সম্ভাবনাময় জাহাজ নির্মাণ শিল্প
রেজাউল হক কৌশিক
রফতানির নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। এ শিল্পের যথাযথ বিকাশ হলে এখাত থেকে বছরে আয় হবে হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক শ্রমিকের। বদলে যাবে দেশের অর্থনীতির চেহারা। সম্ভাবনাময় এ খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও বাড়তে শুরু করেছে। বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্কসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ।
নানা কারণেই জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য বাংলাদেশ অন্যতম স্থান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় তুলনামূলক কম খরচ। জাহাজ নির্মাণে প্রচুর দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণে স্বল্প খরচে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায়। আর এ কারণে নির্মাণ খরচ অনেক কম। দক্ষিণাঞ্চল সমুদ্রবেষ্টিত বিধায় ভৌগোলিক সুবিধা এ সম্ভাবনার ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা আইএমও’র জারিকৃত আইএসপিএস কোডের কারণে ২৫ বছরের বেশি পুরনো জাহাজসমূহ আগামী বছর থেকে চলাচল করতে পারবে না। আইএমও’র এ নির্দেশনার কারণে কেবল ইউরোপীয় দেশগুলোকেই কিছু দিনের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার নতুন জাহাজ বাদ দিতে হবে এবং এর স্থলে নতুন জাহাজ যোগ করতে হবে। আর এ জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশই হতে পারে অন্যতম বিকল্প। কারণ, বিশ্বের অন্যতম জাহাজ নির্মাণকারী দেশ চীন, ভিয়েতনাম, ভারতের সবকটি শিপইয়ার্ড আগামী ৫ বছরের জন্য বুকড হয়ে আছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে সম্ভাবনার পালে লাগবে নতুন হাওয়া।
চলতি বছরে সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের জাহাজ নির্মাণ কাজ চলছে। তিনটি ইয়ার্ড রফতানিমুখী জাহাজ নির্মাণ করছে। ইয়ার্ডগুলো হলো—আনন্দ শিপইয়ার্ড, ওয়েস্টার্ন মেরিন এবং হাইস্পিড। তবে এ ধরনের আরও ইয়ার্ড থাকলে এখাত থেকেই বাংলাদেশের বছরে ১০০ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব হতো। এর মধ্যে জাহাজ রফতানি করে বাংলাদেশ প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে।
তবে এ খাতে রয়েছে নানা সমস্যা। অবকাঠামোগত সমস্যা, ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে উচ্চসুদের হার, কাঁচামাল আমদানিতে ব্যাংক গ্যারান্টির ক্ষেত্রে দেশীয় ব্যাংকের প্রয়োজনীয় রেটিং না থাকা। উদ্যোক্তারা জানান, এখাত বিকাশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা এবং শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পে প্রচলিত শর্তে বন্ডেড সুবিধা। এ শিল্প বিকাশে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তার অন্যতম হলো ব্যাংক সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি। জাহাজ নির্মাণের জন্য বিদেশ থেকে যে কাঁচামাল নিয়ে আসা হয় সেগুলোর জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হয়। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর আন্তর্জাতিক রেটিং অনেক কম হওয়ায় বিদেশ থেকে তারা প্রত্যাখ্যাত হয়। তখন বিদেশি কোনো ব্যাংক থেকে এ গ্যারান্টি নিতে হয়। এ গ্যারান্টি বাবদ কমিশন অনেক বেশি। জাহাজ নির্মাণ যেহেতু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এজন্য দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যাংক ঋণ নিতে হয়। অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে যেখানে সুদ দিতে হয় ৭ থেকে ৮ শতাংশ, সেখানে এ শিল্পের জন্য সুদ দিতে হয় ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় সমস্যা। কাঁচামাল আমদানি করার সময় ডিউটি খরচও অনেক বেশি, ১০ মিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করতে ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। এছাড়া ছাড়পত্রের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা সমস্যা। ইয়ার্ডসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো সুবিধা, শিল্প প্রসারে সহায়তা, প্রণোদনা সুবিধা নিশ্চিত করা না হলে সম্ভাবনাময় এ খাতটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
