হতে চাই ই-কৃষককৃষিকাজে এত দিন বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষক আর কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শই ছিল ভরসা। সময় বদলেছে। ইন্টারনেট প্রযুক্তির কল্যাণে কৃষকরা এখন তথ্যকেন্দ্র থেকে নামমাত্র খরচে যেকোনো কৃষি সমস্যার সহজ সমাধান পাচ্ছেন। লিখেছেন হাবিবুর রহমান তারেক খুরারোগের ব্যবস্থাপত্রের জন্য মজিবুর রহমানকে এখন আর ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে কৃষি অফিসে যেতে হয় না। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সিঙ্গুয়া গ্রামের এ কৃষক জানান, মাত্র ১০ টাকা খরচ করে স্থানীয় বাজারের তথ্যকেন্দ্র থেকে ইন্টারনেটেই তিনি এ সমস্যার সমাধান পেয়েছেন। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারবিহীন ইন্টারনেট সংযুক্ত কম্পিউটারের মাধ্যমে নিকটবর্তী তথ্যকেন্দ্রে কৃষিবিষয়ক তথ্যসেবা পাচ্ছেন মজিবুরের মতো অনেক সচেতন কৃষক। সরেজমিন নরসিংদী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় কৃষি তথ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এ কৃষিসেবার সত্যতা পাওয়া গেছে।দেশজুড়ে কৃষি তথ্যসেবাকেন্দ্র
সারা দেশে এরই মধ্যে এক হাজারের বেশি কৃষি তথ্যসেবাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কার্যক্রম ও সেবার মানের দিক থেকে এগিয়ে আছে গ্রামীণফোন কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার (জিপি-সিআইসি), রুরাল ইনফরমেশন সেন্টার (আরআইসি), অ্যাগ্রিকালচার ইনফো সেন্টার (এআইসিসি) এবং পল্লী তথ্যকেন্দ্র। প্রতিটি উপজেলায়ই জিপি-সিআইসির কার্যক্রম রয়েছে। এ সংস্থা ২০০৬ সালে ৫০০-রও বেশি তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করে। প্রাথমিক পর্যায়ে তথ্যকেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন নাগরিকসেবা দেওয়া হতো। ২০০৭ সালে কিছু তথ্যকেন্দ্র পরীক্ষামূলক কৃষি তথ্যসেবা দেওয়া শুরু করে। এখন প্রায় সব কেন্দ্র থেকেই এ সেবা দেওয়া হচ্ছে।
কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে 'ই-কৃষক' কর্মসূচি চালু করেছে জিপি-সিআইসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান উইন ইনকরপোরেট। উইন ইনকরপোরেটের প্রধান নির্বাহী ড. কাশফিয়া আহমেদ জানান, 'বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে অনলাইনে কৃষিসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়া হচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিভিন্ন তথ্যকেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষিসেবা দেওয়া হচ্ছে।'
তিনি জানান, তথ্যকেন্দ্রগুলো থেকে সপ্তাহে গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন তথ্যসেবা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত সহস্রাধিক কৃষক তথ্যসেবা নিয়ে উপকৃত হয়েছেন।
জিপি-সিআইসি সূত্রে জানা গেছে, তথ্যকেন্দ্রের অবস্থান জানতে www.gpcic.org অথবা www.ruralinfobd.com ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
এসএমএসের মাধ্যমেও জানা যাবে নিকটস্থ তথ্যকেন্দ্রের ঠিকানা। গ্রামীণফোন অপারেটরের মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে ঈওঈ টাইপ করে একটা স্পেস দিয়ে উপজেলার নাম লিখে পাঠিয়ে দিন ২০০০ নম্বরে। ফিরতি মেসেজে উলি্লখিত উপজেলার তথ্যকেন্দ্রের অবস্থান জানা যাবে।
যেভাবে পেঁৗছে দেওয়া হয় কৃষি তথ্যসেবা
এ সেবা পেতে প্রথমে যোগাযোগ করতে হবে স্থানীয় তথ্যকেন্দ্রে। প্রাথমিক অবস্থায় তথ্যকেন্দ্রের অপারেটর www.ruralinfobd.com ওয়েবসাইটে সম্ভাব্য সমাধান আছে কি না তা দেখেন। অন্যথায় সংক্রমিত ফসল কিংবা গবাদিপশুর কিছু স্থিরচিত্র এবং রোগের বিবরণসহ ইমেইল করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। ফিরতি ইমেইলেই থাকে সমাধান। প্রয়োজনে ভয়েস অথবা ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যও নেওয়া হয়।
