আধুনিক পদ্ধতিতে অগ্নিনির্বাপণ : রুহুল আমিনের আবিষ্কার সাড়া ফেলেছে বিশ্বময়
ডালিম হোসেন
গ্রীষ্ম এলেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি, বহুতল ভবন, শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়িতে ঘটে থাকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আগুনে মারা যাচ্ছে বহু মানুষ। কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। আমাদের দেশে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। দেখা গেছে, দূরে কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর আগুনে পুড়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সংগঠন বিজিএমইএ’র দাবি।
বাংলাদেশের এ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সুদূর মালয়েশিয়ায় বসে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর গ্রামের রুহুল আমিন তৈরি করেছেন অটোমেটিক অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেম। রুহুল আমিনের দাবি, তার এ সিস্টেম ব্যবহার করে মালয়েশিয়ার বড় বড় ৮টি কোম্পানি সফলতা পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে দেশে চাকরি না পেয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে প্রায় ১৮ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে প্রথমে একটি কোম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি মেকানিক্যাল ডিপ্লোমা কোর্স করেন। এরপর ’৯৩ সালে মালয়েশিয়ার ওয়াইটেল নামে বিখ্যাত একটি কোম্পানিতে প্রজেক্ট ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন। সেখানেই তিনি ১৫ বছরের গবেষণা শেষে তৈরি করেন আগুন নেভানো এ স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম ব্যবস্থা।
সম্প্রতি রুহুল আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মূলত দেশের ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করেই আমার এই স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেম তৈরি করা। মালয়েশিয়ার ৮টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানিতে আগুন লাগলেও তার এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সেই কোম্পানিতে মাত্র ৭ শতাংশ ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন রুহুল আমিন। এখন ইচ্ছে তার সফল প্রযুক্তি বাংলাদেশে ব্যবহার হোক।
সমপ্রতি মালয়েশিয়া থেকে মাত্র ৩৩ দিনের ছুটিতে দেশে এসেছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি তার অবিষ্কার দেশে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ বিজিএমইএ ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈমুল হক আসাদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছেন। ৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকেও তিনি যোগ দেন। আলোচনাকালে কর্তৃপক্ষ তার অবিষ্কার কাজে লাগানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দেশে আধুনিক প্রযুক্তির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। এসব ক্ষতির হাত থেকে রেহায় পেতে আধুনিক এ আবিষ্কার ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। স্থাপনাগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে অটোমেটিক এ অগ্নিনির্বাপণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হলে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে খুব অল্পসময়ের মধ্যে বাল্ব ফেটে দ্রুতগতিতে পানি বের হয়ে আগুন নিন্ত্রয়ণে আনতে সহায়ক হবে। প্রয়োজন হবে না কোনো ব্যক্তির সহযোগিতা। ফলে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের ক্ষতক্ষতি থেকে রেহায় পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশের এ ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সুদূর মালয়েশিয়ায় বসে চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর গ্রামের রুহুল আমিন তৈরি করেছেন অটোমেটিক অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেম। রুহুল আমিনের দাবি, তার এ সিস্টেম ব্যবহার করে মালয়েশিয়ার বড় বড় ৮টি কোম্পানি সফলতা পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদরের বেগমপুর গ্রামের আবুল ফজলের ছেলে দেশে চাকরি না পেয়ে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে প্রায় ১৮ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানে প্রথমে একটি কোম্পানিতে চাকরির পাশাপাশি মেকানিক্যাল ডিপ্লোমা কোর্স করেন। এরপর ’৯৩ সালে মালয়েশিয়ার ওয়াইটেল নামে বিখ্যাত একটি কোম্পানিতে প্রজেক্ট ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন। সেখানেই তিনি ১৫ বছরের গবেষণা শেষে তৈরি করেন আগুন নেভানো এ স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম ব্যবস্থা।
সম্প্রতি রুহুল আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, মূলত দেশের ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করেই আমার এই স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ সিস্টেম তৈরি করা। মালয়েশিয়ার ৮টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানিতে আগুন লাগলেও তার এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সেই কোম্পানিতে মাত্র ৭ শতাংশ ক্ষতি হয় বলে দাবি করেন রুহুল আমিন। এখন ইচ্ছে তার সফল প্রযুক্তি বাংলাদেশে ব্যবহার হোক।
সমপ্রতি মালয়েশিয়া থেকে মাত্র ৩৩ দিনের ছুটিতে দেশে এসেছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি তার অবিষ্কার দেশে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ বিজিএমইএ ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈমুল হক আসাদুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছেন। ৮ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকেও তিনি যোগ দেন। আলোচনাকালে কর্তৃপক্ষ তার অবিষ্কার কাজে লাগানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
রুহুল আমিন বলেন, আমাদের দেশে আধুনিক প্রযুক্তির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। এসব ক্ষতির হাত থেকে রেহায় পেতে আধুনিক এ আবিষ্কার ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। স্থাপনাগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে অটোমেটিক এ অগ্নিনির্বাপণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হলে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে খুব অল্পসময়ের মধ্যে বাল্ব ফেটে দ্রুতগতিতে পানি বের হয়ে আগুন নিন্ত্রয়ণে আনতে সহায়ক হবে। প্রয়োজন হবে না কোনো ব্যক্তির সহযোগিতা। ফলে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে বড় ধরনের ক্ষতক্ষতি থেকে রেহায় পাওয়া যাবে।
No comments:
Post a Comment