আসছে আফ্রিকার ধান 'নিরিকা'
বদলে দেবে কৃষি অর্থনীতি সব মৌসুমে আবাদ হবে সেচ লাগবে না নষ্ট হবে না খরায়
০০ নিজামুল হক
০০ নিজামুল হক
আফ্রিকার কৃষি অর্থনীতি বদলে দেয়া ধান নিউ রাইস ফর আফ্রিকা (নিরিকা) এখন আবাদ হবে বাংলাদেশে। সরকারি উদ্যোগে ইতিমধ্যে এ ধানের পরীক্ষামূলক আবাদ করে সুফল পাওয়া গেছে। আচিরেই কৃষকদের মাঝে আবাদের জন্য এ ধান বীজ সরবরাহ করা হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কপের্ারেশনের (ডিএডিসি) কাছে বর্তমানে ১ টন নিরিকা ধানের বীজ মজুদ আছে বলে সংশিস্নষ্টরা জানিয়েছেন। একটি জাতের ধান আবাদে সুফল পাওয়ায় সমপ্রতি নিরিকা-২, নিরিকা-৩, নিরিকা-৪ এবং নিরিকা-১০ নামে আরো চারটি নতুন জাতের ধান বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
বিএডিসির সদস্য পরিচালক ( বীজ ও উদ্যান) মোঃ নূরুজ্জামান বলেন, এক সময় আফ্রিকাকে অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি করতে হত। আবাদযোগ্য তেমন জমিও ছিল না। কিন্তু সে দেশের কৃষি বিভাগ 'নিরিকা' নামে একে একে ৭৮টি নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবন করে সে দেশের কৃষি অর্থনীতির চাকা বদলে দিয়েছে। সব সময়ই জমিতে ধান দেখা যায় ওই দেশে। এখন তারা চাল রপ্তানির পর্যায়ে পেঁৗছে গেছে। এ ধানের জাতটি বছরের সব সময়ই আবাদ করা যায়। শীত, গ্রীষ্ম বা অতি তাপমাত্রার সময়েও এটি ভাল ফলন দেয়। যে নতুন জাতের ধানের মাধ্যমে আফ্রিকার এই পরিবর্তন তা বাংলাদেশে এনে কৃষি অর্থনীতি বদলে দেয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ 'নিরিকা'র একটি জাত এনে বিএডিসির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষামূলক আবাদ শুরু করে। অধিক খরা সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে ধানের এ জাতটিতে। বিএডিসি সূত্র জানায়, এ ধানের ফলন পাওয়া যাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে।
গত এক বছর ৯ মাসে ৩টি পর্যায়ে পরীক্ষামূলক চাষ করে সুফল পাওয়া গেছে। বিএডিসির পরিচালক (বীজ) নূরুজ্জামান জানান, বিএডিসি আফ্রিকার এ 'নিরিকা' জাতের ধান আমন মৌসুমে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম পরীক্ষামূলক আবাদ করে। এ সময় মাত্র ৬০ গ্রাম বীজ আবাদ করা হয়। বীজ বপন থেকে শুরু করে শস্য কর্তন পর্যন্ত সময় লাগে তিন মাস। হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ টন। দ্বিতীয় বার আবাদ করা হয় ডিসেম্বর মাসে। এতে সময় লাগে ১১২-১১৫ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৪ দশমিক ৬০ টন।
তৃতীয় পর্যায়ে আউশ মৌসুমেও আবাদ করা হয়। এই মৌসুমে এ জাতের ধান ফলনে সময় লেগেছিল ৮৮ দিন। পরীক্ষামূলকভাবে এটি মধুপুর ও জীবননগরে আবাদ করা হয়। এর মধ্যে মধুপুরে ফলন পাওয়া পাওয়া গেছে ৮৮ দিনে এবং জীবননগরে পাওয়া গেছে ৮০ দিনে। বিএডিসি'র ঊধর্্বতন এক কর্মকর্তা জানান, 'কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে 'নিরিকা' জাতের ধানবীজ নিয়ে আসেন এবং বিএডিসি'কে পরীক্ষামূলক আবাদের জন্য প্রদান করেন।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এটি এমন এক ধরনের ধান যা তিন মৌসুমেই আবাদ করা যাবে। আফ্রিকার মতো এ ধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি বদলে যাবে। যেসব জমি বর্তমানে অনাবাদি থাকছে, সেচ সুবিধা নেই, এমন জমিতেও জন্মাবে এই ধান। দিনের তাপমাত্রা যতই তীব্র হোক, তা এ ধানের উৎপাদনে কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। এ জাতের ধান বীজে কোন সুপ্ততা নেই, তাই এক ফসল তুলে ওই বীজ দিয়েই পরবতর্ী মৌসুমে চাষ করা যাবে।
