বান্দরবানে বনজসম্পদ থেকে বছরে আয় ১শ’ কোটি টাকা : পরিকল্পিত বনায়ন ও পাচার রোধ করা গেলে আয় হবে দ্বিগুণ
নুরুল করিম আরমান, লামা (বান্দরবান)
শুধু বান্দরবানের বনজ সম্পদ থেকে বছরে একশ’ কোটি টাকারও বেশি আয় হচ্ছে। পরিকল্পিত বনায়ন, পরিপূর্ণ গাছ কাটা এবং নির্বিচারে বনজ সম্পদ উজাড় ও পাচার রোধ করে নিয়মে আনা গেলে বছরে এই আয় দেড়শ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। বন বিভাগের দাবি, এ অবস্থা আগামী ৫ বছর বিরাজ করলে শুধু বান্দরবান থেকে বছরে ২শ’ কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলায় মোট তিনটি বন বিভাগ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে লামা বন বিভাগ, বান্দরবান সদর বন বিভাগ ও বান্দরবান পাল্পউড বাগান বিভাগ। এছাড়া সদর উপজেলার কিছু অংশ ও রোয়াংছড়ি উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে রাঙামাটির কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগ এবং বান্দরবানে তিনটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, যা বমু, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী রিজার্ভ ফরেস্ট নামে পরিচিত। এছাড়া বন বিভাগের আওতায় বনাঞ্চল এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন কয়েক হাজার বনবাগান রয়েছে। এখানকার বনজ সম্পদের মধ্যে সেগুন, গামারি, মেহগনি, চম্পাফুল, চাপালিশ, কড়ই, রেইনট্রি, গর্জন, রাবার ও শিশুগাছ অন্যতম। এছাড়া হাইব্রিডজাতীয় গাছের মধ্যে একাশিয়া, আকাশনীলা, ইউকেলিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। অন্যদিকে আম, কাঁঠাল, জাম, কুল, আগরসহ বিভিন্ন ফলজাতীয় বৃক্ষ রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। এসব গাছ থেকে প্রাপ্ত কাঠ ও বনজ সম্পদ বিক্রি করে প্রতি বছর বান্দরবান জেলায় একশ’ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়। তবে এই হিসাব বন বিভাগের। প্রকৃত আয় আরও অনেক বেশি বলে সচেতন মহল ধারণা করছে। বিভিন্ন এলাকা দিয়ে পাচার হওয়া বৃক্ষ, পারিবারিকভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিক্রীত গাছ/কাঠ এবং গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত গাছ/কাঠের হিসাব ধরা হলে তা আরও অনেক বেশি হবে।
বান্দরবান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরএমএম মুনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে তিনটি রিজার্ভ ফরেস্ট রয়েছে তার মোট আয়তন প্রায় দুই লাখ ৬ হাজার একর। এর মধ্যে লামা বমু রিজার্ভ ৩ হাজার একর, সাঙ্গু ৮২ হাজার ৮০ একর এবং মাতামুহুরী রিজার্ভ ফরেস্ট এক লাখ ২০ হাজার একর। বন বিভাগের হিসাবমতে, এসব বনাঞ্চল থেকে বছরে একশ’ কোটি টাকার বেশি আয় হয়ে থাকে। গত বছর বান্দরবান বন বিভাগ ৫ লাখ ৬০ হাজার ঘনফুট এবং পাল্পউড বাগান বিভাগ ২ লাখ ৮০ হাজার ঘনফুটসহ দুই বন বিভাগ প্রায় সাড়ে ৮ লাখ ঘনফুট কাঠের পারমিট দিয়েছে। প্রতি ঘনফুট কাঠের গড় মূল্য এক হাজার টাকা ধরা হলে শুধু গাছ/কাঠ থেকে আয় ৮৫ কোটি টাকা। বান্দরবান পাল্পউড বাগান বিভাগ বছরে দুই লাখ ঘনফুট পাল্পউড বৃক্ষ অনুমোদন দিয়ে থাকে। এ থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় হয়। এছাড়া