পামঅয়েল চাষ : সবুজ গাছের তরল সোনা
সবুজ গাছের তরল সোনা পাল্টে দিয়েছে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক চিত্র। দেশটিতে জনপ্রতি ২০টি পাম গাছ রয়েছে। যারা আমাদের দেশ থেকে চাকরির জন্য মালয়েশিয়া যান তাদের অনেকেই কাজ করেন এই পামঅয়েল বাগানে। অথচ তারা যদি বাহিরমুখী না হয়ে নিজেদের মেধা আর শ্রম দিয়ে বাড়ির আশেপাশে কিংবা পতিত জায়গায় মাত্র ৫টি করে পামগাছ লাগায় তাহলে ওই পরিবারের সারা বছরের ভোজ্যতেলের চাহিদা যেমন মিটবে তেমনি পরিবারে আসবে আর্থিক সচ্ছলতা। পাশাপাশি দেশ হবে ভোজ্যতেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
দেশের কুমিলস্না, ময়নামতি, লালমাই, গোমতীর তীর, মেঘনার চরাঞ্চল, পাহাড়ি অনাবাদি অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকা যেমন সিলেট, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জের ও ময়মনসিংহের টিলাঞ্চল, রেলপথ ও সড়ক পথের দু'পাশে লাখ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। এ জায়গাগুলোতে পামগাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে সরকারি বেসরকারি সংস্থাসহ যে কেউ।
কয়েক বছর ধরে আমি দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের জন্য পামচাষে উৎসাহী করার জন্য বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার কৃষি অফিসের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। পাম চাষ সম্প্রসারণের জন্য নানামুখী কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ১৬ কোটি লোকের প্রত্যেকে যদি পনেরোটি করে পামগাছ রোপণ করি তাহলে আমাদের চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৪১ লাখ মেট্রিক টন পাম তেল রফতানি করতে পারব, যার মূল্য প্রায় ২৪ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।
কৃষিক্ষেত্রে ফসল উৎপাদনে সেচ দিতে পাম বায়োডিজেল ব্যবহার অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্ব রাখতে পারে। আমি একজন কৃষক হিসেবে এক লিটার পাম বায়োডিজেল দিয়ে তিন ঘণ্টা সেচ দিয়েছি। সেক্ষেত্রে ডিজেলের চেয়ে পাম বায়োডিজেলের খরচ কম হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। পামঅয়েল চাষে খুব কম পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। পাম ফল হতে তেলে আহরণের সময় যে বজর্্য পাওয়া যায় তা পামঅয়েল বাগানের সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গুচ্ছমূলজাতীয় উদ্ভিদ হওয়ায় সাধারণ ঘূর্ণিঝড় পামগাছকে সহজে উপড়ে ফেলতে পারে না। তাই গাছটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের ক্ষিপ্রতা হ্রাস করতে বিশেষভাবে কার্যকর। ২০১০-১১ অর্থ বছরের কৃষি/পলস্নীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে পামচাষ কৃষিঋণ নীতিমালা কর্মসূচিতে অন্তভর্ুক্ত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিয়া রহমান। ঋণ বিতরণ এ বছরই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। একজন কৃষক ৩৩ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করে বছরে পায় ৪,০০০ টাকা, অন্যদিকে পাম চাষ করে একজন কৃষক বছরে আয় করে নূ্যনতম ৮০,০০০ টাকা। পাম চাষের মাধ্যমে আমাদের দেশ হতে পারে একটি মাঝারি আয়ের দেশ, ঘুচে যেতে পারে লাখো মানুষের বেকারত্ব।
দেশের কুমিলস্না, ময়নামতি, লালমাই, গোমতীর তীর, মেঘনার চরাঞ্চল, পাহাড়ি অনাবাদি অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকা যেমন সিলেট, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জের ও ময়মনসিংহের টিলাঞ্চল, রেলপথ ও সড়ক পথের দু'পাশে লাখ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে। এ জায়গাগুলোতে পামগাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে সরকারি বেসরকারি সংস্থাসহ যে কেউ।
কয়েক বছর ধরে আমি দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণের জন্য পামচাষে উৎসাহী করার জন্য বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার কৃষি অফিসের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। পাম চাষ সম্প্রসারণের জন্য নানামুখী কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ১৬ কোটি লোকের প্রত্যেকে যদি পনেরোটি করে পামগাছ রোপণ করি তাহলে আমাদের চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৪১ লাখ মেট্রিক টন পাম তেল রফতানি করতে পারব, যার মূল্য প্রায় ২৪ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।
কৃষিক্ষেত্রে ফসল উৎপাদনে সেচ দিতে পাম বায়োডিজেল ব্যবহার অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্ব রাখতে পারে। আমি একজন কৃষক হিসেবে এক লিটার পাম বায়োডিজেল দিয়ে তিন ঘণ্টা সেচ দিয়েছি। সেক্ষেত্রে ডিজেলের চেয়ে পাম বায়োডিজেলের খরচ কম হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। পামঅয়েল চাষে খুব কম পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়। পাম ফল হতে তেলে আহরণের সময় যে বজর্্য পাওয়া যায় তা পামঅয়েল বাগানের সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গুচ্ছমূলজাতীয় উদ্ভিদ হওয়ায় সাধারণ ঘূর্ণিঝড় পামগাছকে সহজে উপড়ে ফেলতে পারে না। তাই গাছটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের ক্ষিপ্রতা হ্রাস করতে বিশেষভাবে কার্যকর। ২০১০-১১ অর্থ বছরের কৃষি/পলস্নীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে পামচাষ কৃষিঋণ নীতিমালা কর্মসূচিতে অন্তভর্ুক্ত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিয়া রহমান। ঋণ বিতরণ এ বছরই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। একজন কৃষক ৩৩ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করে বছরে পায় ৪,০০০ টাকা, অন্যদিকে পাম চাষ করে একজন কৃষক বছরে আয় করে নূ্যনতম ৮০,০০০ টাকা। পাম চাষের মাধ্যমে আমাদের দেশ হতে পারে একটি মাঝারি আয়ের দেশ, ঘুচে যেতে পারে লাখো মানুষের বেকারত্ব।
মনজুর হোসেন, পাম চাষি, কুমিলস্না
Source: Daily Ittefaq
No comments:
Post a Comment