নার্সারী করে স্বাবলম্বী সখীপুরের কিসমত আলী কোটিপতি
০০ মামুন হায়দার, সখীপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
কিসমত আলী তখন এসএসসি পাস করে সবেমাত্র ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়ে টাকার অভাবে লেখাপড়া করতে পারছিলেন না। বেকার যুবক কিসমতের অভাব ঘুচানোর চিন্তা সব সময় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। অভাবের তাড়নায় পড়ালেখা বাদ দিয়ে ভবঘুরে হয়ে গেলেন কিসমত। এ অবস্থায় পারিবারিক চাপে বিয়ে করা এবং নববধূকে নিয়ে সংসার চালানো কঠিনভাবে ভাবিয়ে তুললো কিসমতকে। সে সময়ে নানা জায়গায় কর্মসংস্থানের খোঁজে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় (মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র) প্রশিকা এনজিওতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সেখান থেকে মাত্র ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে নার্সারী করা শুরু করলেন। প্রথম ১/২ বছরে লাভের মুখ দেখলেন। সেই থেকে শুরু নার্সারী করা। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। শুধুই সফলতা আর সফলতা। এভাবেই কথাগুলো বললেন এক সময়ের চরম হতদরিদ্রের কশাঘাতের মানুষ আজকের সফল কিসমত আলী। একে একে জানালেন কিসমতের সফল হওয়ার কাহিনী।
১৯৯৫ সাল। প্রশিকার ১০ হাজার টাকার ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে বাপের এক টুকরো জমিতে নার্সারী শুরু করেন। নার্সারীর প্রচার-প্রসার বাড়তে থাকলে জমি লিজ নিয়ে নার্সারীতে চারা উৎপাদন করেন। কিসমত আলী তিন একর জমি ১০ বছরের মেয়াদে লিজ নিয়ে বনজ, ফলদ ঔষধিসহ নানা প্রজাতির বৃক্ষের চারা উৎপাদন করছেন। সখীপুর সাগরদীঘি মহাসড়কের পাশেই কচুরা গ্রামে তার 'ইসমতারা' নার্সারীর বাগান। এক সময় কিসমত আলী নার্সারীর চারা বিভিন্ন হাট-বাজারে ফেরি করে বিক্রি করতেন। এখন তার বাগান থেকেই নারী-পুরুষরা চারা কিনতে আসেন। কিসমত আলী জানান প্রতিবছর তার নার্সারীতে তিন লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। এর বিপরীতে উৎপাদন খরচ বাদে সে প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা লাভ পাচ্ছেন। বাৎসরিক ৫ জন এবং দৈনিক ১০/১২ জন শ্রমিক তার নার্সারীতে কাজ করছেন। কিসমত আলী নার্সারী করে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব ঘুচিয়ে এখন একজন আদর্শ সফল মানুষ। তার দেখাদেখি সখীপুরের অনেক বেকার যুবক-যুবতী এ পেশায় নেমে স্বচ্ছল হচ্ছেন।
কিসমতের বাড়ি সখীপুর সদরে। বাবা গত হয়েছেন অনেক আগেই। স্ত্রী, দুই মেয়ে নিয়ে সুখে আছেন। এক সময় দু'মুঠো ভাতও যার জুটতো না, সেই কিসমত নার্সারী করে ২০ বিঘা জমি কিনেছেন, বাড়িতে পাকা ঘর। ৮/১০টি গরু পালন করেন। কিসমত আলী বেকাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা এমন অভিশপ্ত জীবন যাপন করেন তারা ঘরে বসে না থেকে বা চাকরির পিছনে না ঘুরে নার্সারীর মতো পেশায় এলে তাদের সাফল্য অবারিত। এতে নিজে স্বাবলম্বী ও পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা পালনও সম্ভব।
১৯৯৫ সাল। প্রশিকার ১০ হাজার টাকার ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে বাপের এক টুকরো জমিতে নার্সারী শুরু করেন। নার্সারীর প্রচার-প্রসার বাড়তে থাকলে জমি লিজ নিয়ে নার্সারীতে চারা উৎপাদন করেন। কিসমত আলী তিন একর জমি ১০ বছরের মেয়াদে লিজ নিয়ে বনজ, ফলদ ঔষধিসহ নানা প্রজাতির বৃক্ষের চারা উৎপাদন করছেন। সখীপুর সাগরদীঘি মহাসড়কের পাশেই কচুরা গ্রামে তার 'ইসমতারা' নার্সারীর বাগান। এক সময় কিসমত আলী নার্সারীর চারা বিভিন্ন হাট-বাজারে ফেরি করে বিক্রি করতেন। এখন তার বাগান থেকেই নারী-পুরুষরা চারা কিনতে আসেন। কিসমত আলী জানান প্রতিবছর তার নার্সারীতে তিন লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। এর বিপরীতে উৎপাদন খরচ বাদে সে প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা লাভ পাচ্ছেন। বাৎসরিক ৫ জন এবং দৈনিক ১০/১২ জন শ্রমিক তার নার্সারীতে কাজ করছেন। কিসমত আলী নার্সারী করে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব ঘুচিয়ে এখন একজন আদর্শ সফল মানুষ। তার দেখাদেখি সখীপুরের অনেক বেকার যুবক-যুবতী এ পেশায় নেমে স্বচ্ছল হচ্ছেন।
কিসমতের বাড়ি সখীপুর সদরে। বাবা গত হয়েছেন অনেক আগেই। স্ত্রী, দুই মেয়ে নিয়ে সুখে আছেন। এক সময় দু'মুঠো ভাতও যার জুটতো না, সেই কিসমত নার্সারী করে ২০ বিঘা জমি কিনেছেন, বাড়িতে পাকা ঘর। ৮/১০টি গরু পালন করেন। কিসমত আলী বেকাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা এমন অভিশপ্ত জীবন যাপন করেন তারা ঘরে বসে না থেকে বা চাকরির পিছনে না ঘুরে নার্সারীর মতো পেশায় এলে তাদের সাফল্য অবারিত। এতে নিজে স্বাবলম্বী ও পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রণী ভূমিকা পালনও সম্ভব।
No comments:
Post a Comment