অবশ্য জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমস্যাগুলো দূর করে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো (ইপিবি) একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করেছে। অপরদিকে ইপিবি খুব শিগগিরই জাহাজ নির্মাণ শিল্প বিষয়ক জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এ খাতের বিকাশে বিশেষ সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ঋণের সুদের হার কমানো, সহজে ও দ্রুত ঋণ দেয়া এবং বড় অঙ্কের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রচলিত নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। ঘোষিত মুদ্রানীতিতেও জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এই খাতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক উত্সাহিত করছে।
রফতানিমুখী জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সম্মতি দেয়ার পরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণে তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে বাংলাদেশে রফতানিযোগ্য জাহাজ নির্মাণকারী তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো ওয়েস্টার্ন মেরিন, আনন্দ শিপইয়ার্ড ও হাইস্পীড গ্রুপ।
ওয়েস্টার্ন মেরিন : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও গ্রামে ওয়েস্টার্ন মেরিন তাদের শিপইয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু করে। ওয়েস্টার্ন মেরিন জার্মান, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, পাকিস্তান এবং লিবিয়া থেকে জাহাজ নির্মাণের অর্ডার পেয়েছে। এছাড়া এর মধ্যে তারা ফিনল্যান্ডের জন্য ১টি এবং জার্মানির জন্য ২টি জাহাজ নির্মাণ করেছে। জার্মানির গ্রোনা শিপিং-এর জন্য ১২টি এমপিসি ভ্যাসেল, ডেনমার্কের স্টেলা শিপিং-এর জন্য ৫টি আইস ক্লাস কন্টেনার ভ্যাসেল, পাকিস্তানের করাচি পোর্টের জন্য ২টি পেসেঞ্জার ভ্যাসেল, লিবিয়ার আল-রুপন সার্ভিসের জন্য ১টি প্লাটফর্ম সাপ্লাই ভ্যাসেল এবং ফিনল্যান্ডের পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লেমর এবি’র জন্য কিছু স্পেশাল ভ্যাসেল নির্মাণ করছে।
আনন্দ শিপইয়ার্ড : নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটের কাছে চর রমজানে গড়ে উঠেছে এ শিপইয়ার্ডটি। শুরুতে পন্টুন নির্মাণ করত কোম্পানিটি। কোম্পানিটির বড় সাফল্য ‘স্টিলা মুন’ নামের জাহাজ তৈরি। আনন্দ শিপইয়ার্ড লি. কর্তৃপক্ষের নির্মিত এটি অষ্টম জাহাজ। এর আগে আরও সাতটি জাহাজ ডেনমার্ক এবং মোজাম্বিকে রফতানি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও বৃহদাকৃতির ১০টি জাহাজ জার্মানির বিভিন্ন কোম্পানির জন্য তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে জাহাজগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
হাইস্পীড শিপইয়ার্ড : হাইস্পীড শিপইয়ার্ড আর জাপানের মিটসুই ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড শিপবিল্ডিং যৌথভাবে গত ৩০ বছরে প্রায় ১৫০টি বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ করেছে।
Source: Daily Amardesh
কথাটা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে
এম এস আলম সোহেল,
ভেলুয়াতলী, বালুচড়া, কলমাকান্দা, নেত্রকোনা।
নানা কারণেই জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য বাংলাদেশ অন্যতম স্থান হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় তুলনামূলক কম খরচ। জাহাজ নির্মাণে প্রচুর দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণে স্বল্প খরচে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায়। আর এ কারণে নির্মাণ খরচ অনেক কম। দক্ষিণাঞ্চল সমুদ্রবেষ্টিত বিধায় ভৌগোলিক সুবিধা এ সম্ভাবনার ক্ষেত্রে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থা আইএমও’র জারিকৃত আইএসপিএস কোডের কারণে ২৫ বছরের বেশি পুরনো জাহাজসমূহ আগামী বছর থেকে চলাচল করতে পারবে না। আইএমও’র এ নির্দেশনার কারণে কেবল ইউরোপীয় দেশগুলোকেই কিছু দিনের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার নতুন জাহাজ বাদ দিতে হবে এবং এর স্থলে নতুন জাহাজ যোগ করতে হবে। আর এ জাহাজ নির্মাণে বাংলাদেশই হতে পারে অন্যতম বিকল্প। কারণ, বিশ্বের অন্যতম জাহাজ নির্মাণকারী দেশ চীন, ভিয়েতনাম, ভারতের সবকটি শিপইয়ার্ড আগামী ৫ বছরের জন্য বুকড হয়ে আছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে সম্ভাবনার পালে লাগবে নতুন হাওয়া।
