পিঠা ঐতিহ্যই নয় একমুঠো অন্নও জোগায়
মাহমুদা ডলি
‘পোলাডার কত আশা ছিল, লেখাপড়া করবো। কিন্তু সামর্থ্য হইলো কই! ধানমন্ডিতে পাইলট স্কুলে ভর্তির জন্য সব কাজগজপত্র ঠিকও করলো, কিন্তু এতগুলো ট্যাকা জমা দিতে পারি নাই।’ আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বললেন মোহাম্মদ হাবিল (৪৪)।
নগরীর বসুন্ধরা সিটির পেছনে ফুটপাতে বসে পিঠাপুলি বিক্রি করে রোজগার করেন তিনি। দুই ছেলে, দুই মেয়ের বাবা হাবিল জানান, পিঠাপুলি বিক্রি করে ছেলের রোজগার করা অর্থ দিয়ে ঢাকা শহরে ঘর ভাড়া ও নিত্যদিনের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সাত-আট বছর আগে অভাবের তাড়নায় গ্রামের বাড়ি জামালপুর থেকে ঢাকা আসেন পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি। বাধ্য হয়েই অষ্টম শ্রেণীপড়ুয়া ছেলে লিজনকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে ঢাকায় ড্রাইভিংয়ের কাজ দেন।
বর্তমানে দু’জনের আয়ে সংসার চলে। কাঁঠালবাগান এলাকায় ৩ হাজার টাকায় টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দুই ছেলেমেয়েকে স্কুলে দিয়েছেন। কেন এ পেশায়? জানতে চাইলে জানান, প্রথমে নির্মাণ শ্রমিক, তারপর রিকশা চালিয়েছেন। কিন্তু এসব পেশায় বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। তাই নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পিঠা বিক্রি করতে বসেন। অনেক সময় ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়েও পিঠা তৈরি করেন। যেমন শীতে তৈরি করেন ভাঁপাপিঠা। এছাড়াও সারাবছর চিতইপিঠা, তেলপিঠা তৈরি করেন। প্রতিটি পিঠা ৩ টাকায় বিক্রি করেন। দৈনিক আয় হয় ২ থেকে ৩০০ টাকা। এসব পিঠার বেশিরভাগ ক্রেতাই রিকশাচালক বা শ্রমিক। আবার কখনও কখনও মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাও শখের বশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন। বাংলার ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিয়ে উত্সবে ঐতিহ্য হিসেবে টিকে আছে এসব পিঠাপুলি। আধুনিক হরেক রকম রেস্টুরেস্ট কিংবা ফাস্টফুডের ভিড়ে হারিয়ে যায়নি পিঠা।
আমাদের লোকসাহিত্যে পিঠার স্থান অনেক উঁচু করে দেখানো হয়েছে। কাজল রেখা গীতিকায় চন্দ্রপুলি পিঠা ও ময়মনসিংহের একটি লোকসঙ্গীতে পাকোয়ান পিঠার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এসব পিঠা এখন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ছাড়িয়ে শহরে অর্থ উপার্জনের জন্য একটি বিশেষ পেশা হিসেবে গড়ে উঠেছে। অনেক মানুষ রোজগার করেন পিঠাপুলি তৈরি করে। শুধু ঐতিহ্যই নয়, বর্তমানে হাজারও মানুষের মুখে একমুঠো অন্নও জোগায়। নগরির ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মিরপুর, রামপুরা, মগবাজারসহ সর্বত্রই পিঠাপুলি বিকিকিনি করতে বসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ বা হকারদের রয়েছে নানা হয়রানি। পুলিশ ও এলাকাবাসীর চাঁদাবাজির উত্পাত তো রয়েছেই। তার ফাঁকেও এসব পেশার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ওপর নির্ভর করছে হাজার হাজার মানুষের ভরণ-পোষণ। কারওয়ান বাজারের হাবিল জানান, ‘পুলিশ যখন আসে তখনই মনটা দুর্বল হইয়া পড়ে। উঠাইয়া দিলে ছেলেপুলে নিয়ে কী খামু!’
নগরীর বসুন্ধরা সিটির পেছনে ফুটপাতে বসে পিঠাপুলি বিক্রি করে রোজগার করেন তিনি। দুই ছেলে, দুই মেয়ের বাবা হাবিল জানান, পিঠাপুলি বিক্রি করে ছেলের রোজগার করা অর্থ দিয়ে ঢাকা শহরে ঘর ভাড়া ও নিত্যদিনের সংসারে খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সাত-আট বছর আগে অভাবের তাড়নায় গ্রামের বাড়ি জামালপুর থেকে ঢাকা আসেন পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি। বাধ্য হয়েই অষ্টম শ্রেণীপড়ুয়া ছেলে লিজনকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে ঢাকায় ড্রাইভিংয়ের কাজ দেন।
বর্তমানে দু’জনের আয়ে সংসার চলে। কাঁঠালবাগান এলাকায় ৩ হাজার টাকায় টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দুই ছেলেমেয়েকে স্কুলে দিয়েছেন। কেন এ পেশায়? জানতে চাইলে জানান, প্রথমে নির্মাণ শ্রমিক, তারপর রিকশা চালিয়েছেন। কিন্তু এসব পেশায় বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। তাই নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পিঠা বিক্রি করতে বসেন। অনেক সময় ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়েও পিঠা তৈরি করেন। যেমন শীতে তৈরি করেন ভাঁপাপিঠা। এছাড়াও সারাবছর চিতইপিঠা, তেলপিঠা তৈরি করেন। প্রতিটি পিঠা ৩ টাকায় বিক্রি করেন। দৈনিক আয় হয় ২ থেকে ৩০০ টাকা। এসব পিঠার বেশিরভাগ ক্রেতাই রিকশাচালক বা শ্রমিক। আবার কখনও কখনও মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাও শখের বশে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার স্বাদ গ্রহণ করেন। বাংলার ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বিয়ে উত্সবে ঐতিহ্য হিসেবে টিকে আছে এসব পিঠাপুলি। আধুনিক হরেক রকম রেস্টুরেস্ট কিংবা ফাস্টফুডের ভিড়ে হারিয়ে যায়নি পিঠা।
আমাদের লোকসাহিত্যে পিঠার স্থান অনেক উঁচু করে দেখানো হয়েছে। কাজল রেখা গীতিকায় চন্দ্রপুলি পিঠা ও ময়মনসিংহের একটি লোকসঙ্গীতে পাকোয়ান পিঠার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এসব পিঠা এখন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে ছাড়িয়ে শহরে অর্থ উপার্জনের জন্য একটি বিশেষ পেশা হিসেবে গড়ে উঠেছে। অনেক মানুষ রোজগার করেন পিঠাপুলি তৈরি করে। শুধু ঐতিহ্যই নয়, বর্তমানে হাজারও মানুষের মুখে একমুঠো অন্নও জোগায়। নগরির ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মিরপুর, রামপুরা, মগবাজারসহ সর্বত্রই পিঠাপুলি বিকিকিনি করতে বসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তবে এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ বা হকারদের রয়েছে নানা হয়রানি। পুলিশ ও এলাকাবাসীর চাঁদাবাজির উত্পাত তো রয়েছেই। তার ফাঁকেও এসব পেশার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ওপর নির্ভর করছে হাজার হাজার মানুষের ভরণ-পোষণ। কারওয়ান বাজারের হাবিল জানান, ‘পুলিশ যখন আসে তখনই মনটা দুর্বল হইয়া পড়ে। উঠাইয়া দিলে ছেলেপুলে নিয়ে কী খামু!’
No comments:
Post a Comment