স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে চান বাংলামতি ধান দিয়ে
এস এম আতিয়ার রহমান
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ৫০ তম জাত হল বাংলামতি। বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষির জন্য বাংলামতি ধান বড় ধরনের সুসংবাদ বয়ে এনেছে। বিজ্ঞানীরা এ জাতটির উদ্ভাবনের মাধ্যমে পাল্টে দিতে চান কৃষকের ভাগ্য। এই ধান পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতি সমমানের বলে উদ্ভাবক কৃষি বিজ্ঞানীরা দাবি করেন। সুপার ফাইন এ্যারোমেটিক (সুগন্ধি) রাইচ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাসমতি চালের যে জনপ্রিয়তা, সুনাম ও উচ্চমূল্য রয়েছে ঠিক সে চালই পাওয়া যাবে এই বাংলামতি ধান থেকে। পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতির চেয়ে বাংলামতির ফলন বেশি। পার্থক্য কেবল নামে। আন্তর্জাতিক প্যাটেন্ট আইনের কারণে এ ধানকে বাসমতি বলা যাচ্ছে না। তবে চালের গুণগতমানে কোনো পার্থক্য নেই। ফলে একদিকে এ ধানের চালের বিদেশে চাহিদা রয়েছে; অপরদিকে স্থানীয় বাজারেও এর ভাল কদর পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাটি ও মানুষের কৃষি ডেস্ক
সুগন্ধি বাংলামতি ধান চাষ করে তার বীজ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান এস এম আতিয়ার রহমান। বাংলামতি ধান চাষে সাফল্য আসার পর তার বীজ কিনে নিতে চেয়েছিল বড় একটা বীজ কোম্পানি। কিন্তু তিনি তাতে রাজী হননি। তার ইচ্ছে ছিল বীজ কৃষকের চাষাবাদের আগ্রহের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়-ক এক জেলা থেকে আরেক জেলাতে। তার এ ইচ্ছে এখন পূরণ হতে চলেছে। এ পর্যন্ত তিনি দেশের ৫২টি জেলায় দু'তিন জন করে কৃষকের হাতে বীজ তুলে দিয়েছেন। তারা এ ধান চাষে আগ্রহী। তিন পার্বত্য জেলা, বৃহত্তর পটুয়াখালীসহ আর মাত্র ১২টি জেলায় বীজ সরবরাহ করলে দেশের ৬৪টি জেলায় ছড়িয়ে পড়বে তার ক্ষেতের বাংলামতি ধানের বীজ। কৃষকরা সংগৃহীত বীজ আগামী মৌসুমে চাষ করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ৫০ তম জাত হল বাংলামতি। বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষির জন্য বাংলামতি ধান বড় ধরনের সুসংবাদ এনে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা এ জাতটি উদ্ভাবনের মাধ্যমে পাল্টে দিতে চান কৃষকের ভাগ্য। এই ধান পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতি সমমানের বলে উদ্ভাবক কৃষি বিজ্ঞানীরা দাবি করেন। সুপার ফাইন এ্যারোমেটিক (সুগন্ধি) রাইচ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাসমতি চালের যে জনপ্রিয়তা, সুনাম ও উচ্চমূল্য রয়েছে ঠিক সে চালই পাওয়া যাবে এই বাংলামতি ধান থেকে। পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতির চেয়ে বাংলামতির ফলন বেশি। পার্থক্য কেবল নামে। আন্তর্জাতিক প্যাটেন্ট আইনের কারণে এ ধানকে বাসমতি বলা যাচ্ছে না। তবে চালের গুণগতমানে কোনো পার্থক্য নেই। ফলে একদিকে এ ধানের চালের বিদেশে চাহিদা রয়েছে; অপরদিকে স্থানীয় বাজারেও এর ভাল কদর পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে সুগন্ধি ধানের জাত যেমন নেই, তেমনি চাষও হয় না বললেই চলে। সে ক্ষেত্রে বাংলামতি ধান (ব্রি-৫০) উদ্ভাবন এক যুগান্তকারী ঘটনা। উচ্চফলনশীল তথা আধুনিক জাতের এই ধান দেখতে অন্য যেকোনো ধানের তুলনায় লম্বা ও সরু। ধানের পেছনের অংশ তরবারির ডগার মত বাঁকা। ধানের চারা অবস্থা থেকে শুরু করে পাতা ও কাণ্ড সবুজ থাকা পর্যন্ত সুগন্ধ বেশি ছড়ায়, এমনকি পাকা ও মাড়াই পর্যন্ত।