বান্দরবানের ২ বন বিভাগ বছরে এক লাখ ১০ হাজারটি বাঁশ এবং লামা বন বিভাগ এক লাখ ও কাপ্তাই পাল্পউড এক লাখ ১০ হাজার বাঁশ থেকে রাজস্ব আয় করেছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এছাড়া জ্বালানি কাঠ থেকে আয় হয় আরও ৮-১০ কোটি টাকা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বন আইন মোতাবেক ব্যক্তিগতভাবে একজন সর্বোচ্চ একশ’ ঘনফুট কাঠ বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই কর্তন/চেরাই করতে পারেন। এ হিসাব ধরলে কয়েক লাখ ঘনফুট কাঠ ব্যক্তিগতভাবে কর্তন/চেরাই করা হয়। অনেকে ঘরের কাজেও বিপুল পরিমাণ কাঠ ব্যবহার করেন, যা বন বিভাগের হিসাবের মধ্যে নেই। তবুও বন বিভাগের হিসাবমতে, বন সম্পদ তেকে সব মিলিয়ে শত কোটি টাকারও বেশি আয় হচ্ছে। রাবারকে যদি বনজ সম্পদের আওতায় ধরা হয়, সেক্ষেত্রে এ খাতে বিপুল পরিমাণ রাবারও উত্পাদন হচ্ছে। এ থেকেও কয়েক কোটি টাকা আয় হচ্ছে। অপরদিকে ৭টি উপজেলা থেকে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক গাছ/কাঠ অবৈধভাবে চোরাপথ দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যার কোনো হিসাব বন বিভাগ বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে নেই। চোরাপথে চলে যাওয়া গাছ/কাঠের সংখ্যাও বছরে কমপক্ষে ৩-৪ লাখ ঘনফুট হতে পারে বলে বেশ কয়েকজন কাঠ ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে। এসংখ্যক কাঠের বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এছাড়া ফার্নিচার তৈরি হয়েও বান্দরবানের বাইরে বিক্রি হচ্ছে। এ খাতের আয়ও বছরে ১৫-২০ কোটি টাকা হবে। এ হিসাবে বছরে দেড়শ’ কোটি টাকারও বেশি আয় হচ্ছে বনজ সম্পদ থেকে। চোরাপথে যে কিছু গাছ/কাঠ যাচ্ছে না, তা নয়। তবে যেভাবেই যাক, এসব বিক্রি করে অর্থ তো আয় হচ্ছে, যা আমাদের বন সম্পদ থেকে মোট আয়কে সমৃদ্ধ করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলায় মোট তিনটি বন বিভাগ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে লামা বন বিভাগ, বান্দরবান সদর বন বিভাগ ও বান্দরবান পাল্পউড বাগান বিভাগ। এছাড়া সদর উপজেলার কিছু অংশ ও রোয়াংছড়ি উপজেলার কিছু অংশ নিয়ে রাঙামাটির কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগ এবং বান্দরবানে তিনটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, যা বমু, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী রিজার্ভ ফরেস্ট নামে পরিচিত। এছাড়া বন বিভাগের আওতায় বনাঞ্চল এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন কয়েক হাজার বনবাগান রয়েছে। এখানকার বনজ সম্পদের মধ্যে সেগুন, গামারি, মেহগনি, চম্পাফুল, চাপালিশ, কড়ই, রেইনট্রি, গর্জন, রাবার ও শিশুগাছ অন্যতম। এছাড়া হাইব্রিডজাতীয় গাছের মধ্যে একাশিয়া, আকাশনীলা, ইউকেলিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। অন্যদিকে আম, কাঁঠাল, জাম, কুল, আগরসহ বিভিন্ন ফলজাতীয় বৃক্ষ রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। এসব গাছ থেকে প্রাপ্ত কাঠ ও বনজ সম্পদ বিক্রি করে প্রতি বছর বান্দরবান জেলায় একশ’ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়। তবে এই হিসাব বন বিভাগের। প্রকৃত আয় আরও অনেক বেশি বলে সচেতন মহল ধারণা করছে। বিভিন্ন এলাকা দিয়ে পাচার হওয়া বৃক্ষ, পারিবারিকভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিক্রীত গাছ/কাঠ এবং গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত গাছ/কাঠের হিসাব ধরা হলে তা আরও অনেক বেশি হবে।
