আধুনিক জীবনের মডেল পাবনার প্রযুক্তি জাদুঘর
জহুরুল ইসলাম, পাবনা
আধুনিক জীবন ব্যবস্থার এক মডেল হিসেবে পাবনা সদর উপজেলা চত্বরে গড়ে তোলা হয়েছে দেশের প্রথম লাগসই প্রযুক্তি জাদুঘর। স্বল্প জমির বহুবিধ ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে ধারণা সৃষ্টি এ মডেল উপস্থাপনের মূল লক্ষ্য। কৃষি উন্নয়ন, মত্স্য চাষ, স্বাস্থ্যসম্মত পানীয় জল, উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, সৌরবিদ্যুত্, স্বল্প ব্যয়ে সাশ্রয়ী চুল্লী, এক পুকুরের বহুবিধ ব্যবহার, মাশরুম চাষ, বাড়ির আঙিনার ব্যবহার, ঔষধিসহ নানা বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা, হাঁস-মুরগি পালন পদ্ধতি—সবই এ জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে নির্মল বিনোদন কেন্দ্র। নির্মল অনিন্দ্যের সঙ্গে আধুনিক জীবনের অনেক কিছু জেনে নেয়ার এই আয়োজনের মূল পরিকল্পনাকারী পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাকিম ও ইউনির্ভাসাল গ্রুপের ব্যবস্থপনা পরিচালক সোহানী হোসেন। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় সদর উপজেলা পরিষদ এ কাজ বাস্তবায়ন করেছে। এই জাদুঘর গড়ে তোলার আগে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবটরি থেকে ১২ জন বিজ্ঞানী এখানে এসে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি সম্পর্কে একটি সেমিনার করেন।
পাবনা ইউএনও’র অফিসের সামনে প্রায় এক একর জমির ওপর প্রাচীরঘেরা শান্ত পরিবেশে এ জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। জাদুঘরের প্রাচীরের ভেতরে এবং বাইরে লেখা রয়েছে পবিত্র আল-কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের গ্রন্থ ও মনীষীদের বাণী। জাদুঘরের প্রবেশমুখে রয়েছে লালবাগ কেল্লার আদলে একটি গেট। ভেতরে ঢুকে বাঁ দিকে রয়েছে গোলাকৃতির একটি ঘর, যাতে রয়েছে ডিসপ্লে বোর্ড। এখানে নানাবিধ ঔষধি গাছের গুণাগুণ ও পরিচিতি উল্লেখ রয়েছে। হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু বিষয়ে রয়েছে নানা তথ্য।পাশেই রয়েছে একটি ছোট পুকুর। তার পাশে ফোয়ারা। পুকুরের বহুবিধ ব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে। পুকুরের ওপর রয়েছে কোয়েল, হাঁস ও খরগোসের পৃথক খাঁচা। পানিতে রয়েছে ভাসমান সবজি চাষ পদ্ধতির মডেল। রয়েছে দ্রুতবর্ধনশীল দৃষ্টিনন্দন দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির মাছ। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হলে অনায়াসেই যাতে বিশ্রাম নেয়া যায় তার জন্য এখানে রয়েছে ব্যবস্থা। পুকুরের মাঝখানে বাঁশের একটি ঘর। বাঁশের সাঁকো দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে পুকুরপাড়ের সঙ্গে। এখানে বসে দেখা যাবে পুকুরের পানিতে রঙিন মাছ ও হাঁসের চলাচল।
রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখা যাবে নানা ধরনের গাছ। বিলুপ্তপ্রায় অনেক গাছ রয়েছে এখানে। গাছের গায়ে লেমিনেটিং করে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও এর প্রয়োজনীয় ব্যবহার সম্পর্কে লেখা রয়েছে। এগিয়ে গেলে চোখে পড়বে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন। মডেল হিসেবে এটি উপস্থাপন করা হয়েছে। একটু এগিয়ে গেলে সৌরশক্তির ব্যবহার বিষয়ক মডেল দেখা যাবে। এখানে দেখানো হয়েছে সৌরচুল্লীর ব্যবহার, সৌরবিদ্যুত্ ও সাশ্রয়ী চুলার মডেল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাকিম বদলি হওয়ার পর লাগসই প্রযুক্তি জাদুঘর দেখাশোনা করছেন ইউনির্ভাসাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানী হোসেন। তিনি জানান, এটা এমন একটা মডেল, যার মাধ্যমে অল্প সম্পদের বহুবিধ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায় তা শেখা যাবে। জনগণ বিশেষত কৃষকের কাছে এমন ধারণা পৌঁছে দিতেই তাদের এ প্রচেষ্টা।
Source: Daily Amardesh, 07-10-10
পাবনা ইউএনও’র অফিসের সামনে প্রায় এক একর জমির ওপর প্রাচীরঘেরা শান্ত পরিবেশে এ জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। জাদুঘরের প্রাচীরের ভেতরে এবং বাইরে লেখা রয়েছে পবিত্র আল-কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের গ্রন্থ ও মনীষীদের বাণী। জাদুঘরের প্রবেশমুখে রয়েছে লালবাগ কেল্লার আদলে একটি গেট। ভেতরে ঢুকে বাঁ দিকে রয়েছে গোলাকৃতির একটি ঘর, যাতে রয়েছে ডিসপ্লে বোর্ড। এখানে নানাবিধ ঔষধি গাছের গুণাগুণ ও পরিচিতি উল্লেখ রয়েছে। হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু বিষয়ে রয়েছে নানা তথ্য।পাশেই রয়েছে একটি ছোট পুকুর। তার পাশে ফোয়ারা। পুকুরের বহুবিধ ব্যবহার তুলে ধরা হয়েছে। পুকুরের ওপর রয়েছে কোয়েল, হাঁস ও খরগোসের পৃথক খাঁচা। পানিতে রয়েছে ভাসমান সবজি চাষ পদ্ধতির মডেল। রয়েছে দ্রুতবর্ধনশীল দৃষ্টিনন্দন দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির মাছ। ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হলে অনায়াসেই যাতে বিশ্রাম নেয়া যায় তার জন্য এখানে রয়েছে ব্যবস্থা। পুকুরের মাঝখানে বাঁশের একটি ঘর। বাঁশের সাঁকো দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে পুকুরপাড়ের সঙ্গে। এখানে বসে দেখা যাবে পুকুরের পানিতে রঙিন মাছ ও হাঁসের চলাচল।
রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখা যাবে নানা ধরনের গাছ। বিলুপ্তপ্রায় অনেক গাছ রয়েছে এখানে। গাছের গায়ে লেমিনেটিং করে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও এর প্রয়োজনীয় ব্যবহার সম্পর্কে লেখা রয়েছে। এগিয়ে গেলে চোখে পড়বে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন। মডেল হিসেবে এটি উপস্থাপন করা হয়েছে। একটু এগিয়ে গেলে সৌরশক্তির ব্যবহার বিষয়ক মডেল দেখা যাবে। এখানে দেখানো হয়েছে সৌরচুল্লীর ব্যবহার, সৌরবিদ্যুত্ ও সাশ্রয়ী চুলার মডেল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাকিম বদলি হওয়ার পর লাগসই প্রযুক্তি জাদুঘর দেখাশোনা করছেন ইউনির্ভাসাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানী হোসেন। তিনি জানান, এটা এমন একটা মডেল, যার মাধ্যমে অল্প সম্পদের বহুবিধ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায় তা শেখা যাবে। জনগণ বিশেষত কৃষকের কাছে এমন ধারণা পৌঁছে দিতেই তাদের এ প্রচেষ্টা।
Source: Daily Amardesh, 07-10-10
No comments:
Post a Comment