চলতি বছরে সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের জাহাজ নির্মাণ কাজ চলছে। তিনটি ইয়ার্ড রফতানিমুখী জাহাজ নির্মাণ করছে। ইয়ার্ডগুলো হলো—আনন্দ শিপইয়ার্ড, ওয়েস্টার্ন মেরিন এবং হাইস্পিড। তবে এ ধরনের আরও ইয়ার্ড থাকলে এখাত থেকেই বাংলাদেশের বছরে ১০০ কোটি ডলার আয় করা সম্ভব হতো। এর মধ্যে জাহাজ রফতানি করে বাংলাদেশ প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে।
তবে এ খাতে রয়েছে নানা সমস্যা। অবকাঠামোগত সমস্যা, ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে উচ্চসুদের হার, কাঁচামাল আমদানিতে ব্যাংক গ্যারান্টির ক্ষেত্রে দেশীয় ব্যাংকের প্রয়োজনীয় রেটিং না থাকা। উদ্যোক্তারা জানান, এখাত বিকাশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিত করা এবং শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পে প্রচলিত শর্তে বন্ডেড সুবিধা। এ শিল্প বিকাশে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তার অন্যতম হলো ব্যাংক সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি। জাহাজ নির্মাণের জন্য বিদেশ থেকে যে কাঁচামাল নিয়ে আসা হয় সেগুলোর জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হয়। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর আন্তর্জাতিক রেটিং অনেক কম হওয়ায় বিদেশ থেকে তারা প্রত্যাখ্যাত হয়। তখন বিদেশি কোনো ব্যাংক থেকে এ গ্যারান্টি নিতে হয়। এ গ্যারান্টি বাবদ কমিশন অনেক বেশি। জাহাজ নির্মাণ যেহেতু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এজন্য দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যাংক ঋণ নিতে হয়। অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে যেখানে সুদ দিতে হয় ৭ থেকে ৮ শতাংশ, সেখানে এ শিল্পের জন্য সুদ দিতে হয় ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ, যা উদ্যোক্তাদের জন্য বড় সমস্যা। কাঁচামাল আমদানি করার সময় ডিউটি খরচও অনেক বেশি, ১০ মিলিয়ন ডলারের কাঁচামাল আমদানি করতে ৩ থেকে ৪ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। এছাড়া ছাড়পত্রের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা সমস্যা। ইয়ার্ডসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো সুবিধা, শিল্প প্রসারে সহায়তা, প্রণোদনা সুবিধা নিশ্চিত করা না হলে সম্ভাবনাময় এ খাতটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।
অবশ্য জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমস্যাগুলো দূর করে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন এক্সপোর্ট প্রোমোশন ব্যুরো (ইপিবি) একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করেছে। অপরদিকে ইপিবি খুব শিগগিরই জাহাজ নির্মাণ শিল্প বিষয়ক জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এ খাতের বিকাশে বিশেষ সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে ঋণের সুদের হার কমানো, সহজে ও দ্রুত ঋণ দেয়া এবং বড় অঙ্কের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রচলিত নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে। ঘোষিত মুদ্রানীতিতেও জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এই খাতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক উত্সাহিত করছে।
রফতানিমুখী জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সম্মতি দেয়ার পরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণে তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে বাংলাদেশে রফতানিযোগ্য জাহাজ নির্মাণকারী তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো ওয়েস্টার্ন মেরিন, আনন্দ শিপইয়ার্ড ও হাইস্পীড গ্রুপ।
