Wednesday, November 3, 2010

পড়তে পারেন ইউনিভার্সিটি অব টোকিও-তে

পড়তে পারেন ইউনিভার্সিটি অব টোকিও-তে

সিরাজুল ইসলাম
দ্বিতীয় বৃহত্ অর্থনীতির দেশ জাপান। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা ও প্রযুক্তির দিক দিয়েও এর অবস্থান শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর প্রথম সারিতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী এখানে পড়ালেখা করছে। পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরিরও সুযোগ আছে। তবে তা অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে। শিল্পোন্নত এই দেশটিতে আছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদের কোনোটি সরকারি, আবার কোনোটি বেসরকারি। ইউনিভার্সিটি অব টোকিও দেশটির প্রথম সারির একটি সরকারি সমৃদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর অবস্থান বাঙ্কো এলাকায়। ১৮৭৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এর প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন জুনিচি হামারা। বিশ্বব্যাপী যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে এর যাত্রা শুরু হয়। এটি শুধু জাপান নয়, এশিয়ারও বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথমে এটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ১৮৮৬ সালে এর নাম বদলে ইমপেরিয়াল ইউনিভার্সিটি করা হয়। পরের বছর আরও অনেক বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নাম রাখা হয় ইউনিভার্সিটি অব টোকিও।
শিক্ষার্থী : এখানে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের মধ্যে ১৪ হাজার ২৭৪ জন আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, ১৩ হাজার ৭৩২ জন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, ৬ হাজার ২২ জন ডক্টরাল ও ৭৪৭ জন বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করছে। এদের মধ্যে ২ হাজার ১শ’জন শিক্ষার্থী বিদেশি।
যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ আছে : এখানে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ল, মেডিসিন, ইঞ্জিনিয়ারিং, লেটারস, সায়েন্স, এগ্রিকালচার, ইকোনমিকস, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স, এডুকেশন, ফার্মাসিউটিক্যালস সায়েন্স, হিস্টোরি ও এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ। গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পড়াশোনা করা যাবে হিউম্যানিটিস অ্যান্ড সোসলজি, এডুকেশন, ল অ্যান্ড পলিটিক্স, ইকনোমিকস, আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স, সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড লাইফ সায়েন্স, মেডিসিন, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স, ফ্রন্টায়ার সায়েন্স, ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনফরমেশন স্টাডিজ ও পাবলিক পলিসি। গবেষণা করা যাবে মেডিক্যাল সায়েন্স, আর্থকুয়াক, অরিয়েন্টাল কালচার, সোস্যাল সায়েন্স, হিস্টোগ্রাফিক্যাল, মোলকুলার অ্যান্ড সেলুলার বায়োসায়েন্স, কসমিক রে রিসার্চ, সলিড স্টেট ফিজিক্স, ওস্যান রিসার্চ ও অ্যাডভান্সড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
ক্যাম্পাস : এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে ৫টি ক্যাম্পাস। প্রধান ক্যাম্পাসটির নাম হংগো ক্যাম্পাস। এটির অবস্থান হংগো এলাকায়। এখানে আছে আরও একটি ক্যাম্পাস। এর নাম স্যানশিরও পন্ড। অপর ক্যাম্পাস ৩টি হলো কোমাবা ক্যাম্পাস, নাকানো ক্যাম্পাস ও কাশিওয়া ক্যাম্পাস। এগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবেশ খুবই ভালো।
আবাসিক ব্যবস্থা : এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই আবাসিক। ছাত্রছাত্রীদের জন্য একক ও যৌথ রুম আছে। আছে বিনোদনের পর্যাপ্ত সুযোগ। ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্যাম্পাসেই আছে শপিংমল।
খেলাধুলা : খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য আছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এখানকার শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের খেলাধুলা করে থাকে।
সম্প্রীতি : এখানে জাতি ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সবাই মিলেমিশে থাকে। কোনো দাঙ্গাহাঙ্গামা নেই। নেই কোনো বিদ্বেষ। সবাই যেন এক পরিবারের সদস্য।
লাইব্রেরি : এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ক্যাম্পাসের জন্য আছে আলাদা সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। এগুলোতে আছে হাজার হাজার বই, জার্নাল ও পত্রপত্রিকা।
অ্যালামনাই : এর আছে ৬টি অ্যালামনাই। এতে আছে বিখ্যাত ব্যক্তিরা। জাপানের ৬ জন প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। 
বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইট: http://www.u-tokyo.ac.jp

No comments:

Post a Comment