রাজবাড়ীতে চার হাজার একর খাসজমি অনাবাদি : এসব জমি আবাদ করা হলে বছরে ১৪ কোটি টাকার ফসল উত্পাদন সম্ভব
জহুরুল হক রাজবাড়ী
বিপুল সম্ভাবনা সত্ত্বেও এখনও অনেকটা অনাবাদিই পড়ে আছে রাজবাড়ী জেলার ৪ হাজার একরেরও বেশি বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাসজমি। অথচ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসব জমি আবাদের আওতায় আনা হলে বছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকার বাড়তি খাদ্যশস্য উত্পাদন করা সম্ভব হবে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা সাহানা বারী জানান, জেলায় মোট কৃষি খাসজমির পরিমাণ ১৫ হাজার ৬১২ দশমিক ৬৫ একর। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৩০২ দশমিক ৯৪৪ একর। এখনও বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাসজমি পড়ে আছে ৪ হাজার ১৫৩ দশমিক ৪২ একর। বন্দোবস্তযোগ্য নয় এমন কৃষি খাসজমির পরিমাণও কম নয়। জেলায় এ ধরনের জমি রয়েছে ৬ হাজার ২৪৬ দশমিক ৫০৫ একর।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি সরকারি খাসজমি অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে জেলায় ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ায় ১ হাজার ৭২ দশমিক ৪২ একর জমি ভূমিগ্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও বন্দোবস্তের ৩ হাজার ৮১ একর জমি রয়েছে অবৈধ দখলদার ভূমিগ্রাসী ও ভূমিদস্যুদের হাতে।
রাজবাড়ীর বিল রাধাগঞ্জ, হরিণধারা চরপদ্মা, সাদারচর, বালিয়াকান্দির বিল পাকুরিয়া, বিল পুঠিয়া, ভাটি খালকুলা, খালকুলা, বিলকামাই, পাংশার চরহাবাসপুর, বিল নুরুদ্দিনপুর এবং গোয়ালন্দের চর কর্নেশন, কাশিমপুর, চর কাশিমপুর, চরদিয়ারা, দেবীপুর এলাকা ঘিরেই রয়েছে অধিকাংশ খাসজমি। এসব খাসজমির দখলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভূমিগ্রাসী চক্র।
রাজবাড়ীর বিল রাধাগঞ্জের কৃষক আবদুল মজিদ, আমির সেখ, আবদুর রাজ্জাক, বিল পাকুরিয়ার শাহ আলমসহ অনেকেই জানান, গত কয়েক বছরে এসব ভূমির মালিকানা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিরোধের জের ধরে হামলা-মামলা ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এখনও বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক মোকদ্দমা বিদ্যমান রয়েছে। এসব বিরোধের কারণে আজও সুষ্ঠুভাবে এসব জমি পূর্ণাঙ্গভাবে আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। অথচ দরিদ্র কৃষক পরিবারের অনেকেই এখন হয়রানি মামলা মাথায় নিয়ে জীবনযাপন করছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউপি সদস্য নাহিদ সেখ বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কোনো কোনো সময় বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টেকেনি। এসব জমি স্থানীয় যুবক, ভূমিহীন কৃষিজীবীদের মধ্যে বরাদ্দ ফসল চাষ ছাড়াও মত্স্য চাষের আওতায় আনা যেত। রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জয়নুল আবেদীন বলেন, সুষ্ঠু নীতিমালার আলোকে প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হলে এসব জমি রাজবাড়ীর কৃষিতে উলেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের মতে, বাড়িঘর-রাস্তাঘাটের জন্য এক-তৃতীয়াংশ জমি বাদ দিয়ে প্রকৃতভাবেই জেলার ১ হাজার ১২১ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আনা সম্ভব। আর এসব জমি রবি, খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে আবাদ করা গেলে বছরে উত্পাদিত হবে ১৪ কোটি টাকা মূল্যের বাড়তি খাদ্যশস্য। যা রাজবাড়ী জেলার খাদ্য চাহিদা পূরণে বিরাট সহায়ক হবে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা সাহানা বারী জানান, জেলায় মোট কৃষি খাসজমির পরিমাণ ১৫ হাজার ৬১২ দশমিক ৬৫ একর। