নাটোরে বিনা চাষে রসুন
চলতি রবি মৌসুমে নাটোরে বিনা চাষে রসুনের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় চার হাজার হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে এবার রসুন চাষের আওতায় এসেছে।
১৯৯৫-৯৬ সালে জেলার গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলা এলাকার কৃষকরা স্ব-উদ্যোগে বিনা চাষে রসুনের আবাদ প্রচলন করেন- যা বাংলাদেশে প্রথম। এরপর গ্রামগুলোতে রসুন চাষের জমির পরিমাণ বাড়তে থাকে। পরে গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার পাশাপাশি অন্য উপজেলাগুলোতে এর চাষাবাদ সমপ্রসারিত হয়।
বিনা চাষে রসুনের চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে গুরুদাসপুরের কাছিকাটা এলাকার কৃষক জেহের আলী বলেন, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর সাধারণত কার্তিক মাসে নরম জমিতে বিনা চাষে রসুনের কোয়া লাগানো হয়। এতে সেচেরও বেশি প্রয়োজন হয় না। জমিতে আগাছা থাকে কম। তুলনামূলকভাবে সারের ব্যবহারও কম করতে হয়। রোপণের ১২০ দিনের মধ্যে রসুন তোলা যায়। রবি মৌসুমের রসুন উৎপাদন খরচ প্রচলিত চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদিত রসুনের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম। বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ৩০ মণ। জেলা কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০০৮-০৯ সালে ৭,৫৫০ হেক্টর এবং ২০০৯-১০ সালে ৯,৩৯০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়। রসুন চাষের পরিধি পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৭০ হেক্টর জমি চাষাবাদ করে ৬০ হাজার ৪২০ টন রসুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, উৎপাদন ৮০ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে। আবাদি জমির মধ্যে ৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুন এবং অবশিষ্ট জমিতে প্রচলিত পদ্ধতির চাষের মাধ্যমে রসুন আবাদ করা হয়েছে। আবাদি জমির বেশিরভাগ গুরুদাসপুর উপজেলায়।
বিনা চাষে রসুন আবাদ সম্পর্কে শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সিংড়া উপজেলার কুমিরা গ্রামের কৃষক জুলফিকার আনাম বলেন, অল্প পরিশ্রমে অল্প ব্যয়ে কৃষকরা বিনা চাষে রসুন আবাদে ঝুঁকছেন। এটি একটি লাভজনক ফসল হিসেবেই আমরা এর আবাদ করে থাকি। পাশাপাশি রসুনের বাজারমূল্য বেশি হওয়ার কারণেও কৃষকদের রসুন আবাদে আগ্রহ আরো বেড়েছে।
নাটোর কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এম. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকদের মাঝে বিনা চাষে রসুন জনপ্রিয় হওয়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। রসুনের বাজারমূল্য চড়া হওয়ার কারণে কৃষকরা বেশি মুনাফার আশায় এবার অধিক জমিতে রসুন চাষ করেছেন। কৃষকদের যেকোনো ধরনের সমস্যায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তাদের পাশে আছে।
ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন, বাসস১৯৯৫-৯৬ সালে জেলার গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলা এলাকার কৃষকরা স্ব-উদ্যোগে বিনা চাষে রসুনের আবাদ প্রচলন করেন- যা বাংলাদেশে প্রথম। এরপর গ্রামগুলোতে রসুন চাষের জমির পরিমাণ বাড়তে থাকে। পরে গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার পাশাপাশি অন্য উপজেলাগুলোতে এর চাষাবাদ সমপ্রসারিত হয়।
বিনা চাষে রসুনের চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে গুরুদাসপুরের কাছিকাটা এলাকার কৃষক জেহের আলী বলেন, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর সাধারণত কার্তিক মাসে নরম জমিতে বিনা চাষে রসুনের কোয়া লাগানো হয়। এতে সেচেরও বেশি প্রয়োজন হয় না। জমিতে আগাছা থাকে কম। তুলনামূলকভাবে সারের ব্যবহারও কম করতে হয়। রোপণের ১২০ দিনের মধ্যে রসুন তোলা যায়। রবি মৌসুমের রসুন উৎপাদন খরচ প্রচলিত চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদিত রসুনের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম। বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ৩০ মণ। জেলা কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ২০০৮-০৯ সালে ৭,৫৫০ হেক্টর এবং ২০০৯-১০ সালে ৯,৩৯০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়। রসুন চাষের পরিধি পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৭০ হেক্টর জমি চাষাবাদ করে ৬০ হাজার ৪২০ টন রসুন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, উৎপাদন ৮০ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে। আবাদি জমির মধ্যে ৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে রসুন এবং অবশিষ্ট জমিতে প্রচলিত পদ্ধতির চাষের মাধ্যমে রসুন আবাদ করা হয়েছে। আবাদি জমির বেশিরভাগ গুরুদাসপুর উপজেলায়।
বিনা চাষে রসুন আবাদ সম্পর্কে শস্য ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত সিংড়া উপজেলার কুমিরা গ্রামের কৃষক জুলফিকার আনাম বলেন, অল্প পরিশ্রমে অল্প ব্যয়ে কৃষকরা বিনা চাষে রসুন আবাদে ঝুঁকছেন। এটি একটি লাভজনক ফসল হিসেবেই আমরা এর আবাদ করে থাকি। পাশাপাশি রসুনের বাজারমূল্য বেশি হওয়ার কারণেও কৃষকদের রসুন আবাদে আগ্রহ আরো বেড়েছে।
নাটোর কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এম. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকদের মাঝে বিনা চাষে রসুন জনপ্রিয় হওয়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। রসুনের বাজারমূল্য চড়া হওয়ার কারণে কৃষকরা বেশি মুনাফার আশায় এবার অধিক জমিতে রসুন চাষ করেছেন। কৃষকদের যেকোনো ধরনের সমস্যায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তাদের পাশে আছে।
No comments:
Post a Comment