তরুণের নতুন উদ্ভাবন : সমতল জমিতে চাষ হচ্ছে মিষ্টি জাতের কমলা
বগুড়া অফিস ও শাজাহানপুর প্রতিনিধি
সমতল জমিতে মিষ্টি কমলার নতুন জাত উদ্ভাবন করলেন বগুড়ার শাজাহানপুরের রেজওয়ান নামের এক যুবক। লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে বাংলাদেশের কমলা সবচেয়ে জনপ্রিয়, সুগন্ধি ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল। এদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার ও পার্বত্য জেলাগুলোয় কমলার ভালো ফলন হলেও সমতল জমিতে কমলা চাষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। কিন্তু করতোয়া নদীর পূর্বাঞ্চল খলিসাকান্দি গ্রামের সমতল জমিতে মিষ্টি কমলার চাষ শুরু করেছেন ওই এলাকার বেকার যুবক রেজওয়ান। দীর্ঘ ৫ বছর নিজের গবেষণায় মিষ্টি জাতের কমলা উদ্ভাবন করে নিজেই চাষ করে ও কলম করা চারা বিক্রি করে অর্থনৈতিক পরিবর্তনও ঘটিয়েছেন রেজওয়ান।
২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। ১৬ বছর বয়সে প্রাইভেট একটি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করলেও ওই রোজগার দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের অর্ধাহারে দিন কাটাতে হতো। প্রথমে বাড়ির পাশে দশমিক ৫ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফুলের চারা উত্পাদন শুরু করেন তিনি। উপজেলা পর্যায়ে একবার ফুল চাষে পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০০৫ সালে বগুড়া শহরের একটি নার্সারি থেকে ১শ’ কমলার চারা রোপণ করেন। কমলার ফলন হলেও স্বাদে টক হওয়ায় নিজ বুদ্ধিমত্তায় ওই কমলা গাছের সঙ্গে মিষ্টি জাতের বাতাবি লেবুর জোড়কলম করেন। পরের বছর কমলার ফলন তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি কমলার স্বাদ মিষ্টি হয়। এবছর দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে মিষ্টি জাতের কমলার চাষ শুরু করেছেন। রেজওয়ান আমার দেশকে বলেন, মিষ্টি জাতের কমলা চাষ করে বগুড়ায় কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব। শুধু পাহাড়ি অঞ্চল নয়, এ জাতের কমলা সমতল ভূমিতেও চাষযোগ্য। সরেজমিনে দেখা গেছে, রেজওয়ানের একটি গাছে দু’শতাধিক কমলা ধরেছে। কলম চারা কিনতে মানুষ ভিড় করছে তার নার্সারিতে।
Source: Daily Amardesh, 23th October,10
২০০১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। ১৬ বছর বয়সে প্রাইভেট একটি কোম্পানিতে চাকরি শুরু করলেও ওই রোজগার দিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবারের অর্ধাহারে দিন কাটাতে হতো। প্রথমে বাড়ির পাশে দশমিক ৫ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফুলের চারা উত্পাদন শুরু করেন তিনি। উপজেলা পর্যায়ে একবার ফুল চাষে পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০০৫ সালে বগুড়া শহরের একটি নার্সারি থেকে ১শ’ কমলার চারা রোপণ করেন। কমলার ফলন হলেও স্বাদে টক হওয়ায় নিজ বুদ্ধিমত্তায় ওই কমলা গাছের সঙ্গে মিষ্টি জাতের বাতাবি লেবুর জোড়কলম করেন। পরের বছর কমলার ফলন তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি কমলার স্বাদ মিষ্টি হয়। এবছর দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে মিষ্টি জাতের কমলার চাষ শুরু করেছেন। রেজওয়ান আমার দেশকে বলেন, মিষ্টি জাতের কমলা চাষ করে বগুড়ায় কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব। শুধু পাহাড়ি অঞ্চল নয়, এ জাতের কমলা সমতল ভূমিতেও চাষযোগ্য। সরেজমিনে দেখা গেছে, রেজওয়ানের একটি গাছে দু’শতাধিক কমলা ধরেছে। কলম চারা কিনতে মানুষ ভিড় করছে তার নার্সারিতে।
Source: Daily Amardesh, 23th October,10
No comments:
Post a Comment