বিদ্যুৎ ছাড়াই হিমাগার! বিদ্যুতের অভাবে প্রতিবছরই পচে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ ফসল, শাকসবজি ও ফল। আর এ ভাবনা থেকেই স্বল্পব্যয়ে চমৎকার একটি হিমাগার তৈরি করেছেন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের তরুণ গবেষক সহকারী অধ্যাপক পারভেজ ইসলাম। তাঁর আবিষ্কৃত হিমাগারে সবজি ঠাণ্ডা রাখতে লাগবে না কোনো বিদ্যুৎ! বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিস্তারিত জানাচ্ছেন তাওহিদুল ইসলাম-
এ বছরের প্রথমদিকে বিদ্যুৎ ছাড়াই হিমাগার তৈরি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন পারভেজ ইসলাম। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন 'পদক্ষেপ' মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কৃষি ও পরিবেশ বিভাগের পরিচালক ড. শেখ তানভীর হোসেন এবং একই বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার (হর্টিকালচার) সালমা আক্তার। গবেষণা চলতে থাকে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের ভবানীপুরের পদক্ষেপ নার্সারি ও হর্টিকালচার সেন্টারে। পরীক্ষামূলকভাবে সেখানে একটি শীতলীকরণ চেম্বার তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিনের পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল পান তাঁরা। প্রাকৃতিক পরিবেশে বিদ্যুৎহীন হিমাগার তৈরির আগাগোড়া পদ্ধতি জানালেন পারভেজ ইসলাম। প্রথমে ৯০ সেন্টিমিটার গভীর গর্ত করে ইট দিয়ে আয়তকার (দৈর্ঘ্য ১৬৫ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ১১৫ সেন্টিমিটার) একটি মেঝে তৈরি করতে হবে। মেঝের চারপাশে তৈরি করতে হবে দুই স্তর দেয়াল। স্তর দুটির মধ্যে পাঁচ ইঞ্চি ফাঁকা থাকবে। ফাঁকা স্থানটি ছোট ছোট পাথরের টুকরো ও মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে। অবশিষ্ট ফাঁকা স্থানটুকু নদীর ভেজা বালু দিয়ে পূর্ণ করে দিতে হবে। চেম্বার ঢেকে রাখতে ব্যবহার করতে হবে বাঁশের তৈরি ঢাকনা। এরপর শুকনো খড় অথবা গোলপাতা দিয়ে কক্ষটির চারপাশে একটি দোচালা ছাউনি বানাতে হবে, যাতে সূর্যের আলো সরাসরি পড়তে না পারে। এরপর দুই দেয়ালের মাঝে রাখা বালিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি দিতে হবে। এ কাজে কক্ষ থেকে সামান্য উঁচু স্থানে একটি ঢাকনাযুক্ত ড্রাম রাখতে হবে। ওই ড্রামের সঙ্গে যুক্ত পাইপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে পানি সরবরাহ করতে হবে। এতে দুই দেয়ালের মাঝের বালি সব সময় ভেজা থাকবে। ওই বালি বাইরের তাপ ভেতরে ঢুকতে দেবে না, আবার ভেতরের তাপ বাইরেও আসতে দেবে না।
পারভেজ জানালেন, কক্ষের ভেতরের ও বাইরের তাপমাত্রায় প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো পার্থক্য থাকে। কক্ষের আর্দ্রতাও থাকে বেশি। ফলে শাকসবজি ও ফলমূল অনেকদিন সতেজ থাকে। একটি শীতলীকরণ চেম্বার তৈরির খরচ প্রায় ছয় হাজার টাকা। যাতে প্রায় ২০০ কেজি সবজি রাখা যাবে। প্রতিটি কক্ষের স্থায়িত্বকাল কমপক্ষে পাঁচ বছর।
এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালে ঢেঁড়শ, বেগুন, মরিচ, পটল, টমেটো, করলা ও সজিনা সংরক্ষণের সময়কাল ৮-১০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান পারভেজ ইসলাম। দেখা গেছে, শীতকালে এ সময়কাল প্রায় দ্বিগুণ হয়।