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৩০২ দশমিক ৯৪৪ একর। এখনও বন্দোবস্তযোগ্য কৃষি খাসজমি পড়ে আছে ৪ হাজার ১৫৩ দশমিক ৪২ একর। বন্দোবস্তযোগ্য নয় এমন কৃষি খাসজমির পরিমাণও কম নয়। জেলায় এ ধরনের জমি রয়েছে ৬ হাজার ২৪৬ দশমিক ৫০৫ একর।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি সরকারি খাসজমি অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে জেলায় ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ায় ১ হাজার ৭২ দশমিক ৪২ একর জমি ভূমিগ্রাসীদের কবল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও বন্দোবস্তের ৩ হাজার ৮১ একর জমি রয়েছে অবৈধ দখলদার ভূমিগ্রাসী ও ভূমিদস্যুদের হাতে।
রাজবাড়ীর বিল রাধাগঞ্জ, হরিণধারা চরপদ্মা, সাদারচর, বালিয়াকান্দির বিল পাকুরিয়া, বিল পুঠিয়া, ভাটি খালকুলা, খালকুলা, বিলকামাই, পাংশার চরহাবাসপুর, বিল নুরুদ্দিনপুর এবং গোয়ালন্দের চর কর্নেশন, কাশিমপুর, চর কাশিমপুর, চরদিয়ারা, দেবীপুর এলাকা ঘিরেই রয়েছে অধিকাংশ খাসজমি। এসব খাসজমির দখলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভূমিগ্রাসী চক্র।
রাজবাড়ীর বিল রাধাগঞ্জের কৃষক আবদুল মজিদ, আমির সেখ, আবদুর রাজ্জাক, বিল পাকুরিয়ার শাহ আলমসহ অনেকেই জানান, গত কয়েক বছরে এসব ভূমির মালিকানা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিরোধের জের ধরে হামলা-মামলা ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এখনও বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে উচ্চ আদালতে একাধিক মোকদ্দমা বিদ্যমান রয়েছে। এসব বিরোধের কারণে আজও সুষ্ঠুভাবে এসব জমি পূর্ণাঙ্গভাবে আবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। অথচ দরিদ্র কৃষক পরিবারের অনেকেই এখন হয়রানি মামলা মাথায় নিয়ে জীবনযাপন করছেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউপি সদস্য নাহিদ সেখ বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কোনো কোনো সময় বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলেও শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টেকেনি। এসব জমি স্থানীয় যুবক, ভূমিহীন কৃষিজীবীদের মধ্যে বরাদ্দ ফসল চাষ ছাড়াও মত্স্য চাষের আওতায় আনা যেত। রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জয়নুল আবেদীন বলেন, সুষ্ঠু নীতিমালার আলোকে প্রকৃত ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হলে এসব জমি রাজবাড়ীর কৃষিতে উলেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের মতে, বাড়িঘর-রাস্তাঘাটের জন্য এক-তৃতীয়াংশ জমি বাদ দিয়ে প্রকৃতভাবেই জেলার ১ হাজার ১২১ হেক্টর জমি আবাদের আওতায় আনা সম্ভব। আর এসব জমি রবি, খরিপ-১ ও খরিপ-২ মৌসুমে আবাদ করা গেলে বছরে উত্পাদিত হবে ১৪ কোটি টাকা মূল্যের বাড়তি খাদ্যশস্য। যা রাজবাড়ী জেলার খাদ্য চাহিদা পূরণে বিরাট সহায়ক হবে।
Source: Daily Amardesh
No comments:
Post a Comment