ওয়েস্টার্ন মেরিন : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও গ্রামে ওয়েস্টার্ন মেরিন তাদের শিপইয়ার্ডের কার্যক্রম শুরু করে। ওয়েস্টার্ন মেরিন জার্মান, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, পাকিস্তান এবং লিবিয়া থেকে জাহাজ নির্মাণের অর্ডার পেয়েছে। এছাড়া এর মধ্যে তারা ফিনল্যান্ডের জন্য ১টি এবং জার্মানির জন্য ২টি জাহাজ নির্মাণ করেছে। জার্মানির গ্রোনা শিপিং-এর জন্য ১২টি এমপিসি ভ্যাসেল, ডেনমার্কের স্টেলা শিপিং-এর জন্য ৫টি আইস ক্লাস কন্টেনার ভ্যাসেল, পাকিস্তানের করাচি পোর্টের জন্য ২টি পেসেঞ্জার ভ্যাসেল, লিবিয়ার আল-রুপন সার্ভিসের জন্য ১টি প্লাটফর্ম সাপ্লাই ভ্যাসেল এবং ফিনল্যান্ডের পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লেমর এবি’র জন্য কিছু স্পেশাল ভ্যাসেল নির্মাণ করছে।
আনন্দ শিপইয়ার্ড : নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটের কাছে চর রমজানে গড়ে উঠেছে এ শিপইয়ার্ডটি। শুরুতে পন্টুন নির্মাণ করত কোম্পানিটি। কোম্পানিটির বড় সাফল্য ‘স্টিলা মুন’ নামের জাহাজ তৈরি। আনন্দ শিপইয়ার্ড লি. কর্তৃপক্ষের নির্মিত এটি অষ্টম জাহাজ। এর আগে আরও সাতটি জাহাজ ডেনমার্ক এবং মোজাম্বিকে রফতানি করা হয়েছে। এ ছাড়াও আরও বৃহদাকৃতির ১০টি জাহাজ জার্মানির বিভিন্ন কোম্পানির জন্য তৈরি করছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২০১৩ সালের মধ্যে জাহাজগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
হাইস্পীড শিপইয়ার্ড : হাইস্পীড শিপইয়ার্ড আর জাপানের মিটসুই ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড শিপবিল্ডিং যৌথভাবে গত ৩০ বছরে প্রায় ১৫০টি বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ করেছে।
জাহাজ রফতানি খাতে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের আশাবাদ
চট্টগ্রাম ব্যুরো, শুক্রবার ২৭ নভেম্বর ২০১০
জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন করে শতভাগ রফতানিমুখী জোন হিসেবে গড়ে তোলা হলে ২০১৫ সালের মধ্যে বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, সরকার সম্ভাবনাময় জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় জাহাজ নির্মাণ খাতে অর্থ সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের ড্রাইডকে জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিনের তৈরি সমুদ্রগামী দুটি জাহাজ জার্মানির গ্রোনা শিপিংয়ের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন মেরিনের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম ‘গ্রোনা অ্যামারসাম’ ও ‘গ্রোনা বিয়েসসাম’ নামের জাহাজ দুটি মার্কু ভেডরের কাছে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মানির ফেডারেল ফরেন অফিসের এস্টেট সেক্রেটারি মার্টিন ভ্যাসেল, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত হলগার মাইকেল, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন।
মার্টিন ভ্যাসেল বলেন, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের জন্য এটি বিশাল সফলতা। এর মাধ্যমে জার্মানির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও বেশি উত্সাহিত হবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রোনা শিপিংয়ের পক্ষে মার্কু ভেডর, দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর জালাল খালেদ প্রমুখ।
আইএমও নির্দেশনায় এবং জার্মানিশিয়ার লয়েডের তত্ত্বাবধানে ১০০ মিটার লম্বা এবং ৫ হাজার ২০০ ডিডব্লিউটি আইস ক্লাস মাল্টিপারপাস জাহাজ দুটি নির্মাণ করা হয়। ১৫ নভেম্বর জাহাজ দুটি সফলভাবে সি ট্রায়াল সম্পন্ন করে। ই-৩ আইস ক্লাস ভ্যাসেল হিসেবে অনুমোদিত জাহাজ দুটি যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশে স্বচ্ছন্দে চলাচলে সক্ষম।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ দীর্ঘকায় জাহাজগুলো নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫শ’ মেট্রিক টন আইস ক্লাস স্টিল এবং এগুলো সংযুক্ত করতে ৬০ মেট্রিক টন ওয়েল্ডিং ইলেকট্রডস খরচ হয়। এগুলোতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে ২২ কি.মি. মেরিন ক্যাবল এবং এগুলোর মরিচা প্রতিরোধ ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪ লিটার সিগমা ব্যবহৃত পেইন্ট। এ সার্বিক কর্মকাণ্ডে ব্যয় হয়েছে মোট ১০ লাখ কর্মঘণ্টা।