এ পদ্ধতিতে দেশীয় ফুলও সংরক্ষণ করা যাবে বলে মনে করেন তিনি। এ প্রযুক্তির সম্প্রসারণে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন পারভেজ ইসলাম।
এ বছরের প্রথমদিকে বিদ্যুৎ ছাড়াই হিমাগার তৈরি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন পারভেজ ইসলাম। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন 'পদক্ষেপ' মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের কৃষি ও পরিবেশ বিভাগের পরিচালক ড. শেখ তানভীর হোসেন এবং একই বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার (হর্টিকালচার) সালমা আক্তার। গবেষণা চলতে থাকে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের ভবানীপুরের পদক্ষেপ নার্সারি ও হর্টিকালচার সেন্টারে। পরীক্ষামূলকভাবে সেখানে একটি শীতলীকরণ চেম্বার তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিনের পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল পান তাঁরা। প্রাকৃতিক পরিবেশে বিদ্যুৎহীন হিমাগার তৈরির আগাগোড়া পদ্ধতি জানালেন পারভেজ ইসলাম। প্রথমে ৯০ সেন্টিমিটার গভীর গর্ত করে ইট দিয়ে আয়তকার (দৈর্ঘ্য ১৬৫ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ১১৫ সেন্টিমিটার) একটি মেঝে তৈরি করতে হবে। মেঝের চারপাশে তৈরি করতে হবে দুই স্তর দেয়াল। স্তর দুটির মধ্যে পাঁচ ইঞ্চি ফাঁকা থাকবে। ফাঁকা স্থানটি ছোট ছোট পাথরের টুকরো ও মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে। অবশিষ্ট ফাঁকা স্থানটুকু নদীর ভেজা বালু দিয়ে পূর্ণ করে দিতে হবে। চেম্বার ঢেকে রাখতে ব্যবহার করতে হবে বাঁশের তৈরি ঢাকনা। এরপর শুকনো খড় অথবা গোলপাতা দিয়ে কক্ষটির চারপাশে একটি দোচালা ছাউনি বানাতে হবে, যাতে সূর্যের আলো সরাসরি পড়তে না পারে। এরপর দুই দেয়ালের মাঝে রাখা বালিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি দিতে হবে। এ কাজে কক্ষ থেকে সামান্য উঁচু স্থানে একটি ঢাকনাযুক্ত ড্রাম রাখতে হবে। ওই ড্রামের সঙ্গে যুক্ত পাইপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে পানি সরবরাহ করতে হবে। এতে দুই দেয়ালের মাঝের বালি সব সময় ভেজা থাকবে। ওই বালি বাইরের তাপ ভেতরে ঢুকতে দেবে না, আবার ভেতরের তাপ বাইরেও আসতে দেবে না।
পারভেজ জানালেন, কক্ষের ভেতরের ও বাইরের তাপমাত্রায় প্রায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো পার্থক্য থাকে। কক্ষের আর্দ্রতাও থাকে বেশি। ফলে শাকসবজি ও ফলমূল অনেকদিন সতেজ থাকে। একটি শীতলীকরণ চেম্বার তৈরির খরচ প্রায় ছয় হাজার টাকা। যাতে প্রায় ২০০ কেজি সবজি রাখা যাবে। প্রতিটি কক্ষের স্থায়িত্বকাল কমপক্ষে পাঁচ বছর।
এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালে ঢেঁড়শ, বেগুন, মরিচ, পটল, টমেটো, করলা ও সজিনা সংরক্ষণের সময়কাল ৮-১০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান পারভেজ ইসলাম। দেখা গেছে, শীতকালে এ সময়কাল প্রায় দ্বিগুণ হয়।
এ পদ্ধতিতে দেশীয় ফুলও সংরক্ষণ করা যাবে বলে মনে করেন তিনি। এ প্রযুক্তির সম্প্রসারণে সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন পারভেজ ইসলাম।
Source: Daily Kalerkantho
No comments:
Post a Comment