আমাদের দেশে সুগন্ধি ধান হিসেবে কালজিরা, চিনি কানাই, ব্রি উদ্ভাবিত দুলাভোগ বা অন্য যে পাঁচ-দশটি জাত চাষ হয় তার সবই প্রায় আমন মৌসুমে এবং উত্তরাঞ্চল ভিত্তিক। আর ফলনও একর প্রতি কম হওয়ায় অনেকের এসব সুগন্ধি ধান চাষে আগ্রহ কম। বাংলামতি ধান সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। একদিকে মৌসুম হিসেবে বোরো মৌসুমে চাষ করার সুবিধা রয়েছে অপরদিকে ফলনও বেশি। বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে যে পরিমাণ জমিতে ধানের চাষ হয় তার মধ্যে ব্রি-২৮ চাষ হয় শতকরা ৭৪ থেকে ৭৮ ভাগ জমিতে। আর একর প্রতি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ মণ। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাংলামতি ধান চাষে এই উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ মণ পর্যন্ত পাওয়া যায়। এ ধানের বীজ অনুমোদনের পর ২০০৯ সালের বোরো মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষামূলক চাষের পরবতর্ী এ বছর (২০১০ সাল) গেল বোরো মৌসুমে সারা দেশের মধ্যে ৪ থেকে ৫টি জেলার মাত্র ১০ থেকে ১২ জন চাষি এ ধানের চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। সবখানেই ফলন একর প্রতি গড় ৬০ থেকে ৭০ মণের উপরে।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মেছাঘোনা গ্রাম সংলগ্ন কার্তিকডাংগা বিলে গলদা চিংড়ি ঘেরে ব্রি-২৮ এর পরিবর্তে গত বোরো মৌসুমে বাংলামতি ধানের চাষ করেন এস এম আতিয়ার রহমান। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যা ছিল প্রথম বাংলামতি ধানের চাষ।
এস এম আতিয়ার রহমান একজন অগ্রগামী চাষি হিসেবে দারুণ উৎসাহ নিয়ে চাষ করেন বাংলামতি ধান। অপেক্ষায় থাকেন ফলাফলের জন্য। প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা নিয়ে শেষ পর্যন্ত যখন ধানে ফুল আসে তখন দেখে অভিভূত হয়ে যান তিনি। এই সেই বাসমতি সমমানের বাংলামতি ধান! একদিকে ধানের ক্ষেতের পাশে গেলে বাতাসে সুবাস অন্যদিকে ধানের নয়ন ভোলানো শোভা।
কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ থেকে ক্রপকাটিং নিয়ে সাথে সাথে মাড়াইয়ের পর হিসেব করে একর প্রতি ফলন ঘোষণা করা হয় ৭০ মণ। কৃষি কর্মকর্তা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি অভিভূত। ক্ষেতেই ধান মাড়াইয়ের পর অধিকাংশ বীজ নাটোর, চাপাই, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল থেকে অনেক কৃষক এসে নিয়ে গেছেন। বাদ বাকি বীজ তিনি বিভিন্ন জেলার কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করে চাষাবাদে উৎসাহিত করছেন। তিনি ধারণা পোষন করেন, দেশে-বিদেশে বাংলামতির প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে এবং ফলন ভাল পাওয়ায় কৃষকরা এই ধান চাষ করে উপকৃত হবে।
মাটি ও মানুষের কৃষি ডেস্ক
সুগন্ধি বাংলামতি ধান চাষ করে তার বীজ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান এস এম আতিয়ার রহমান। বাংলামতি ধান চাষে সাফল্য আসার পর তার বীজ কিনে নিতে চেয়েছিল বড় একটা বীজ কোম্পানি। কিন্তু তিনি তাতে রাজী হননি। তার ইচ্ছে ছিল বীজ কৃষকের চাষাবাদের আগ্রহের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়-ক এক জেলা থেকে আরেক জেলাতে। তার এ ইচ্ছে এখন পূরণ হতে চলেছে। এ পর্যন্ত তিনি দেশের ৫২টি জেলায় দু'তিন জন করে কৃষকের হাতে বীজ তুলে দিয়েছেন। তারা এ ধান চাষে আগ্রহী। তিন পার্বত্য জেলা, বৃহত্তর পটুয়াখালীসহ আর মাত্র ১২টি জেলায় বীজ সরবরাহ করলে দেশের ৬৪টি জেলায় ছড়িয়ে পড়বে তার ক্ষেতের বাংলামতি ধানের বীজ। কৃষকরা সংগৃহীত বীজ আগামী মৌসুমে চাষ করবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ৫০ তম জাত হল বাংলামতি। বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষির জন্য বাংলামতি ধান বড় ধরনের সুসংবাদ এনে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা এ জাতটি উদ্ভাবনের মাধ্যমে পাল্টে দিতে চান কৃষকের ভাগ্য। এই ধান পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতি সমমানের বলে উদ্ভাবক কৃষি বিজ্ঞানীরা দাবি