'ই-কৃষক' কর্মসূচি
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) ও জিপি-সিআইসির সহায়তায় ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে 'ই-কৃষক' কর্মসূচি চালু করে উইন ইনকরপোরেট। এখন ১০০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কর্মসূচির কার্যক্রম চলছে। বিআইআইডির ওয়েবসাইট (www.biid.org.bd) সূত্রে জানা যায়, কৃষিসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্যসেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
তবে সেবা পেতে অবশ্যই কৃষককে তাঁর নিকটবর্তী তথ্যসেবাকেন্দ্র অথবা কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টারের মাধ্যমে 'ই-কৃষক সদস্য ফরম' পূরণ করে সদস্য হতে হবে। বিআইআইডি থেকে সরবরাহ করা ফরম পূরণের পর প্রত্যেক কৃষককেই বিশেষ নম্বরসহ আইডি কার্ড দেওয়া হয়। অনলাইনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণের মাধ্যমেও যেকোনো কৃষক 'ই-কৃষক' হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম
বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় 'কৃষিতথ্য সার্ভিস' নামের একটি তথ্যসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ওয়েবসাইট-ভিত্তিক এ সেবাটি দেওয়া হচ্ছে 'কৃষিতথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র' (এআইসিসি)-এর মাধ্যমে।
কৃষিতথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে (www.ais.gov.bd) ই-কৃষি নামের একটি লিংক আছে। এখান থেকে কৃষক নিজে কিংবা এআইসিসির অপারেটরের সাহায্যে কৃষিবিষয়ক তথ্য পাবেন। তবে এ সাইটটিকে আরো তথ্যবহুল ও যুগোপযোগী করা উচিত বলে মত দেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষিবিষয়ক ওয়েবসাইট
শুধু কৃষি তথ্যকেন্দ্রই নয়, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য। কৃষকদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি তাদের সফলতার গল্প ও কৃষি ব্যবসাবিষয়ক তথ্যও রয়েছে এসব সাইটে। মসলা, ঔষধি, ফলদ গাছের চাষ পদ্ধতির তথ্যও মিলবে এসব সাইটে।
www.agrobangla.com ঠিকানার ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে ধান, আলু, শাকসবজি, সারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আর সংশ্লিষ্ট কৃষকদের জন্য পরামর্শ। এখানে ফলমূল ও শাকসবজি চাষ, বাড়ির ছাদে টবে ধান, সবজি, ফুল চাষ পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় কৃষিবিষয়ক আরো তথ্য মিলবে। কৃষি সংক্রান্ত আরো তথ্য পাওয়া যাবে www.ais.gov.bd, www.ekrishok.com, www.krishibangla.com, www.moa.gov.bd, www.badc.gov.bd, www.knowledgebank-brri.org, www.dae.gov.bd, www.bari.gov.bd, www.bina.gov.bd, www.sca.gov.bd সাইট থেকে।
কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে 'ই-কৃষক' কর্মসূচি চালু করেছে জিপি-সিআইসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান উইন ইনকরপোরেট। উইন ইনকরপোরেটের প্রধান নির্বাহী ড. কাশফিয়া আহমেদ জানান, 'বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে অনলাইনে কৃষিসংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেওয়া হচ্ছে এবং দেশব্যাপী বিভিন্ন তথ্যকেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষিসেবা দেওয়া হচ্ছে।'
তিনি জানান, তথ্যকেন্দ্রগুলো থেকে সপ্তাহে গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন তথ্যসেবা নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত সহস্রাধিক কৃষক তথ্যসেবা নিয়ে উপকৃত হয়েছেন।
