জাগরণীর সাফল্য : তিন হাজারের বেশি নারীর কর্মসংস্থান
শাহানাজ পারভীন সুমী
‘জাগরণী জুট হ্যান্ডিক্রাফট্স শপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’—তেজগাঁওয়ের হলিক্রস স্কুলের বিপরীত পাশে অবস্থিত। জাগরণী’র সৌন্দর্য বর্ধনের বা প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে, তেমনি এর চারপাশে শান্ত, নির্মল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্রেতাদের মন জুড়িয়ে দেয়।
১৯৭১ সালে যুদ্ধের পরপরই যাত্রা শুরু হয় জাগরণীর। সিস্টার মেরি লিলিয়ানের উদ্যোগে শুরু হয় এর প্রথম পথচলা। শুরুর দিকে একজন বিদেশি উদ্যোক্তাও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে শুধু সিস্টার মেরিই আছেন এবং তার তত্ত্বাবধানেই সব কাজ সম্পন্ন হয়। মেরি লিলিয়ান প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। এখানে ২০ থেকে শুরু করে আরও বেশি বয়সের নারীরা কাজ করেন। জাগরণীর জন্য প্রায় ৩ হাজারের বেশি মহিলা কর্মী কাজ করেন।
ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্যগুলো এখানে আসে। প্রায় দু’শ’ প্রকারের উপর পণ্য আছে জাগরণীতে। মাটি, কাপড়, পাট, বাঁশ, বেত, বিটস (পুঁথি), চট, মুক্তা, লেদারসহ আরও নানা উপকরণে তৈরি হয় এখানকার পণ্যগুলো। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে গৃহসজ্জার এবং সৌন্দর্য বর্ধনের সব জিনিসই এখানে পাওয়া যায়। এমনকি রূপচর্চার নানা প্রসাধনীও পাওয়া যায় এখানে।
পাট দিয়ে তৈরি শিকা, ম্যাট, ব্যাগ ও নানা ধরনের শো-পিস পাওয়া যায় এখানে। মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের গহনা, কয়েল স্ট্যান্ড, শো-পিস, ল্যাম্প, কলমদানি ইত্যাদি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এছাড়া লুঙ্গি, শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, বাচ্চাদের কাপড়, পাঞ্জাবি, নকশি কাঁথা, টেবিল ক্লথ, বিছানার চাদরসহ সব প্রয়োজনীয় জিনিস এখানে রয়েছে।
পাট ও পাটজাত দ্রব্য থেকে তৈরি জিনিসের মূল্য ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০/৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। মাটির তৈরি জিনিস এবং গহনা ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার মধ্যে, নকশিকাঁথার বেডকাভার ১২০০ টাকার মধ্যেই পাওয় যায়। বিশেষ করে ক্রেতাদের কাছে এখানকার ফুলের ঝাড়ুর চাহিদা বেশি। ক্রেতাদের কাছে সাজগোজের জিনিসেরও খুব চাহিদা রয়েছে বলে জানালেন এখানে কর্মরত মার্গারেট বাড়ই।
খোঁপার কাঁটা, লেদারের জুয়েলারি বক্স, পার্স, লেডিস ব্যাগ, পাটের জুতা, বাঁশি প্রভৃতি শৌখিন জিনিস এখানে রয়েছে। ঘরের কাজের জিনিস—কাঠের চামচ, ডাল ঘুটনি ইত্যাদিও এখানে পাওয়া যায়। এছাড়া এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন ধরনের কার্ডের সমাহার, যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
রূপচর্চার জন্য রয়েছে চন্দন ও উপটান। এছাড়া সুতা ও কাপড়ের বালা, চাবির রিং, মোম, ঘি, বই, কাপড়ের পুতুল, মাটির ফুলদানি এখানে পাওয়া যায়। জাগরণীর সুতার কাজ করা ও ব্লকের শাড়ির খুব চাহিদা রয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অপর একজন।