পরে মন্ত্রী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন এবং জাহাজের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উন্নয়ন করে শতভাগ রফতানিমুখী জোন হিসেবে গড়ে তোলা হলে ২০১৫ সালের মধ্যে বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, সরকার সম্ভাবনাময় জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় জাহাজ নির্মাণ খাতে অর্থ সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের ড্রাইডকে জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিনের তৈরি সমুদ্রগামী দুটি জাহাজ জার্মানির গ্রোনা শিপিংয়ের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন মেরিনের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম ‘গ্রোনা অ্যামারসাম’ ও ‘গ্রোনা বিয়েসসাম’ নামের জাহাজ দুটি মার্কু ভেডরের কাছে হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জার্মানির ফেডারেল ফরেন অফিসের এস্টেট সেক্রেটারি মার্টিন ভ্যাসেল, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত হলগার মাইকেল, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন।
মার্টিন ভ্যাসেল বলেন, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বাংলাদেশের জন্য এটি বিশাল সফলতা। এর মাধ্যমে জার্মানির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আরও বেশি উত্সাহিত হবেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রোনা শিপিংয়ের পক্ষে মার্কু ভেডর, দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর জালাল খালেদ প্রমুখ।
আইএমও নির্দেশনায় এবং জার্মানিশিয়ার লয়েডের তত্ত্বাবধানে ১০০ মিটার লম্বা এবং ৫ হাজার ২০০ ডিডব্লিউটি আইস ক্লাস মাল্টিপারপাস জাহাজ দুটি নির্মাণ করা হয়। ১৫ নভেম্বর জাহাজ দুটি সফলভাবে সি ট্রায়াল সম্পন্ন করে। ই-৩ আইস ক্লাস ভ্যাসেল হিসেবে অনুমোদিত জাহাজ দুটি যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশে স্বচ্ছন্দে চলাচলে সক্ষম।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ দীর্ঘকায় জাহাজগুলো নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫শ’ মেট্রিক টন আইস ক্লাস স্টিল এবং এগুলো সংযুক্ত করতে ৬০ মেট্রিক টন ওয়েল্ডিং ইলেকট্রডস খরচ হয়। এগুলোতে আরও ব্যবহার করা হয়েছে ২২ কি.মি. মেরিন ক্যাবল এবং এগুলোর মরিচা প্রতিরোধ ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪ লিটার সিগমা ব্যবহৃত পেইন্ট। এ সার্বিক কর্মকাণ্ডে ব্যয় হয়েছে মোট ১০ লাখ কর্মঘণ্টা।
পরে মন্ত্রী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন এবং জাহাজের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
Source: Daily Amardesh
কথাটা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে
অহংকারে মন নেচে নেচে ওঠে, যখন একটি মানসম্পন্ন পণ্যের গায়ে লেখা থাকে 'মেইড ইন বাংলাদেশ'। দেশটাকে সম্পূর্ণভাবে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে এই সেস্নাগানটিকেই আমাদের কর্তব্য হিসেবে নিতে হবে। আজ আমরা যে সব দামি ভোগ্যপণ্য ব্যবহার করছি তা হয়তো ইউরোপ অথবা আমেরিকা কিংবা বিশ্বের অন্যকোন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পপণ্য দেশের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ১৫ কোটি মানুষের এদেশ । এর বাজার ছোট নয়। এই চাহিদার বিরাট অংশ পূরণ করা হয় বিশাল আমদানি বাণিজ্যদ্বারা। শুধু আসছেই পণ্য। আমরা কী রপ্তানি করতে পারছি ? আমাদের উলেস্নখযোগ্য রপ্তানিপণ্যের তালিকায় আছে তৈরি পোশাক, চা, চামড়া ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য। এগুলো নিয়ে আমরা খুব গর্ব করতে পারি না। তৈরি পোশাক বাদ দিলে বাকিগুলো প্রকৃতির আশীর্বাদে ধন্য। আবার তৈরি পোশাকও আমাদের সস্তা শ্রমের ফসল, এগুলা জটিল কোনো প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প নয় । দেশীয় শিল্পকে সমৃদ্ধশালী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের উন্নত জটিল প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প গড়ে তুলতে হবে। আজও আমরা না তৈরি করতে পেরেছি একটি রেলওয়ে ইঞ্জিন, না তৈরি করতে পেরেছি একটি বিমান ইঞ্জিন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এগুলো অবাস্তব কথা মনে হতে পারে। কিন্তু কোনো দেশের সম্ভাবনা যে অসীম। তা চিন্তা করেই এসব কথা আমাদের ভাবতে হবে।