'মারের সাগর পাড়ি দেবইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তত্ত্বাবধানে নতুন প্রযুক্তির ১০টি নৌকা তৈরি করেছে সাভারের 'তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ড'। পাটের নৌকার মতো ফাইবার গ্লাসের এ নৌকাও বাংলাদেশের জেলেদের জন্য কাজ করবে লাইফজ্যাকেটের মতো। বিস্তারিত বলছেন তায়েফুর রহমান তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নৌপ্রকৌশলী ইভ মার বলেন, 'নৌকাটি ফাইবার গ্লাস ও প্লাস্টিকের সমন্বয়ে তৈরি।' দেড় থেকে দুই টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন নৌকাটির নকশা করেছেন ফ্রান্সের বিখ্যাত ভিপিএলপি ইয়েস্ট ডিজাইন কোম্পানির নৌপ্রকৌশলী মার্ক ভ্যান পেটিগেম। প্রতিটি নৌকা তৈরিতে খরচ হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। কাঠের নৌকার চেয়েও দ্রুত চলবে এগুলো।
আকারে প্রতিটি নৌকা ৩০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ছয় ফুট চওড়া। মাস্তুলের উচ্চতা সাত মিটার এবং পাল ১৮ বর্গমিটার। সুদৃশ্য পালের রং লাল। জ্বালানি সাশ্রয়ী এ নৌকার রক্ষণাবেক্ষণেও তেমন খরচ হবে না। তা ছাড়া পানিতে ডুবে না যাওয়াটাই এর সবচেয়ে বড় গুণ।ফাইবার গ্লাসের প্রতিটি নৌকায় রয়েছে ১৬ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন, দুইটি ব্যাটারি, সোলার সিস্টেম, জ্বালানি তেলের তিনটি পাত্র, অগি্ননির্বাপক যন্ত্র, নৌকা বাঁধার লোহার চেইন, দুটি বয়া, পাঁচটি লাইফজ্যাকেট, কম্পাস, রেডিও ও দিকনির্দেশনার বাতি। ডিজেলচালিত হলেও বাতাস অনুকূলে থাকলে পালের সাহায্যেও চলবে এ নৌকা।২২ জানুয়ারি ঢাকার সাভারের কর্ণপাড়ায় তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের বাগেরহাটের রামপাল, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা, পটুয়াখালীর দশমিনা ও বাউফল, ভোলার দৌলতখান ও তজুমদ্দিন, বরগুনার বেতাগী, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ এবং সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ৫০ জন দরিদ্র জেলের মধ্যে প্রথম দফায় বিনা মূল্যে ১০টি নৌকা হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ওই ৫০ জনকে সাভারের বংশী নদীতে চারদিন ধরে ফাইবার নৌকা চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, 'প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০টি নৌকা বিতরণ করা হবে। এতে উপকৃত হবে ২০০ জেলে। ভালো ফল পাওয়া গেলে পরে আরো নৌকা বিতরণ করা হবে।ইইউর প্রতিনিধি কোন ডোচাটু বলেন, 'দরিদ্র মৎস্যজীবীদের পক্ষে নৌকাগুলো কেনা সম্ভব নয়। তাই দরিদ্র জেলেদের বিনা মূল্যে এ নৌকা প্রদানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইইউ।বিনা মূল্যে উন্নত প্রযুক্তির নৌকা পেয়ে প্রান্তিক জেলেরা বেশ উচ্ছ্বসিত। ভোলার দৌলতখানের জেলে জাহাঙ্গীর জানান, আইলা তার নৌকার সঙ্গে ভাইকেও কেড়ে নিয়েছিল। তিনি হয়ে যান নিঃস্ব। এখন ফাইবার গ্লাসের নৌকায় সওয়ার হয়ে জীবন বদলে দেওয়ার পালা।
Source: Daily Kalerkantho, 1th Feb-2011
আকারে প্রতিটি নৌকা ৩০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ছয় ফুট চওড়া। মাস্তুলের উচ্চতা সাত মিটার এবং পাল ১৮ বর্গমিটার। সুদৃশ্য পালের রং লাল। জ্বালানি সাশ্রয়ী এ নৌকার রক্ষণাবেক্ষণেও তেমন খরচ হবে না। তা ছাড়া পানিতে ডুবে না যাওয়াটাই এর সবচেয়ে বড় গুণ।ফাইবার গ্লাসের প্রতিটি নৌকায় রয়েছে ১৬ অশ্বশক্তির ইঞ্জিন, দুইটি ব্যাটারি, সোলার সিস্টেম, জ্বালানি তেলের তিনটি পাত্র, অগি্ননির্বাপক যন্ত্র, নৌকা বাঁধার লোহার চেইন, দুটি বয়া, পাঁচটি লাইফজ্যাকেট, কম্পাস, রেডিও ও দিকনির্দেশনার বাতি। ডিজেলচালিত হলেও বাতাস অনুকূলে থাকলে পালের সাহায্যেও চলবে এ নৌকা।২২ জানুয়ারি ঢাকার সাভারের কর্ণপাড়ায় তাড়াতাড়ি শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের বাগেরহাটের রামপাল, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা, পটুয়াখালীর দশমিনা ও বাউফল, ভোলার দৌলতখান ও তজুমদ্দিন, বরগুনার বেতাগী, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ এবং সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ৫০ জন দরিদ্র জেলের মধ্যে প্রথম দফায় বিনা মূল্যে ১০টি নৌকা হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ওই ৫০ জনকে সাভারের বংশী নদীতে চারদিন ধরে ফাইবার নৌকা চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, 'প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০টি নৌকা বিতরণ করা হবে। এতে উপকৃত হবে ২০০ জেলে। ভালো ফল পাওয়া গেলে পরে আরো নৌকা বিতরণ করা হবে।ইইউর প্রতিনিধি কোন ডোচাটু বলেন, 'দরিদ্র মৎস্যজীবীদের পক্ষে নৌকাগুলো কেনা সম্ভব নয়। তাই দরিদ্র জেলেদের বিনা মূল্যে এ নৌকা প্রদানের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইইউ।বিনা মূল্যে উন্নত প্রযুক্তির নৌকা পেয়ে প্রান্তিক জেলেরা বেশ উচ্ছ্বসিত। ভোলার দৌলতখানের জেলে জাহাঙ্গীর জানান, আইলা তার নৌকার সঙ্গে ভাইকেও কেড়ে নিয়েছিল। তিনি হয়ে যান নিঃস্ব। এখন ফাইবার গ্লাসের নৌকায় সওয়ার হয়ে জীবন বদলে দেওয়ার পালা।
Source: Daily Kalerkantho, 1th Feb-2011
No comments:
Post a Comment