Saturday, October 30, 2010

মার্সিডিস, বিএমডবিস্নউ ও ক্যাডিলাকের ইন্টেরিয়র ডিজাইন হবে ঢাকায়

মার্সিডিস, বিএমডবিস্নউ ও ক্যাডিলাকের ইন্টেরিয়র ডিজাইন হবে ঢাকায়

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ বিশেস্নষক

ঢাকার সরু আর যানজটে রাস্তায় ক্যাডিলাক এর লাক্সারী সিডানগুলো দেখতে চাওয়াও বিলাস। আকারে ঢাউস এবং সব বিলাসী জীবন অনুষঙ্গ থাকে এই গাড়ীতে-চলেন মধ্যপ্রাচ্যের রাজা বাদশা ও তাদের পরিজনেরা, ইউরোপ-আমেরিকার সরকারের শীর্ষকর্তা, শতশত কোটিপতি ব্যবসায়ী ও তারকাবৃন্দ। ক্যাডিলাক, মার্সিডিস ও বিএমডবিস্নউ এমন অনেক দামী গাড়ীগুলোর ভেতরটা আমরা অনেকেই দেখেছি অন্তত টেলিভিশনে বা ইন্টারনেটের ছবিতে। এদের কোন কোন সিরিজের সবচে কমদামি মডেলটির দামই হয়ে যায় কোটি টাকা ।

বিলাস আর আভিজাত্যের কতো অনুষঙ্গ থাকে এসব গাড়িতে। এবার বাংলাদেশেই নকশা হতে যাচ্ছে এর সব।

আসন্ন শীতের কোন এক সকালেই হয়তো ঢাকায় আনুষ্টানিকভাবে শুরু হয়ে যাবে জার্মানীর অটোমোটিভ সার্ভিস প্রতিষ্ঠান ড্রাক্সালমিয়ারের ডিজাইন ল্যাবটি। থাইল্যান্ড, চিন ও মালয়েশিয়ার পর ঢাকায় ল্যাবটি হবে এশিয়ায় তাদের চতুর্থ ল্যাব। গাড়ীর ড্যাশবোর্ড, সিটিং স্পেস ও ফ্যাসিলিটসের সাথে গাড়ী ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং এর ডিজাইনও হবে ঢাকায় ড্রাক্সালমিয়ার ল্যাবে।

কয়েকমাস আগে প্রতিষ্ঠানটি ৯ জন বাংলাদেশী প্রকৌশলীকে নিয়োগ দিয়েছে। তারা এখন জামর্ানী ও পোল্যান্ডের ড্রাক্সালমিয়ার ল্যাবগুলোতে ট্রেনিং নিচ্ছেন, ঢাকায় ফিরবেন ডিসেম্বর নাগাদ। জামর্ান ডিজাইন প্রতিষ্ঠানটি ঢাকায় আরো প্রকৌশলী ও একজন শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে এখন, জানিয়েছেন বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাহী পরিচালক ডেনিয়েল সিড্ল।

ঢাকায় ড্রাক্সালমিয়ার ল্যাব এর বিশটি ডিজাইন টার্মিনাল এর জন্য কম্পিউটার-এইডেড-সফটওয়্যার বা ক্যাড এর বার্ষিক লাইসেন্স ফিই হবে সাত কোটি টাকার সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রা, বললেন ডেনিয়েল।

আর্থিক বিনিয়োগে হয়ত অনেক বড়ো বড়ো শিল্প প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এটি ছোট তবে প্রযুক্তি আর অগ্রসর শিল্প খাতে প্রবেশের দ্বার বিবেচনায় ঢাকায় ড্রাক্সালমিয়ার এর ল্যাব প্রতিষ্টা একটি সদুরপ্রসারী জাতীয় ঘটনা অবশ্যই।

অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে ড্রাক্সালমিয়ার বিশ্বের সব নামি দামি গাড়ী নির্মাতাদের জন্য ইন্টেরিয়র ও ইকুইপমেন্ট ডিজাইন করে আসছে। বিশটি দেশে এর ৫১টি ল্যাব ও পস্নান্টে কাজ করছে ৩৫ হাজারেরও বেশী কর্মী। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক টার্নওভার দুইশ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।

এমন একটি প্রতিষ্ঠান কিন্তু হঠাৎ করেই বাংলাদেশে আসেনি। এখানকার তরুন প্রজন্ম প্রকৌশলীদের সৃষ্টিশীল মেধার খবর পেয়েই তারা তাদের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এই উদ্যোগটির সিদ্ধান্তটিও আপনাআপনি হয়ে যায়নি- এমনটি হয়ওনা সারা বিশ্বেই।

হয়ত স্বপ্ন আছে অনেকের মাঝে বাংলাদেশী একটি গাড়ীর। তবে বাস্তবতা হলো সরাসরি গাড়ী বানাতে গিয়ে ফেল মারার চাইতে গাড়ীর উপকরণ বানানোর চেষ্টা করাই দূরদর্শীতার পরিচায়ক। গাড়ী নির্মাতা বা নিমর্াতাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগী হয়ে কাজ করতে থাকলে একদিন বাংলাদেশেরও দক্ষতা চলে আসবে। নিজেদের গাড়ী বানানোর স্বপ্নটির বাস্তবায়নও সহজ হয়ে যাবে তখন।
Source: Daily Ittefaq

No comments:

Post a Comment