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। পৃথিবীর যত জাতির বৈপস্নবিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তাদের জনগণ, ও রাজনৈতিক নেতারা বড় বড় স্বপ্ন দেখতেন। অদম্য মনোবল আর কঠোর পরিশ্রম দ্বারাই তারা পেয়েছেন স্বপ্নের স্বাদ। নিজের দেশকে বসিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্বের আসনে । বাঙালি জাতি মেধার দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তারাও মেধার স্ফুরণ ঘটাতে পারে। এইতো ক'দিন হলো বাংলাদেশের তৈরি দু'টি জাহাজ জার্মানিকে হস্তান্তর করা হলো। জাহাজ দ'ুটি অত্যাধুনিক মানের। জাহাজ নির্মাণের মতো বড় শিল্প আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে। এবং তা রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের মতো শিল্পোন্নত মহাদেশে। এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় কৃতিত্ব। যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা যতদূর এগিয়েছি। বিশ্বের বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সম্ভাবনার প্রশংসা করছেন। এটা অনেক বড় আশার কথা। আমাদের দেশেও মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে। সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন হচ্ছে। আমরা যদি আমাদের সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসন পাবো। একটি গর্বিত জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবো বিশ্বের অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশ যেভাবে অনেক বড় বড় শিল্পপণ্যের গায়ে 'মেইড ইনঃ' কথাটা লিখতে পারে_ আমরা সেভাবে 'মেইড ইন বাংলাদেশ' কথাটা লিখতে সক্ষম হবো। আমাদের পণ্যকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। 'মেইড ইন বাংলাদেশ' কথাটাকে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে হবে।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। পৃথিবীর যত জাতির বৈপস্নবিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তাদের জনগণ, ও রাজনৈতিক নেতারা বড় বড় স্বপ্ন দেখতেন। অদম্য মনোবল আর কঠোর পরিশ্রম দ্বারাই তারা পেয়েছেন স্বপ্নের স্বাদ। নিজের দেশকে বসিয়েছেন শ্রেষ্ঠত্বের আসনে । বাঙালি জাতি মেধার দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই। উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তারাও মেধার স্ফুরণ ঘটাতে পারে। এইতো ক'দিন হলো বাংলাদেশের তৈরি দু'টি জাহাজ জার্মানিকে হস্তান্তর করা হলো। জাহাজ দ'ুটি অত্যাধুনিক মানের। জাহাজ নির্মাণের মতো বড় শিল্প আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে। এবং তা রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপের মতো শিল্পোন্নত মহাদেশে। এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় কৃতিত্ব। যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা যতদূর এগিয়েছি। বিশ্বের বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সম্ভাবনার প্রশংসা করছেন। এটা অনেক বড় আশার কথা। আমাদের দেশেও মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে। সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন হচ্ছে। আমরা যদি আমাদের সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা বিশ্বদরবারে মর্যাদার আসন পাবো। একটি গর্বিত জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবো বিশ্বের অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশ যেভাবে অনেক বড় বড় শিল্পপণ্যের গায়ে 'মেইড ইনঃ' কথাটা লিখতে পারে_ আমরা সেভাবে 'মেইড ইন বাংলাদেশ' কথাটা লিখতে সক্ষম হবো। আমাদের পণ্যকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। 'মেইড ইন বাংলাদেশ' কথাটাকে বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে হবে।
এম এস আলম সোহেল,
ভেলুয়াতলী, বালুচড়া, কলমাকান্দা, নেত্রকোনা।
No comments:
Post a Comment