কাজের সমস্যার কথা জানতে চাইলে মার্গারেট বাড়ই জানান—উপকরণের বেশি দাম বলে সমস্যা হয়।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রোববার বন্ধ থাকে।
১৯৭১ সালে যুদ্ধের পরপরই যাত্রা শুরু হয় জাগরণীর। সিস্টার মেরি লিলিয়ানের উদ্যোগে শুরু হয় এর প্রথম পথচলা। শুরুর দিকে একজন বিদেশি উদ্যোক্তাও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমানে শুধু সিস্টার মেরিই আছেন এবং তার তত্ত্বাবধানেই সব কাজ সম্পন্ন হয়। মেরি লিলিয়ান প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। এখানে ২০ থেকে শুরু করে আরও বেশি বয়সের নারীরা কাজ করেন। জাগরণীর জন্য প্রায় ৩ হাজারের বেশি মহিলা কর্মী কাজ করেন।
ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পণ্যগুলো এখানে আসে। প্রায় দু’শ’ প্রকারের উপর পণ্য আছে জাগরণীতে। মাটি, কাপড়, পাট, বাঁশ, বেত, বিটস (পুঁথি), চট, মুক্তা, লেদারসহ আরও নানা উপকরণে তৈরি হয় এখানকার পণ্যগুলো। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে গৃহসজ্জার এবং সৌন্দর্য বর্ধনের সব জিনিসই এখানে পাওয়া যায়। এমনকি রূপচর্চার নানা প্রসাধনীও পাওয়া যায় এখানে।
পাট দিয়ে তৈরি শিকা, ম্যাট, ব্যাগ ও নানা ধরনের শো-পিস পাওয়া যায় এখানে। মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের গহনা, কয়েল স্ট্যান্ড, শো-পিস, ল্যাম্প, কলমদানি ইত্যাদি রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এছাড়া লুঙ্গি, শার্ট, সালোয়ার-কামিজ, বাচ্চাদের কাপড়, পাঞ্জাবি, নকশি কাঁথা, টেবিল ক্লথ, বিছানার চাদরসহ সব প্রয়োজনীয় জিনিস এখানে রয়েছে।
পাট ও পাটজাত দ্রব্য থেকে তৈরি জিনিসের মূল্য ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০/৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। মাটির তৈরি জিনিস এবং গহনা ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার মধ্যে, নকশিকাঁথার বেডকাভার ১২০০ টাকার মধ্যেই পাওয় যায়। বিশেষ করে ক্রেতাদের কাছে এখানকার ফুলের ঝাড়ুর চাহিদা বেশি। ক্রেতাদের কাছে সাজগোজের জিনিসেরও খুব চাহিদা রয়েছে বলে জানালেন এখানে কর্মরত মার্গারেট বাড়ই।
খোঁপার কাঁটা, লেদারের জুয়েলারি বক্স, পার্স, লেডিস ব্যাগ, পাটের জুতা, বাঁশি প্রভৃতি শৌখিন জিনিস এখানে রয়েছে। ঘরের কাজের জিনিস—কাঠের চামচ, ডাল ঘুটনি ইত্যাদিও এখানে পাওয়া যায়। এছাড়া এখানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন ধরনের কার্ডের সমাহার, যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে।
রূপচর্চার জন্য রয়েছে চন্দন ও উপটান। এছাড়া সুতা ও কাপড়ের বালা, চাবির রিং, মোম, ঘি, বই, কাপড়ের পুতুল, মাটির ফুলদানি এখানে পাওয়া যায়। জাগরণীর সুতার কাজ করা ও ব্লকের শাড়ির খুব চাহিদা রয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অপর একজন।
কাজের সমস্যার কথা জানতে চাইলে মার্গারেট বাড়ই জানান—উপকরণের বেশি দাম বলে সমস্যা হয়।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রোববার বন্ধ থাকে।
No comments:
Post a Comment