ভৈরবে গড়ে উঠেছে স্টিলের নৌকা নির্মাণ শিল্প
মো. মোস্তাফিজুর রহমান আমিন, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)
ভৈরবে গড়ে উঠেছে স্টিলের মালবাহী নৌকা নির্মাণ শিল্প। অসংখ্য নদ-নদী আর খাল-বিল-হাওরাঞ্চল পরিবেশিষ্ট হওয়ায় এ অঞ্চলে এ নৌকার চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ফলে প্রতি বছরই নতুন নতুন উদ্যোক্তা এ সম্ভাবনাময় খাতে পুঁজি বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আর এ শিল্পে এলাকার কয়েকশ’ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হওয়ায় তারাও বেশ ভালো আছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।
ড্রেজিংয়ের বালি, পাথর, কয়লা, কাঠ ও ইট ইত্যাদি মালামাল পরিবহন করা হয় এসব স্টিলের নৌকা দিয়ে। মালামাল পরিবহনে এ নৌকা অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এর চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। ভৈরবসহ আশপাশে বর্তমানে ১০ থেকে ১২টি স্থানে এ নৌকা তৈরি হচ্ছে। ২ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার ৬শ’ বর্গফুট আয়তনের একেকটি স্টিলের নৌকা তৈরি করতে সময় লাগে তিন মাসের মতো। প্রতিটি নৌকা নির্মাণে শ্রমিকের প্রয়োজন ১০ থেকে ১২ জন। দক্ষ-অদক্ষ প্রতি শ্রমিক প্রতি মাসে বেতন পান সাড়ে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। স্টিলের নৌকা তৈরির উদ্যোক্তারা জানান, প্রথমে তারা সুনামগঞ্জ, সরাই ও বাজিতপুর এলাকা থেকে এসব স্টিলের নৌকা কিনে আনতেন। ধীরে ধীরে এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ১০/১২ বছর আগে থেকে ভৈরবে সীমিত আকারে এর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও পরে চাহিদা থাকায় ভৈরবসহ আশপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে নৌকা নির্মাণ শুরু হয়। তারা জানান, বছরে প্রায় অর্ধশত স্টিলের নৌকা নির্মাণ হচ্ছে এখানে। প্রতিটি নৌকা তৈরিতে প্রথমে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা ব্যয় হলেও নির্মাণসামগ্রী এবং শ্রমিকের মজুরিসহ আনুষঙ্গিক সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে খরচ পড়ে ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা। আয়তন ও আকার অনুযায়ী কোনোটির ব্যয় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি একেকটি নৌকা থেকে এক বছরে ভাড়া আদায় হয় ৫ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা। ফলে লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এ শিল্প খাতে পুঁজি বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
Source: Daily Amardesh
ড্রেজিংয়ের বালি, পাথর, কয়লা, কাঠ ও ইট ইত্যাদি মালামাল পরিবহন করা হয় এসব স্টিলের নৌকা দিয়ে। মালামাল পরিবহনে এ নৌকা অত্যন্ত উপযোগী হওয়ায় এর চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। ভৈরবসহ আশপাশে বর্তমানে ১০ থেকে ১২টি স্থানে এ নৌকা তৈরি হচ্ছে। ২ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার ৬শ’ বর্গফুট আয়তনের একেকটি স্টিলের নৌকা তৈরি করতে সময় লাগে তিন মাসের মতো। প্রতিটি নৌকা নির্মাণে শ্রমিকের প্রয়োজন ১০ থেকে ১২ জন। দক্ষ-অদক্ষ প্রতি শ্রমিক প্রতি মাসে বেতন পান সাড়ে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। স্টিলের নৌকা তৈরির উদ্যোক্তারা জানান, প্রথমে তারা সুনামগঞ্জ, সরাই ও বাজিতপুর এলাকা থেকে এসব স্টিলের নৌকা কিনে আনতেন। ধীরে ধীরে এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ১০/১২ বছর আগে থেকে ভৈরবে সীমিত আকারে এর নির্মাণ কাজ শুরু হলেও পরে চাহিদা থাকায় ভৈরবসহ আশপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে নৌকা নির্মাণ শুরু হয়। তারা জানান, বছরে প্রায় অর্ধশত স্টিলের নৌকা নির্মাণ হচ্ছে এখানে। প্রতিটি নৌকা তৈরিতে প্রথমে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা ব্যয় হলেও নির্মাণসামগ্রী এবং শ্রমিকের মজুরিসহ আনুষঙ্গিক সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে খরচ পড়ে ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা। আয়তন ও আকার অনুযায়ী কোনোটির ব্যয় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি একেকটি নৌকা থেকে এক বছরে ভাড়া আদায় হয় ৫ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টাকা। ফলে লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এ শিল্প খাতে পুঁজি বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
Source: Daily Amardesh
No comments:
Post a Comment