক্রমশঃ এই চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কাঁকড়া সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে নদীতে জন্মায়। জেলার উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে চিংড়ি চাষের জন্য নদীর লোনা পানি ঘেরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নদীর পানি ক্যানেল বা গেট দিয়ে চিংড়ি ঘেরে ঢুকানোর সময় তার সাথে নদীতে জন্মানো কাঁকড়ার বাচ্চাও ঘেরে চলে আসত। কোন প্রকার পরিচর্যা ছাড়াই চিংড়ির সাথে কাঁকড়াও বেড়ে উঠতো ঘেরের মধ্যে। বর্তমানে জেলার অনেক এলাকায় নদ-নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় আগের মত আর পানি সরাসরি ঘেরে উঠতে পারে না। তাই প্রাকৃতিকভাবে কাঁকড়ার বাচ্চা ঘেরে উঠতে পারছে না। ফলে জেলায় চিংড়ির ঘেরে কাঁকড়ার চাষ কমেছে। কিন্তু কাঁকড়া চাষ খুবই লাভজনক হওয়ায় চাষিরা প্রকল্প করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাঁকড়া চাষ শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে এলাকার নদ-নদীতে কাঁকড়ার বাচ্চা না পাওয়ায় এখন সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকা থেকে বাচ্চা এনে প্রকল্পে ছাড়তে হচ্ছে। বেশ লাভজনক হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন অনেক চিংড়ি চাষি বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কিন্তু চিংড়ির মত ঘেরে ভাইরাস লাগায় কাঁকড়া চাষও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া বদ্ধ পানিতে চাষ করায় পানি দূষিত হয়ে অনেক সময় কাঁকড়া মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া সিঙ্গাপুর , তাইওয়ান , চীন , মালয়েশিয়া , হংকংসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে । ফলে চিংড়ি মাছের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে কাঁকড়াও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। কাঁকড়া চাষে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছে চাষিরা।
কাঁকড়া চাষি বাসুদেব মণ্ডল জনান, চলতি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে কাঁকড়া চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে মোট ২৪ হাজার টাকা। তিনি বলেন, সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী থেকে এখন কাঁকড়ার বাচ্চা নিয়ে আসতে হয় । তাতে খরচ পড়ে যায় একটু বেশি। তারপরও কাঁকড়া চাষ বেশ লাভজনক। এলাকার নদী মজে যাওয়ায় প্রজেক্টের পানি ঠিকমত পাল্টাতে না পারায় কাঁকড়া অনেক সময় মারা যায় ।
দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া বাজারের কাঁকড়া ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম জানান, কাঁকড়া চাষ ও ব্যবসার সাথে এই জেলার ২০ থেকে ৩০ হাজার লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। তিনি বলেন, শুধু পারুলিয়াতেই ২০-২৫ জন কাঁকড়া সরবরাহকারী রয়েছে। তারা এখান থেকে সরাসরি রপ্তানিকারকের কাছে কাঁকড়া পাঠায় । এই এলাকা থেকে প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ টন কাঁকড়া ঢাকায় পাঠান হয়। ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় সব কাঁকড়া গ্রেট হওয়ার পর প্যাকিং করে আনর্্তজাতিক মান বজায় রেখে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অশোক কুমার দাশ জানান, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁকড়া কিনে জীবিত অবস্থায় ঝুড়িতে করে আমরা ঢাকায় পাঠাই। সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে চিংড়ি চাষের মত কাঁকড়া চাষও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি দেশের চিংড়ি শিল্প হতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়কে আরো সমৃদ্ধ করতে কাঁকড়া চাষি ও ব্যবসায়ীদের সরকারি সহযোগিতা প্রদানের দাবি জানান।