বিএডিসি সূত্র জানায়, এ ধানের সুফল পাবার পর কৃষিমন্ত্রীর উদ্যোগে উগান্ডা থেকে চারটি জাত আনা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হবে। কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশের জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে জমি কমছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন নতুন ধানের জাত দেশের ধানের চাহিদা মেটাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Source: Daily Ittefaq
বিএডিসির সদস্য পরিচালক ( বীজ ও উদ্যান) মোঃ নূরুজ্জামান বলেন, এক সময় আফ্রিকাকে অন্য দেশ থেকে চাল আমদানি করতে হত। আবাদযোগ্য তেমন জমিও ছিল না। কিন্তু সে দেশের কৃষি বিভাগ 'নিরিকা' নামে একে একে ৭৮টি নতুন উন্নত জাত উদ্ভাবন করে সে দেশের কৃষি অর্থনীতির চাকা বদলে দিয়েছে। সব সময়ই জমিতে ধান দেখা যায় ওই দেশে। এখন তারা চাল রপ্তানির পর্যায়ে পেঁৗছে গেছে। এ ধানের জাতটি বছরের সব সময়ই আবাদ করা যায়। শীত, গ্রীষ্ম বা অতি তাপমাত্রার সময়েও এটি ভাল ফলন দেয়। যে নতুন জাতের ধানের মাধ্যমে আফ্রিকার এই পরিবর্তন তা বাংলাদেশে এনে কৃষি অর্থনীতি বদলে দেয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ 'নিরিকা'র একটি জাত এনে বিএডিসির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষামূলক আবাদ শুরু করে। অধিক খরা সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে ধানের এ জাতটিতে। বিএডিসি সূত্র জানায়, এ ধানের ফলন পাওয়া যাবে স্বল্প সময়ের মধ্যে।
গত এক বছর ৯ মাসে ৩টি পর্যায়ে পরীক্ষামূলক চাষ করে সুফল পাওয়া গেছে। বিএডিসির পরিচালক (বীজ) নূরুজ্জামান জানান, বিএডিসি আফ্রিকার এ 'নিরিকা' জাতের ধান আমন মৌসুমে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম পরীক্ষামূলক আবাদ করে। এ সময় মাত্র ৬০ গ্রাম বীজ আবাদ করা হয়। বীজ বপন থেকে শুরু করে শস্য কর্তন পর্যন্ত সময় লাগে তিন মাস। হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ টন। দ্বিতীয় বার আবাদ করা হয় ডিসেম্বর মাসে। এতে সময় লাগে ১১২-১১৫ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৪ দশমিক ৬০ টন।
তৃতীয় পর্যায়ে আউশ মৌসুমেও আবাদ করা হয়। এই মৌসুমে এ জাতের ধান ফলনে সময় লেগেছিল ৮৮ দিন। পরীক্ষামূলকভাবে এটি মধুপুর ও জীবননগরে আবাদ করা হয়। এর মধ্যে মধুপুরে ফলন পাওয়া পাওয়া গেছে ৮৮ দিনে এবং জীবননগরে পাওয়া গেছে ৮০ দিনে। বিএডিসি'র ঊধর্্বতন এক কর্মকর্তা জানান, 'কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে 'নিরিকা' জাতের ধানবীজ নিয়ে আসেন এবং বিএডিসি'কে পরীক্ষামূলক আবাদের জন্য প্রদান করেন।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এটি এমন এক ধরনের ধান যা তিন মৌসুমেই আবাদ করা যাবে। আফ্রিকার মতো এ ধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি বদলে যাবে। যেসব জমি বর্তমানে অনাবাদি থাকছে, সেচ সুবিধা নেই, এমন জমিতেও জন্মাবে এই ধান। দিনের তাপমাত্রা যতই তীব্র হোক, তা এ ধানের উৎপাদনে কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। এ জাতের ধান বীজে কোন সুপ্ততা নেই, তাই এক ফসল তুলে ওই বীজ দিয়েই পরবতর্ী মৌসুমে চাষ করা যাবে।
বিএডিসি সূত্র জানায়, এ ধানের সুফল পাবার পর কৃষিমন্ত্রীর উদ্যোগে উগান্ডা থেকে চারটি জাত আনা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষামূলকভাবে আবাদ করে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হবে। কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশের জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে জমি কমছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন নতুন ধানের জাত দেশের ধানের চাহিদা মেটাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Source: Daily Ittefaq
No comments:
Post a Comment