বান্দরবান বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরএমএম মুনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে তিনটি রিজার্ভ ফরেস্ট রয়েছে তার মোট আয়তন প্রায় দুই লাখ ৬ হাজার একর। এর মধ্যে লামা বমু রিজার্ভ ৩ হাজার একর, সাঙ্গু ৮২ হাজার ৮০ একর এবং মাতামুহুরী রিজার্ভ ফরেস্ট এক লাখ ২০ হাজার একর। বন বিভাগের হিসাবমতে, এসব বনাঞ্চল থেকে বছরে একশ’ কোটি টাকার বেশি আয় হয়ে থাকে। গত বছর বান্দরবান বন বিভাগ ৫ লাখ ৬০ হাজার ঘনফুট এবং পাল্পউড বাগান বিভাগ ২ লাখ ৮০ হাজার ঘনফুটসহ দুই বন বিভাগ প্রায় সাড়ে ৮ লাখ ঘনফুট কাঠের পারমিট দিয়েছে। প্রতি ঘনফুট কাঠের গড় মূল্য এক হাজার টাকা ধরা হলে শুধু গাছ/কাঠ থেকে আয় ৮৫ কোটি টাকা। বান্দরবান পাল্পউড বাগান বিভাগ বছরে দুই লাখ ঘনফুট পাল্পউড বৃক্ষ অনুমোদন দিয়ে থাকে। এ থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় হয়। এছাড়া বান্দরবানের ২ বন বিভাগ বছরে এক লাখ ১০ হাজারটি বাঁশ এবং লামা বন বিভাগ এক লাখ ও কাপ্তাই পাল্পউড এক লাখ ১০ হাজার বাঁশ থেকে রাজস্ব আয় করেছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এছাড়া জ্বালানি কাঠ থেকে আয় হয় আরও ৮-১০ কোটি টাকা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বন আইন মোতাবেক ব্যক্তিগতভাবে একজন সর্বোচ্চ একশ’ ঘনফুট কাঠ বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই কর্তন/চেরাই করতে পারেন। এ হিসাব ধরলে কয়েক লাখ ঘনফুট কাঠ ব্যক্তিগতভাবে কর্তন/চেরাই করা হয়। অনেকে ঘরের কাজেও বিপুল পরিমাণ কাঠ ব্যবহার করেন, যা বন বিভাগের হিসাবের মধ্যে নেই। তবুও বন বিভাগের হিসাবমতে, বন সম্পদ তেকে সব মিলিয়ে শত কোটি টাকারও বেশি আয় হচ্ছে। রাবারকে যদি বনজ সম্পদের আওতায় ধরা হয়, সেক্ষেত্রে এ খাতে বিপুল পরিমাণ রাবারও উত্পাদন হচ্ছে। এ থেকেও কয়েক কোটি টাকা আয় হচ্ছে। অপরদিকে ৭টি উপজেলা থেকে প্রতিদিনই বিপুলসংখ্যক গাছ/কাঠ অবৈধভাবে চোরাপথ দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে, যার কোনো হিসাব বন বিভাগ বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে নেই। চোরাপথে চলে যাওয়া গাছ/কাঠের সংখ্যাও বছরে কমপক্ষে ৩-৪ লাখ ঘনফুট হতে পারে বলে বেশ কয়েকজন কাঠ ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে। এসংখ্যক কাঠের বর্তমান আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এছাড়া ফার্নিচার তৈরি হয়েও বান্দরবানের বাইরে বিক্রি হচ্ছে। এ খাতের আয়ও বছরে ১৫-২০ কোটি টাকা হবে। এ হিসাবে বছরে দেড়শ’ কোটি টাকারও বেশি আয় হচ্ছে বনজ সম্পদ থেকে। চোরাপথে যে কিছু গাছ/কাঠ যাচ্ছে না, তা নয়। তবে যেভাবেই যাক, এসব বিক্রি করে অর্থ তো আয় হচ্ছে, যা আমাদের বন সম্পদ থেকে মোট আয়কে সমৃদ্ধ করছে।
No comments:
Post a Comment