করেন। সুপার ফাইন এ্যারোমেটিক (সুগন্ধি) রাইচ হিসেবে বিশ্বব্যাপী বাসমতি চালের যে জনপ্রিয়তা, সুনাম ও উচ্চমূল্য রয়েছে ঠিক সে চালই পাওয়া যাবে এই বাংলামতি ধান থেকে। পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতির চেয়ে বাংলামতির ফলন বেশি। পার্থক্য কেবল নামে। আন্তর্জাতিক প্যাটেন্ট আইনের কারণে এ ধানকে বাসমতি বলা যাচ্ছে না। তবে চালের গুণগতমানে কোনো পার্থক্য নেই। ফলে একদিকে এ ধানের চালের বিদেশে চাহিদা রয়েছে; অপরদিকে স্থানীয় বাজারেও এর ভাল কদর পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে সুগন্ধি ধানের জাত যেমন নেই, তেমনি চাষও হয় না বললেই চলে। সে ক্ষেত্রে বাংলামতি ধান (ব্রি-৫০) উদ্ভাবন এক যুগান্তকারী ঘটনা। উচ্চফলনশীল তথা আধুনিক জাতের এই ধান দেখতে অন্য যেকোনো ধানের তুলনায় লম্বা ও সরু। ধানের পেছনের অংশ তরবারির ডগার মত বাঁকা। ধানের চারা অবস্থা থেকে শুরু করে পাতা ও কাণ্ড সবুজ থাকা পর্যন্ত সুগন্ধ বেশি ছড়ায়, এমনকি পাকা ও মাড়াই পর্যন্ত।
আমাদের দেশে সুগন্ধি ধান হিসেবে কালজিরা, চিনি কানাই, ব্রি উদ্ভাবিত দুলাভোগ বা অন্য যে পাঁচ-দশটি জাত চাষ হয় তার সবই প্রায় আমন মৌসুমে এবং উত্তরাঞ্চল ভিত্তিক। আর ফলনও একর প্রতি কম হওয়ায় অনেকের এসব সুগন্ধি ধান চাষে আগ্রহ কম। বাংলামতি ধান সে ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। একদিকে মৌসুম হিসেবে বোরো মৌসুমে চাষ করার সুবিধা রয়েছে অপরদিকে ফলনও বেশি। বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে যে পরিমাণ জমিতে ধানের চাষ হয় তার মধ্যে ব্রি-২৮ চাষ হয় শতকরা ৭৪ থেকে ৭৮ ভাগ জমিতে। আর একর প্রতি উৎপাদন ৪০ থেকে ৫০ মণ। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বাংলামতি ধান চাষে এই উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ মণ পর্যন্ত পাওয়া যায়। এ ধানের বীজ অনুমোদনের পর ২০০৯ সালের বোরো মৌসুমে মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষামূলক চাষের পরবতর্ী এ বছর (২০১০ সাল) গেল বোরো মৌসুমে সারা দেশের মধ্যে ৪ থেকে ৫টি জেলার মাত্র ১০ থেকে ১২ জন চাষি এ ধানের চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন। সবখানেই ফলন একর প্রতি গড় ৬০ থেকে ৭০ মণের উপরে।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মেছাঘোনা গ্রাম সংলগ্ন কার্তিকডাংগা বিলে গলদা চিংড়ি ঘেরে ব্রি-২৮ এর পরিবর্তে গত বোরো মৌসুমে বাংলামতি ধানের চাষ করেন এস এম আতিয়ার রহমান। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যা ছিল প্রথম বাংলামতি ধানের চাষ।
এস এম আতিয়ার রহমান একজন অগ্রগামী চাষি হিসেবে দারুণ উৎসাহ নিয়ে চাষ করেন বাংলামতি ধান। অপেক্ষায় থাকেন ফলাফলের জন্য। প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা নিয়ে শেষ পর্যন্ত যখন ধানে ফুল আসে তখন দেখে অভিভূত হয়ে যান তিনি। এই সেই বাসমতি সমমানের বাংলামতি ধান! একদিকে ধানের ক্ষেতের পাশে গেলে বাতাসে সুবাস অন্যদিকে ধানের নয়ন ভোলানো শোভা।
কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগ থেকে ক্রপকাটিং নিয়ে সাথে সাথে মাড়াইয়ের পর হিসেব করে একর প্রতি ফলন ঘোষণা করা হয় ৭০ মণ। কৃষি কর্মকর্তা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমি অভিভূত। ক্ষেতেই ধান মাড়াইয়ের পর অধিকাংশ বীজ নাটোর, চাপাই, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল থেকে অনেক কৃষক এসে নিয়ে গেছেন। বাদ বাকি বীজ তিনি বিভিন্ন জেলার কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করে চাষাবাদে উৎসাহিত করছেন। তিনি ধারণা পোষন করেন, দেশে-বিদেশে বাংলামতির প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে এবং ফলন ভাল পাওয়ায় কৃষকরা এই ধান চাষ করে উপকৃত হবে।
No comments:
Post a Comment