কেঁচোসার উৎপাদনে নারীর সফল্য
গ্রামীণ দরিদ্র মহিলাদের আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি হিসেবে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সৈকারচরে প্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয় কেঁচো কম্পোস্ট। এর আগে নরসিংদীতে ইউএনডিপি পরিচালিত রিওপা প্রকল্পের আওতায় স্বল্প পরিসরে কেঁচো সার উৎপাদন করা হলেও এ বছরের ১৩ জুন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক অমৃত বাড়ৈ ম্যাট-২ প্রকল্পের আওতায় সৈকারচরে এ কার্যক্রম শুরু করেন। জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সৈকারচরে ২১টি হাউসে কেঁচো সার তৈরির কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ উত্তর পাড়ায় ২৫টি হাউস এবং আদিয়াবাদ কাশ্মীর পাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ২৮টি হাউস তৈরি করে গ্রামীণ মহিলাদের নিয়ে কেঁচো কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করেন। এসব হাউসে কেঁচো দিয়ে সার তৈরি করতে ৪৫ দিন সময় লাগে। এভাবে একটি হাউসে বছরে ৬ বার কেঁচো সার তথা জৈব সার উৎপাদন করা যায়। সৈকারচরের ১ম ও ২য় দফায় উৎপাদনে সফলতা পাওয়ায় গত ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেছেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক অমৃত বাড়ৈ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান সৈকারচরের ২১টি হাউসে ২য় দফায় ২১০ কেজি কেঁচো ও সাড়ে ৮ মেট্রিক টন কেঁচোসার উৎপাদন করা হয়েছে। বর্তমান বাজার দরে প্রতি কেজি কোঁচোর দাম দেড় হাজার টাকা এবং প্রতি টন সারের দাম ১২ হাজার টাকা। এতে করে গ্রামীণ মহিলারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের সুযোগ পাচ্ছে কৃষকরা। এ সার প্রয়োগ করা হলে পরবতর্ী বছরের জন্য জমিতে ৬০% সার থেকে যায়। ফলে পরবর্তী বছর কেবলমাত্র ৪০% সার প্রয়োগ করলেই চলে। এ সারে
ইউরিয়া, পটাশসহ সব ধরনের সারের গুণাগুণ রয়েছে। এর ফলে নরসিংদী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ সারের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সার ও কেঁচো সরবরাহ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়া হলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ভতর্ুকি দিয়ে সার উৎপাদন ও বিপণনের প্রক্রিয়া থেকেও রক্ষা পাবে সরকার। কিছুটা হলেও গ্যাস বিদু্যৎ সংকট দূর হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক জানান পর্যায়ক্রমে জেলার সবকটি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। তাছাড়া বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কেউ উদ্যোগ নিলে জেলা প্রশাসন সহযোগিতা প্রদান করবে বলে তিনি জানান।
ইউরিয়া, পটাশসহ সব ধরনের সারের গুণাগুণ রয়েছে। এর ফলে নরসিংদী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ সারের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সার ও কেঁচো সরবরাহ করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উদ্যোগ নেওয়া হলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ভতর্ুকি দিয়ে সার উৎপাদন ও বিপণনের প্রক্রিয়া থেকেও রক্ষা পাবে সরকার। কিছুটা হলেও গ্যাস বিদু্যৎ সংকট দূর হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক জানান পর্যায়ক্রমে জেলার সবকটি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। তাছাড়া বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কেউ উদ্যোগ নিলে জেলা প্রশাসন সহযোগিতা প্রদান করবে বলে তিনি জানান।
নিবারণ রায়, নরসিংদী ও মোঃ জয়নুল আবেদীন রায়পুরা
Source: Daily Ittefaq
No comments:
Post a Comment