জিপি-সিআইসি সূত্রে জানা গেছে, তথ্যকেন্দ্রের অবস্থান জানতে www.gpcic.org অথবা www.ruralinfobd.com ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
এসএমএসের মাধ্যমেও জানা যাবে নিকটস্থ তথ্যকেন্দ্রের ঠিকানা। গ্রামীণফোন অপারেটরের মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে ঈওঈ টাইপ করে একটা স্পেস দিয়ে উপজেলার নাম লিখে পাঠিয়ে দিন ২০০০ নম্বরে। ফিরতি মেসেজে উলি্লখিত উপজেলার তথ্যকেন্দ্রের অবস্থান জানা যাবে।
যেভাবে পেঁৗছে দেওয়া হয় কৃষি তথ্যসেবা
এ সেবা পেতে প্রথমে যোগাযোগ করতে হবে স্থানীয় তথ্যকেন্দ্রে। প্রাথমিক অবস্থায় তথ্যকেন্দ্রের অপারেটর www.ruralinfobd.com ওয়েবসাইটে সম্ভাব্য সমাধান আছে কি না তা দেখেন। অন্যথায় সংক্রমিত ফসল কিংবা গবাদিপশুর কিছু স্থিরচিত্র এবং রোগের বিবরণসহ ইমেইল করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। ফিরতি ইমেইলেই থাকে সমাধান। প্রয়োজনে ভয়েস অথবা ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যও নেওয়া হয়।
'ই-কৃষক' কর্মসূচি
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি) ও জিপি-সিআইসির সহায়তায় ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে 'ই-কৃষক' কর্মসূচি চালু করে উইন ইনকরপোরেট। এখন ১০০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কর্মসূচির কার্যক্রম চলছে। বিআইআইডির ওয়েবসাইট (www.biid.org.bd) সূত্রে জানা যায়, কৃষিসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্যসেবাকেন্দ্রের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
তবে সেবা পেতে অবশ্যই কৃষককে তাঁর নিকটবর্তী তথ্যসেবাকেন্দ্র অথবা কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টারের মাধ্যমে 'ই-কৃষক সদস্য ফরম' পূরণ করে সদস্য হতে হবে। বিআইআইডি থেকে সরবরাহ করা ফরম পূরণের পর প্রত্যেক কৃষককেই বিশেষ নম্বরসহ আইডি কার্ড দেওয়া হয়। অনলাইনে নির্দিষ্ট ফরম পূরণের মাধ্যমেও যেকোনো কৃষক 'ই-কৃষক' হিসেবে নিবন্ধিত হতে পারবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম
বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় 'কৃষিতথ্য সার্ভিস' নামের একটি তথ্যসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ওয়েবসাইট-ভিত্তিক এ সেবাটি দেওয়া হচ্ছে 'কৃষিতথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র' (এআইসিসি)-এর মাধ্যমে।
কৃষিতথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটে (www.ais.gov.bd) ই-কৃষি নামের একটি লিংক আছে। এখান থেকে কৃষক নিজে কিংবা এআইসিসির অপারেটরের সাহায্যে কৃষিবিষয়ক তথ্য পাবেন। তবে এ সাইটটিকে আরো তথ্যবহুল ও যুগোপযোগী করা উচিত বলে মত দেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষিবিষয়ক ওয়েবসাইট
শুধু কৃষি তথ্যকেন্দ্রই নয়, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য। কৃষকদের জন্য বিভিন্ন পরামর্শের পাশাপাশি তাদের সফলতার গল্প ও কৃষি ব্যবসাবিষয়ক তথ্যও রয়েছে এসব সাইটে। মসলা, ঔষধি, ফলদ গাছের চাষ পদ্ধতির তথ্যও মিলবে এসব সাইটে।
www.agrobangla.com ঠিকানার ওয়েবসাইটটিতে রয়েছে ধান, আলু, শাকসবজি, সারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আর সংশ্লিষ্ট কৃষকদের জন্য পরামর্শ। এখানে ফলমূল ও শাকসবজি চাষ, বাড়ির ছাদে টবে ধান, সবজি, ফুল চাষ পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় কৃষিবিষয়ক আরো তথ্য মিলবে। কৃষি সংক্রান্ত আরো তথ্য পাওয়া যাবে www.ais.gov.bd, www.ekrishok.com, www.krishibangla.com, www.moa.gov.bd, www.badc.gov.bd, www.knowledgebank-brri.org, www.dae.gov.bd, www.bari.gov.bd, www.bina.gov.bd, www.sca.gov.bd সাইট থেকে।
No comments:
Post a Comment