সাতক্ষীরায় বাগদা ও গলদা চিংড়ির পাশাপাশি এখন বাণিজ্যিকভিত্তিতে কাঁকড়াও চাষ করা হচ্ছে। চিংড়ির মত কাঁকড়া চাষও লাভজনক হওয়ায় জেলার অনেক চাষি ক্রমশঃ এই চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কাঁকড়া সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে নদীতে জন্মায়। জেলার উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে চিংড়ি চাষের জন্য নদীর লোনা পানি ঘেরে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নদীর পানি ক্যানেল বা গেট দিয়ে চিংড়ি ঘেরে ঢুকানোর সময় তার সাথে নদীতে জন্মানো কাঁকড়ার বাচ্চাও ঘেরে চলে আসত। কোন প্রকার পরিচর্যা ছাড়াই চিংড়ির সাথে কাঁকড়াও বেড়ে উঠতো ঘেরের মধ্যে। বর্তমানে জেলার অনেক এলাকায় নদ-নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় আগের মত আর পানি সরাসরি ঘেরে উঠতে পারে না। তাই প্রাকৃতিকভাবে কাঁকড়ার বাচ্চা ঘেরে উঠতে পারছে না। ফলে জেলায় চিংড়ির ঘেরে কাঁকড়ার চাষ কমেছে। কিন্তু কাঁকড়া চাষ খুবই লাভজনক হওয়ায় চাষিরা প্রকল্প করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কাঁকড়া চাষ শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে এলাকার নদ-নদীতে কাঁকড়ার বাচ্চা না পাওয়ায় এখন সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকা থেকে বাচ্চা এনে প্রকল্পে ছাড়তে হচ্ছে। বেশ লাভজনক হওয়ায় সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন অনেক চিংড়ি চাষি বাণিজ্যিকভাবে কাঁকড়া চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কিন্তু চিংড়ির মত ঘেরে ভাইরাস লাগায় কাঁকড়া চাষও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাছাড়া বদ্ধ পানিতে চাষ করায় পানি দূষিত হয়ে অনেক সময় কাঁকড়া মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে কাঁকড়া সিঙ্গাপুর , তাইওয়ান , চীন , মালয়েশিয়া , হংকংসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে । ফলে চিংড়ি মাছের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে কাঁকড়াও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। কাঁকড়া চাষে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছে চাষিরা।
কাঁকড়া চাষি বাসুদেব মণ্ডল জনান, চলতি মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে কাঁকড়া চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে মোট ২৪ হাজার টাকা। তিনি বলেন, সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী থেকে এখন কাঁকড়ার বাচ্চা নিয়ে আসতে হয় । তাতে খরচ পড়ে যায় একটু বেশি। তারপরও কাঁকড়া চাষ বেশ লাভজনক। এলাকার নদী মজে যাওয়ায় প্রজেক্টের পানি ঠিকমত পাল্টাতে না পারায় কাঁকড়া অনেক সময় মারা যায় ।
দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া বাজারের কাঁকড়া ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম জানান, কাঁকড়া চাষ ও ব্যবসার সাথে এই জেলার ২০ থেকে ৩০ হাজার লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে। তিনি বলেন, শুধু পারুলিয়াতেই ২০-২৫ জন কাঁকড়া সরবরাহকারী রয়েছে। তারা এখান থেকে সরাসরি রপ্তানিকারকের কাছে কাঁকড়া পাঠায় । এই এলাকা থেকে প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ টন কাঁকড়া ঢাকায় পাঠান হয়। ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার পর পুনরায় সব কাঁকড়া গ্রেট হওয়ার পর প্যাকিং করে আনর্্তজাতিক মান বজায় রেখে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। জেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অশোক কুমার দাশ জানান, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁকড়া কিনে জীবিত অবস্থায় ঝুড়িতে করে আমরা ঢাকায় পাঠাই। সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকার কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে চিংড়ি চাষের মত কাঁকড়া চাষও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি দেশের চিংড়ি শিল্প হতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়কে আরো সমৃদ্ধ করতে কাঁকড়া চাষি ও ব্যবসায়ীদের সরকারি সহযোগিতা প্রদানের দাবি জানান।
Source: Daily Ittefaq
No comments:
Post a Comment